বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিবের সঙ্গে স্পিন আক্রমণে আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অফ স্পিনার সুনিল নারাইন। ঢাকা পর্ব থেকে আছেন পাকিস্তানের লেগ স্পিনার শহিদ আফ্রিদি। মোসাদ্দেক হোসেনের অফ স্পিনও ব্যবহার করতে পারেন অধিনায়ক।
দলে আছেন আছেন বাঁহাতি স্পিনার সাকলাইন সজীব। ইংলিশ লেগ স্পিনার আদিল রশিদ।
বাঁহাতি পেসার আবু হায়দারের সঙ্গী দুই ডানহাতি পেসার মোহাম্মদ শহীদ ও সৈয়দ খালেদ আহমেদ। আছেন পেস ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলিং অলরাউন্ডার কাইরন পোলার্ড। মাঠের বাইরে আছেন তার স্বদেশি কেভন কুপার, রনসফোর্ড বিটন।
অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার শেন ওয়াটসনও আছেন ঢাকা দলে। কিছু দিন পর দলটিতে যোগ দেবেন পাকিস্তানের বাঁহাতি পেসার মোহাম্মদ আমির।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার সিলটে সিক্সার্সকে ৮ উইকেটে হারানোর সংবাদ সম্মেলনে সাকিব জানান, তার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বোলিং আক্রমণ।
“বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে বোলিং খুব গুরুত্বপূর্ণ। আফ্রিদি-নারাইন আছে, সাথে (হায়দার) রনি আছে। তাই আমাদের বোলিং কম্বিনেশনটা বেশি ভালো। ব্যাটসম্যানরা তো সব সময় ভালো করতে পারে না। কিন্তু এ রকম বিশ্বমানের বোলিং লাইনই আমাদের সেরা স্ট্রেংথ।”
সিলেটের বিপক্ষে দুই ওভার বল করে উইকেটশূন্য সাকিব। লেগ স্পিনার আফ্রিদি ১২ রানে নেন ৪ উইকেট। অফ স্পিনার নারাইন ১০ রানে ৩ উইকেট। এমন শক্তিশালী স্পিন আক্রমণ সচরাচর দেখা যায় না। পাশে আফ্রিদি, নারাইনকে পেয়ে ভীষণ খুশি সাকিব।
“এ রকম একটা বোলিং কম্বিনেশন পাওয়াটা সৌভাগ্যের ব্যাপার।”
বোলিংয়ের সঙ্গে নিজের প্রথম ম্যাচে আফ্রিদি জ্বলে উঠেন ব্যাটিংয়েও। তার কাছ থেকে সব সময় এমন পারফরম্যান্স চান অধিনায়ক।
“তার কাছে আমরা সব সময় এমন পারফরম্যান্স আশা করি। এ জন্যই তাকে দলে নিয়েছি। কিন্তু যদিও তা সব সময় হবে না। তবে আমরা জানি, যে কোনো পরিস্থিতি থেকে আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবো।”