শনিবার বিপিএলে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে কুমিল্লার জয়ে আলো ছড়িয়েছেন মেহেদি। এমনিতে ব্যাটিং প্রধান অলরাউন্ডার হলেও এদিন বাজিমাত করেছেন বোলিংয়ে।
গেইলকে আটকানোর ভাবনা থেকে তাকে মাঠে নামিয়েছিলেন কুমিল্লার কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। গেইলকে আউট করতে পারতেন তিনি মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই। কিন্তু নিশ্চিত সেই এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার।
তবে নিজের প্রথম ২ ওভারে মাত্র ২ রান দিয়ে তিনিই চাপে ফেলে দেন ম্যাককালাম-গেইলের মতো দুই বিস্ফোরক ব্যাটসম্যানকে। দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে তিন বলের মধ্যে ফিরিয়ে দেন ম্যাককালাম ও শাহরিয়ার নাফিসকে। ৪ ওভারে ১৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয় তিনিই ম্যাচ সেরা।
কোচ সালাউদ্দিনই তার ‘মেন্টর।’ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে গত দুই মৌসুমেই খেলেছেন সালাউদ্দিনের কোচিংয়ে। এদিন ম্যাচ শেষে মেহেদি শোনালেন ম্যাচের আগে তার রোমাঞ্চ ও কোচের সঙ্গে খুনসুটির কথা।
“গত দুদিন ধরেই আমি শুনছিলাম যে এই ম্যাচ খেলব। শেষ দিন আমার ঘুম আসছিল না। গেইল-ম্যাককালামকে বোলিং করতে হবে। রাতে আমি ওদের দুজনের ভিডিও দেখছিলাম ইউটিউবে। তখন দুর্বলতাই দেখতে পারছিলাম না। দেখি ছক্কা-চারই মারে।”
“সকালে স্যারকে বলছিলাম, ‘স্যার, ভিডিও দেখলাম সবই ছক্কা-চার মারে ওরা, দুর্বল জায়গাই নাই। স্যার বললেন, ‘তোর খেলার দরকার নেই।’ তখন বললাম, ‘না না, আমি অবশ্যই পারব।”
রংপুরের দুই ব্যাটিং দানবের একজনের উইকেটে পেতে পেতেও পাননি, আরেক জনেরটি পেয়েছেন। মেহেদি জানালেন, তার লক্ষ্য ছিল দুজনেরই উইকেট নেওয়া।
“ম্যাককালামের উইকেট পেয়ে ভালো লাগছে। গেইলেরটা পেলেও ভালো লাগত। দুটিরই লক্ষ্য ছিল যে আমি নেব।”
বিপিএলে সাড়া জাগানো কিছু করলেন এই প্রথম। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি পরিচিত নাম। এবার জাতীয় লিগে কদিন আগেই করেছেন ১৭৭ রান। জাতীয় লিগের সবশেষ ম্যাচেও অপরাজিত ছিলেন ৮৮ রানে। এরপর বিপিএলের আগেই খেলেছেন বাংলাদেশ ‘এ’ দলে।
তবে এমন গ্যালারি ভরা দর্শকের সামনে খেললেন এবারই প্রথম। মেহেদি শোনালেন সেই অভিজ্ঞতাও।
“এত দর্শকের সামনে খেলতে নেমে শুরুতে খুব নার্ভাস লাগছিল। পরে একটি-দুটি বল করার পর আর কিছু মনে হয়নি।”
সেটির প্রমাণ ছিল তার বোলিং পারফরম্যান্সেও।