খুলনার ব্যাটসম্যানদের দাঁড়াতেই দেননি মালিক, আল আমিনরা। আগের ম্যাচে চলতি আসরের সর্বোচ্চ ২১৩ রান করা খুলনা এবার কোনোরকমে পার হয় একশ। কুমিল্লাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেনি মামুলি সংগ্রহ। উইকেটের চার পাশে শটের পসরা মেলে তামিম দলকে এনে দেন সহজ জয়।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মঙ্গলবারের দ্বিতীয় ম্যাচে ৯ উইকেট জিতেছে কুমিল্লা। এই জয়ে পয়েন্ট তালিকার দুই নম্বরে উঠে এসেছে দলটি। ৮ ম্যাচে কুমিল্লার পয়েন্ট ১২, শেষ চার অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গেছে সাবেক চ্যাম্পিয়নদের।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ২ বল বাকি থাকতে ১১১ রানে গুটিয়ে যায় সবার আগে শেষ চার নিশ্চিত করা খুলনা। তামিমের অপরাজিত ফিফটিতে ৩৭ বল হাতে রেখে লক্ষ্য পৌঁছে যায় কুমিল্লা। ১০ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা খুলনা পেল তৃতীয় পরাজয়ের স্বাদ।
এক ম্যাচ পর দলে ফেরা লিটন দাসের সঙ্গে তামিমের ৬৪ রানের জুটিতে সহজ জয়ের পথে এগিয়ে যায় কুমিল্লা। অন্য দিনের মতো এদিন রানের জন্য অতটা ছটফট করেননি লিটন। চেষ্টা ছিল বল অনুযায়ী খেলার। তবে শেষ পর্যন্ত ফিরেন আরেকটি ভালো শুরু নষ্ট করে।
কাইল অ্যাবটের অফ স্টাম্পের বাইরের শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে আরিফুল হককে সহজ ক্যাচ দেন লিটন। ২১ রানের ইনিংসে চারটি চার।
এর আগে শুরুতেই রাইলি রুশোকে হারায় খুলনা। মেহেদি হাসানকে এগিয়ে এসে উড়ানোর চেষ্টায় সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিস্ফোরক ওপেনার।
দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে তিন ওভারের টানা স্পেলে তিন উইকেট নিয়ে খুলনাকে বিপদে ফেলেন মালিক। অফ স্পিনারের বলে ফিরেন আগের ম্যাচে বড় জয়ের তিন নায়ক। বোল্ড হন নাজমুল হোসেন শান্ত। স্লগ সুইপ করতে গিয়ে তামিমের হাতে ধরা পড়েন আফিফ হোসেন। নিকোলাস পুরান স্টাম্পড হন শূন্য রানে।
২৯ রানে ৪ উইকেট হারানো খুলনার ইনিংস আর সেভাবে গতি পায়নি। বিপদে ত্রাতা হতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। এদিন হাসেনি আরিফুলের ব্যাটও। ঝড় তুলতে পারেননি কার্লোস ব্র্যাথওয়েট। হয়নি তেমন কোনো জুটি, ত্রিশ পর্যন্তও যেতে পারেননি কোনো ব্যাটসম্যান। সর্বোচ্চ আরিফুলের ২৪।
দুই টেলএন্ডার অ্যাবট ও শফিউল ইসলামের ব্যাটে তিন অঙ্কে যায় খুলনার ইনিংস।
বোলারদের দারুণ পারফরম্যান্সে ম্যাচ কুমিল্লার দিকেই হেলেছিল। বাকিটা অধিনায়কোচিত ব্যাটিংয়ে সেরেছেন তামিম।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
খুলনা টাইটানস: ১৯.২ ওভারে ১১১ (শান্ত ৮, রুশো ০, আফিফ ৮, মাহমুদউল্লাহ ১৪, পুরান ০, আরিফুল ২৪, ব্র্যাথওয়েট ১৩, আর্চার ৫, অ্যাবট ১৬, শফিউল ১৬, জায়েদ ৪*; মেহেদি ১/৮, মালিক ৩/১৪, হাসান ১/২১, সাইফ ১/১৯, আল আমিন ৩/২০, ব্রাভো ১/২৯)
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স: ১৩.৫ ওভারে ১১২/১ (তামিম ৬৪*, লিটন ২১, ইমরুল ২২*; আফিফ ০/২২, অ্যাবট ১/২৭, আর্চার ০/১৬, শফিউল ০/১৭, জায়েদ ০/১৬, মাহমুদউল্লাহ ০/৯, রুশো ০/৫)
ফল: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ৯ উইকেটে জয়ী