রাজশাহী কিংসের ইনিংসের শেষ ওভার থেকে ৩২ রান নেন স্যামি। বিপিএলের ইতিহাসে এক ওভারে এটাই সর্বোচ্চ।
২০১৩ সালে চারটি ছক্কায় সিলেট রয়্যালসের নাজমুল মিলনের ওভার থেকে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের ক্রিস গেইল নিয়েছিলেন ২৯ রান। এত দিন সেটাই ছিল বিপিএলের সবচেয়ে খরুচে ওভার।
সাইফের তৃতীয় ওভার থেকে আসে ১২ রান। সেই ওভারের শেষ বলে ছক্কা হাঁকানো স্যামি পরের ওভারে ছিন্নভিন্ন করেছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের তরুণ এই অলরাউন্ডারকে।
সাইফের শেষ ওভারে শুরুটা ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ দিয়ে এক চারে। পরের বলে লং অফ দিয়ে ফ্ল্যাট এক ছক্কা।
ডিপ মিডউইকেট সীমানায় ফিল্ডারের দারুণ প্রচেষ্টায় তৃতীয় বলটিতে বাউন্ডারি হয়নি। দুই রান নিয়ে স্যামি থাকেন স্ট্রাইকে। পরের বলে ইয়র্কার দিয়ে গিয়ে গড়বড় করে সাইফ দেন হাফ ভলি। নিজের জোনে বল পেয়ে লং অফ দিয়ে আবার উড়ান রাজশাহী অধিনায়ক।
স্যামির তাণ্ডবে লাইন-লেংথ হারিয়ে ফেলা সাইফ পরের বলে করেন ওয়াইড। পঞ্চম বলটি কাভার দিয়ে উড়ান স্যামি। পরের বাউন্সারটিকে ওয়াইড ডাকেন আম্পায়ার। ফুলটস বলে ছক্কায় ইনিংস শেষ করেন বিস্ফোরক ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
শেষ পর্যন্ত ৪ ওভারে ৫০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন সাইফ। ১৪ বলে একটি চার আর ছয়টি ছক্কায় ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন স্যামি। তার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১৮৫ রানের বড় পুঁজি পায় রাজশাহী।
কিছু দিন আগে সাইফের এক ওভার থেকে পাঁচ ছক্কায় ৩১ রান নিয়েছিলেন ডেভিড মিলার। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক ওভারে সেটাই বাংলাদেশের কোনো বোলারের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ওভার। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শনিবার আরেকটা বিব্রতকর রেকর্ড সঙ্গী হল সাইফের।