গত আসরে মাঝারি মানের দল নিয়েওরাজশাহীর ফাইনালে ওঠায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন স্যামি। অধিনায়ক হিসেবে তার টিকে যাওয়াটাইতাই প্রত্যাশিত। তবে সংশয় বা কৌতুহল ছিল দলে এবার মুশফিকুর রহিম আছেন বলেই। বাংলাদেশেরটেস্ট অধিনায়ক মুশফিক, দেশের সিনিয়র ক্রিকেটারও। আগের সব আসরেই বিপিএলে ছিলেন দলেরঅধিনায়ক।
এবার ব্যতিক্রম। সংবাদ সম্মেলনেরমঞ্চে ছিলেন দুজনই। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সাঈদ ঘোষণা করলেন,এবারও অধিনায়ক স্যামি। মুশফিক তার সহকারী। রাজশাহী কিংসের এই কর্তার আশা, নির্ভার থেকেআরও ভালো পারফরম্যান্স উপহার দেবেন মুশফিক।
দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী একমাত্র অধিনায়ক স্যামি অবশ্য নিজের অধিনায়কত্ব পাওয়াকে আলাদা করে গুরুত্ব দিতেনারাজ। বরং মুশফিকের মত একজনকে দলে পেয়ে দারুণ খুশি এই ক্যারিবিয়ান।
“প্রথমত আমি দলের স্বত্বাধিকারীদের ধন্যবাদ জানাই, আমাকে নেতৃত্বের সুযোগ দেওয়ার জন্য। গতবারআমরা ফাইনালে গিয়েছিলাম, সেই দলের অনেকেই এবার আছে। এবারআমরা আরও বেশি রোমাঞ্চিত, বিশেষ করে মুশফিককে পেয়ে। সে একজনদারুণ ক্রিকেটার, বিশেষ করে নেতৃত্বের ব্যাপারে। অধিনায়ক কে,সেটা বড় কথা নয়। আমার মনে হয় স্টাম্পের পেছন থেকে সে দলকে আরও বেশি অনুপ্রাণিতকরতে পারব, বিশেষ করে তরুণদের।”
প্রথমবার নেতৃত্ব ছাড়া বিপিএলশুরু করে একটা শূন্য অনুভূতি কাজ করতেই পারে মুশফিকের। তবে বরাবরের মতোই তার চাওয়া,যে কোনো ভাবে দলে অবদান রেখে যাওয়া।
“প্রতি বছরই আলাদা অভিজ্ঞতা হয়। এই বছর রাজশাহীতে খেলছি, খুবই ভালো লাগছে। খুবই ভালো ও ব্যালান্সডটিম। ড্যারেন স্যামির মতো একজন খেলোয়াড় আমাদের দলে আছে। তার কাছ থেকে আমাদের তোবটেই, তরুণদেরও অনেক কিছু শেখার আছে।”
“অধিনায়ক থাকি আর না থাকি, চেষ্টা করব পেছন থেকে যতটুকু পারি অবদানরাখার। আমি সব সময় চেষ্টা করি যে কাজটি আমাকে দেওয়া হয়, সেটি ভালোভাবে করার। এবারচেষ্টা করব একজন ব্যাটসম্যান, কিপার আর ভাইস ক্যাপ্টেনহিসেবে যতটুকু অবদান রাখার। আমি চ্যালেঞ্জটা নিতে এখন মুখিয়ে আছি।”
বিপিএলের সব আসর মিলিয়ে সবচেয়েবেশি রান মুশফিকেরই। তবে আন্তজার্তিক ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টিতে রেকর্ড ততটা সমৃদ্ধ নয়।মুশফিকও সেই বাস্তবতা জানেন এবং মানেন। এবার বিপিএল দিয়ে তাই আরও শাণিত করতে চান টি-টোয়েন্টিরব্যাটিং।
“বিপিএলে আমি এক নম্বর রান সংগ্রহকারী, তারপরও আমাকে ধুঁকতে হয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। আমাদের অনেক তরুণ আছে, যারা আরও ভালো করতেপারে। আর আমার নিজের জন্যও বিপিএলের এই ফর্ম দেশের হয়ে নিয়ে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ থাকবে।বিপিএলের পর আমাদের শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সিরিজ আছে, ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টআছে। পরে শ্রীলঙ্কায় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আছে। চেষ্টা করব এইফর্মটা ধরে রাখার।”
মুশফিক যদি টি-টোয়েন্টিতেওনিজের ব্যাটিংকে নিতে পারেন নতুন স্তরে, টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বিবর্ণ রূপটাও তবেহতে পারে উজ্জ্বল।