ইমরুল, বাটলারের ব্যাটে কুমিল্লার জয়

উইকেট ব্যাটিংয়ের খুব একটা সহজ ছিল না। বোলারদের জন্য খানিকটা সহায়তা ছিল। কিন্তু চিটাগং ভাইকিংসের বোলাররা তা কাজে লাগাতে পারেননি। ইমরুল কায়েস ও জস বাটলারের ব্যাটে ভর করে তুলে নিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Nov 2017, 03:47 PM
Updated : 14 Nov 2017, 03:49 PM

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবারের দ্বিতীয় ম্যাচে ৬ উইকেটে জেতে সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। দুই দলের প্রথম দেখায় ৮ উইকেট জিতেছিল কুমিল্লা।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ১৩৯ রান করে চিটাগং। জবাবে ১১ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় কুমিল্লা।

লুক রনকির ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছিল চিটাগং। নিউ জিল্যান্ডের ডানহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের ঝড়ো ইনিংসে ৫ ওভারে ৪৬ রান তুলে ফেলে দলটি। ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে তাকে ফিরিয়ে ‘ব্রেক থ্রু’ এনে দেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।

১৯ বলে ৩১ রান করে রনকির বিদায়ের পর সেভাবে আর ঝড় তুলতে পারেননি চিটাগংয়ের ব্যাটসম্যানরা। অনেকটা সময় ক্রিজে থেকেও স্বচ্ছন্দ ছিলেন না সৌম্য সরকার। বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ৩০ রান করতে খেলেন ৩২ বল।

এক ছক্কায় ১৯ রান করতে ২৫ বল খেলেন দিলশান মুনাবিরা। রানের চেয়ে বল বেশি খেলেন সিকান্দার রাজাও (২৪ বলে ২০)। শেষের দিকে ক্রিস জর্ডানের ব্যাটে গতি পায় চিটাগংয়ের ইনিংস।

যথারীতি আঁটসাঁট বোলিংয়ে ব্যাটসম্যানদের বেধে রেখেছিলেন রশিদ খান। এদিন তার সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন বাঁহাতি স্পিনার আরাফাত সানি।

রান তাড়ায় দলকে ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি চোট কাটিয়ে ফেরা তামিম ইকবাল। অফ স্পিনার মুনাবিরাকে এগিয়ে এসে উড়ানোর চেষ্টায় শর্ট থার্ড ম্যানে ক্যাচ দেন বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান।

আবারও শুরু পেয়ে ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ লিটন দাস। এগিয়ে এসে মুনাবিরাকে মিডউইকেট দিয়ে উড়ানোর চেষ্টায় ফিরেন বোল্ড হয়ে।

দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানকে হারানো কুমিল্লাকে পথ দেখান ইমরুল কায়েস ও জস বাটলার। দ্রুতই জমে উঠে দুই জনের জুটি। তরতর করে এগিয়ে যায় কুমিল্লা। ত্রয়োদশ ওভার থেকে খোঁড়াতে থাকেন ইমরুল। দৌড়ে রান নিতে সমস্যা হচ্ছিল বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের।

ষোড়শ ওভারে ৭৪ রানের জুটি ভাঙেন সানজামুল ইসলাম। ৩৬ বলে দুটি চার আর তিনটি ছক্কায় ৪৫ রান করে ফিরে যান ইমরুল।

দলকে জয়ের খুব কাছে নিয়ে ফিরেন বাটলার। বাঁহাতি স্পিনার সানজামুলকে ছক্কা হাঁকিয়ে পরের বলে এগিয়ে এসে খেলতে হয়ে স্টাম্পড হয়ে বিদায় নেন তিনি। ৩১ বলে তিনটি ছক্কা আর দুটি চারে তার রান ৪৪।

অধিনায়ক মোহাম্মদ নবিকে নিয়ে বাকিটা সহজেই সারেন মারলন স্যামুয়েলস। ছক্কায় ম্যাচ শেষ করা ক্যারিবিয়ান মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান অপরাজিত থাকেন ১৭ রানে।

চিটাগংয়ের মুনাবিরা ও সানজামুল নেন দুটি করে উইকেট। 

চার ম্যাচে টানা তৃতীয় জয়ে ঢাকা ডায়নামাইটস ও সিলেট সিক্সার্সের পাশে দাঁড়িয়েছে কুমিল্লা। তিনটি দলেরই পয়েন্ট ৬। চার ম্যাচে তৃতীয় হারের স্বাদ পেয়েছে চিটাগং।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

চিটাগং ভাইকিংস: ২০ ওভারে ১৩৯/৪ (রনকি ৩১, সৌম্য ৩০, মুনাবিরা ১৯, রাজা ২০, মিসবাহ ১৬*, জর্ডান ১৬*; নবি ১/১৯, আল আমিন ০/২৩, সানি ০/১৪, সাইফ উদ্দিন ১/৩০, রশিদ ১/১৭, ব্রাভো ১/৩২)

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স: ১৮.১ ওভারে ১৪০/৪ (তামিম ৪, লিটন ২১, ইমরুল ৪৫, বাটলার ৪৪, স্যামুয়েলস ১৭*, নবি ০*; মুনাবিরা ২/১৭, রাজা ০/৩০, জর্ডান ০/২১, শুভাশিস ০/১৪, সানজামুল ২/১৪, তাসকিন ০/১৮, তানবীর ০/২৫)

ফল: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ৬ উইকেটে জয়ী