চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম ম্যাচে শুক্রবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৯ রানে জিতেছে খুলনা। আট ম্যাচে পঞ্চম জয়ে শীর্ষে উঠল দলটি। ১১ পয়েন্ট নিয়ে পিছনে ফেলল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স (১০) ও ঢাকা ডায়নামাইটসকে (৯)।
অন্য দিকে টানা দুই জয়ের পর হারের স্বাদ পেল রংপুর। সব মিলিয়ে ৭ ম্যাচে সব মিলিয়ে এটি তাদের চতুর্থ হার। ৬ পয়েন্ট নিয়ে দলটি আছে পাঁচ নম্বরে।
৬ উইকেট হাতে নিয়ে জয়ের জন্য শেষ ৩ ওভারে ৩৫ রানে সমীকরণ মেলাতে পারেনি রংপুর। আসলে মেলাতে দেননি জুনাইদ। ১৮ ও ২০তম ওভার মিলিয়ে মাত্র ১১ রান দিয়ে পাকিস্তানি এই পেসার পার্থক্য গড়ে দেন ম্যাচে।
রান তাড়ায় শুরুতেই ব্রেন্ডন ম্যাককালামকে হারায় রংপুর। বেশিক্ষণ টিকেননি ক্রিস গেইলও। আবু জায়েদকে দুই চার আর ছক্কা হাঁকিয়ে পরের বলে কিপারকে ক্যাচ দেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। টপ অর্ডারের আরেক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুন ফিরেন রান আউট হয়ে।
ছন্দ হারিয়ে ফেলা শাহরিয়ার নাফীসের জায়গায় খেলতে নেমে প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ ফজলে মাহমুদ। আফিফের বলে বোল্ড হওয়ার আগে করেন ৬ রান। ৪৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে রংপুর।
নাহিদকে নিয়ে সেখান থেকে দলকে লড়াইয়ে ফেরান বোপারা। ১০০ রানের জুটি গড়ার পথ নিজের প্রথম ফিফটির দেখা পান নাহিদ। বিপিএলে নিজের আগের একমাত্র ইনিংসে করছিলেন ৪ রান। এবার রান আউট হয়ে ফেরার আগে ৪৩ বলে ৭টি চারে করেন ৫৮ রান।
৪৪ বলে চারটি চার ও একটি ছক্কায় ৫৯ রান করে ম্যাচের শেষ বলে ফিরেন বোপারা।
দুই ওভারে মাত্র চার রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন তরুণ অফ স্পিনার আফিফ হোসেন। শেষে দারুণ বোলিং করা জুনাইদ ১ উইকেট নেন ২০ রানে।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি খুলনার। তিন ওভারের মধ্যে তারা হারায় রাইলি রুশো ও আফিফকে। একটি করে ছক্কা চারে ১১ রান করে সোহাগ গাজীর বলে বোল্ড হয়ে ফিরেন রুশো। রুবেল হোসেন বোল্ড করেন আফিফকে।
তিনটি চারে ২০ রান করা নাজমুল হোসেন শান্তকে ফিরিয়ে দেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। এক প্রান্তে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতনের মধ্যে দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।
চলতি আসরে প্রথমবারের মতো খেলতে নামা নিকোলাস পুরানের সঙ্গে ৪৩ আর আরিফুল হকের সঙ্গে ৩৮ রানের জুটিতে গড়ার পথে ফিফটিতে পৌঁছান খুলনা অধিনায়ক।
৩৬ বলে ৬টি চার ও দুটি ছক্কায় ৫৯ রানের ইনিংসে বিপিএলের ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক এখন মাহমুদউল্লাহ। পাঁচ আসর মিলিয়ে এখন তার রান ১ হাজার ৩৩৬। পেছনে ফেলেছেন ১ হাজার ২৯২ রান করা মুশফিকুর রহিমকে।
পুরান, আরিফুল, কার্লোস ব্র্যাথওয়েট এদিন পারেননি ডানা মেলতে। তবে তাদের ছোট ছোট অবদানে দেড়শ ছাড়ায় খুলনার সংগ্রহ।
রংপুরের সবচেয়ে খরুচে বোলার রুবেল ৩৫ রানে নেন ৩ উইকেট। সবচেয়ে হিসেবী বোলিং করা মালিঙ্গা ২ উইকেট নেন ২৭ রানে। মাশরাফি, সোহাগ, থিসারা পেরেরা নেন একটি করে উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
খুলনা টাইটানস: ২০ ওভারে ১৫৮/৮ (শান্ত ২০, রুশো ১১, আফিফ ৯, মাহমুদউল্লাহ ৫৯, পুরান ১৬, আরিফুল ১৬, ব্র্যাথওয়েট ১১, আর্চার ১০*, জুনায়েদ ১, তানভীর ০*; মাশরাফি ১/৩২, সোহাগ ১/৩০, রুবেল ৩/৩৫, মালিঙ্গা ২/২৭, পেরেরা ১/৩০)
রংপুর রাইডার্স: ২০ ওভারে ১৪৯/৯ (গেইল ১৬, ম্যাককালাম ২, মিঠুন ৩, বোপারা ৫৯, মাহমুদ ৬, নাহিদুল ৫৮, থিসারা ১*; জায়েদ ১/৪৮, আফিফ ২/৪, জুনাইদ ১/২০, আর্চার ০/৩৩, ব্র্যাথওয়েট ০/৩৩, তানভীর ০/৯)
ফল: খুলনা টাইটানস ৯ রানে জয়ী