পুরোনো প্রতিশ্রুতি নতুন করে নাজমুলের কণ্ঠে

বাংলাদেশের ক্রিকেটে হাহাকারের অপর নাম ‘আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা’। এর অস্তিত্ব কথায় আছে; আলোচনা-প্রতিশ্রুতিতে আছে। বাস্তবে নেই। বোর্ডের কর্তাব্যক্তিরা এটির প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন বারবার। কিন্তু একবারও গড়ার উদ্যোগ নেন না। নতুন মেয়াদে বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে আবারও সেই একই প্রতিশ্রুতি নাজমুল হাসানের কণ্ঠে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Nov 2017, 02:34 PM
Updated : 1 Nov 2017, 05:01 PM

ক্রিকেট পরিচালনা আরও সুষ্ঠ ও শক্তিশালী করার জন্য বিকেন্দ্রীকরণ নিয়ে আলোচনা বাংলাদেশের ক্রিকেটে অনেক বছর ধরেই হচ্ছে। বিসিবির প্রায় সব কমিটির কর্তারাই এটি বাস্তবায়নের কথা বলেন। আগের মেয়াদে নাজমুল হাসানও বলেছিলেন। কিন্তু চার বছর দায়িত্বে থাকলেও নেননি উদ্যোগ।

বুধবার নতুন মেয়াদে চার বছরের জন্য দায়িত্ব নিয়ে আবারও নাজমুলের কণ্ঠে একই প্রতিশ্রুতি। জানালেন, এবার এটিকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন সর্বাগ্রে।

“আমাদের প্রথম এবং প্রাথমিক কাজ হবে আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা গড়া। আমরা চেষ্টা করব আগামী ৬ মাসের মধ্যে এটি চূড়ান্ত করতে। এটি হয়ে হলে উনাদের কাছ থেকে আমরা ফিডব্যাক নেব। স্থানীয় উনারা যা যা বলবেন, আমরা সেভাবে এগোব। সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে এগোব।”

“আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা গড়াকেই তাই আমরা সবার আগে প্রাধান্য দেব। চেষ্টা করব খুব শিগগিরই, এমনও হতে পারে তিন মাসের মধ্যে সব তৈরি করে ফেলেছি। তার পর প্রক্রিয়া চলবে। ইজিএম ডেকে পাশ করানো, সব হবে।”

জাতীয় দল নিয়ে পুরোনো লক্ষ্যের কথাও নতুন করে জানিয়েছেন নাজমুল।

“আমার লক্ষ্য গত মেয়াদেই ছিল পাঁচে যাওয়া। আমরা পারিনি। অল্প কিছুদিনের জন্য ছয়ে ছিল দল। তার পর আবার সাতে। এবারও আমার লক্ষ্য সেরা পাঁচে থাকা।

“এটি আগেরবারের চেয়ে কঠিন কারণ সামনে যত খেলা আছে, বেশিরভাগই বাংলাদেশ ও এই উপমহাদেশের বাইরে। সেটির জন্য আমাদের প্রস্তুত হতে হবে।”

সভাপতি নির্বাচন বুধবার হয়ে গেলেও তিনটি সহ-সভাপতি পদে নির্বাচন হবে পরে। বিভিন্ন উপকমিটিগুলো গঠন করা হবে বিপিএলের ঢাকা পর্বের সময় বিসিবি সভায়।

উপকমিটিগুলোতেও কিছু রদবদল হবে আগের কমিটি থেকে। তবে নাজমুল জানিয়েছেন, অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ যেটি, সেই ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগে রদবদলের সম্ভাবনা কম। আগের কমিটিতে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান ছিলেন সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান।