বিপিএলে স্টেডিয়ামে জুয়ায় জড়িত ৭৭ জনকে চিহ্নিত করেছে বিসিবি

বিপিএলে ম্যাচ চলার সময় বেটিংয়ে জড়িত ৭৭ জনকে চিহ্নিত করেছে বিসিবি। কিন্তু দেশে বেটিং নিষিদ্ধ হলেও নেই বেটিং বিরোধী আইন। তাই শক্ত ব্যবস্থা নিতে না পেরে অসহায় বিসিবি কর্তাদের কণ্ঠ।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Nov 2017, 01:38 PM
Updated : 17 Nov 2017, 01:40 PM

বিপিএল শুরু হলে জুয়া চলে দেশ জুড়েই। গ্রাম থেকে শুরু করে শহর, ছোট্ট মুদি দোকান থেকে শুরু করে বড় ক্লাব, অনেক জায়গাই পরিণত হয় জুয়ার রাজ্যে। কদিন আগে বিপিএল নিয়ে জুয়াকে কেন্দ্র করে এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র খুন হওয়ার পর আরেকবার প্রকাশ্য হয় এটির ভয়াবহতা।

বিপিএল চলার সময় জুয়া চলে গ্যালারিতেও। মাঠের খেলা সরাসরি টিভিতে সম্প্রচার হতে দেরি হয় কয়েক সেকেন্ড। এই সুযোগ নিতেই মাঠে বসে বেটিং করেন অনেকে।

শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক জানান, এবার অনেককেই চিহ্নিত করতে পেরেছেন তারা। কিন্তু নেওয়া যায়নি শক্ত ব্যবস্থা।

“স্টেডিয়ামে আমাদের দূর্নীতি দমন ও নিরাপত্তা বিভাগের লোকজন কাজ করে। স্টেডিয়ামের ভেতরে ও চত্ত্বরে কিছু হলে তারা ব্যবস্থা নেয়। এরমধ্যেই প্রায় ৬৫ জন বাংলাদেশিকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যারা মোবাইলে বেট করছিল। তাদেরকে চিহ্নিত করে তদন্ত করা হয়েছে। যেহেতু আমরা মামলা করতে পারি না”

“বিদেশি ছিল আরও ১২ জন, তাদের মধ্যে ১০ জনই ভারতীয়। যেহেতু আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই, তাই খুব বেশি কিছু করতে পারি না। হয়ত গ্যালারিতে বসে মোবাইলে বেট করে। কারণ টিভিতে সম্প্রচার হতে ৪-৫ সেকেন্ড দেরি হয়, কখনও কখনও ৯ সেকেন্ড পর্যন্ত। তাদেরকে ধরে আমরা বের করে দেই।”

এই বোর্ড পরিচালক বললেন, এই নজরদারি চালানোর পাশাপাশি সচেতনতা বাড়ানো ছাড়া আরও কিছু করার নেই বোর্ডের।

“বিসিবির আসলে সচেনতনতা বাড়ানো ছাড়া আর খুব বেশি কিছু করার নেই। কিছু কিছু বেটিং সাইটে বেট হয়, গ্রামেগঞ্জে হয়। সেসব নিয়ে কিছু করার নেই। আমরা স্কোরবোর্ডে, এলইডি বোর্ডসহ নানা জায়গায় প্রচার চালাচ্ছি বেটিং থেকে দূরে থাকতে।”

“সারাদেশে যে বেটিং হয়, এসব নিয়ে আমাদের কিছু করার উপায় নেই। পুরোপুরি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব। দেশে বেটিং নিষিদ্ধ হলেও কোনো আইন নেই। আমরা পুলিশে দিলেও হয়ত ২-১ দিনেই জামিনে বের হয়ে যায়।”