রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে জয়ে তাসকিনের বোলিংই ঘুরিয়ে দিয়েছে ম্যাচের মোড়। পরপর দুই বলে দুই উইকেট নেওয়ার পর তার পায়ে বল লেগে নন স্ট্রাইক প্রান্তে রান আউট হন রবি বোপারা। পরে রংপুরের শেষ ভরসা থিসারা পেরেরাকেও আউট করেন তাসকিন। ৩১ রানে ৩ উইকেট নিয়ে হয়েছেন ম্যাচ-সেরা।
ম্যাচ শেষে তাসকিন বললেন, ভালো বোলিংয়ের কেবল অর্ধেকটুকুই রপ্ত করতে পেরেছেন তিনি।
“দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে চেষ্টা করেছি। যত খেলছি অভিজ্ঞতা হচ্ছে, আস্তে আস্তে শিখছি। আজকে যা চেষ্টা করেছি, সেই জিনিসগুলো আসলে ভুল থেকে শেখা।”
“এখন আমি যদি বলি অনেক শিখে গেছি সেটা কিন্তু নয়। ‘প্রপার’ বোলিংয়ের আমি এখনো ৫০ ভাগ অর্জন করতে পেরেছি, আরও ৫০ ভাগ বাকি আছে। সেটার জন্য কাজ করছি। সিনিয়ররা, মাশরাফি ভাই, রুবেল ভাই সবার সাথে কথা বলি। বাকিরাও সাহায্য করেন আমাকে।”
রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে এদিন শাহরিয়ার নাফিসের উইকেট দিয়েই তাসকিনের শুরু। সেই উইকেট থেকেই চিটাগংয়ের ঘুরে দাঁড়ানো। বাউন্সার দিয়ে শাহরিয়ারকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেওয়ার পর বোল্ড করে দেন নিখুঁত ইয়র্কারে। তাসকিন জানালেন, পরিকল্পনা করেই আউট করেছেন শাহরিয়ারকে।
“খুব ভালো একটা ব্যাটিং ট্র্যাক ছিল। চেষ্টা করেছি যত মিক্স আপ করা যায়, স্লোয়ার, বাউন্সার ইয়র্কার যত বেশি করা যায়। একই লেংথের দুটি থেকে তিনটি বল করলেই কিন্তু বাউন্ডারি। এজন্য এর আগের দুইটা বল শর্ট অব লেংথে বাউন্সার মেরেছি। ওই বলে প্ল্যান করেছি ইয়র্কার করার জন্য, সেটা নিঁখুত হয়েছে।”