বড় হারে শেষ বিভীষিকার সফর

সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ ১৮.৩ ওভারে ১৪১ (দক্ষিণ আফ্রিকা ২২৪/৪)

আরিফুল ইসলাম রনিআরিফুল ইসলাম রনিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Oct 2017, 12:11 PM
Updated : 29 Oct 2017, 04:04 PM

আরেকটি বড় হার

ম্যাচের প্রথম ভাগেই রানকে বাংলাদেশের ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যান ডেভিড মিলার। দেখার ছিল রান তাড়ায় বাংলাদেশ কতটা রোমাঞ্চ উপহার দিতে পারে। কিন্তু হলো না কিছুই। আরেকটি বিবর্ণ পারফরম্যান্সে আরেকটি বড় হার।

প্রথম টেস্টের প্রথম সকালে টস জিতে নিষ্প্রাণ উইকেটে বোলিং নেওয়া দিয়ে যে দুঃস্বপ্নের শুরু, সফর জুড়ে বাংলাদেশ খাবি খেয়েছে সেই দুঃস্বপ্নের পাকেই। শেষ ম্যাচেও দল বের হতে পারল না সেই চক্কর থেকে। বরং মিলারের খুনে সেঞ্চুরি আর বড় হারে শেষটাও হয়ে ধাকল ভীষণ তেতো।

হেনড্রিকসের শর্ট বলে সাইফ উদ্দিনের কাট, পয়েন্টে ক্যাচ নিলেন আমলা। ২৩ রানে আউট হলেন সাইফ উদ্দিন। ১৮.৩ ওভারে বাংলাদেশ গুটিয়ে গেল ১৪১ রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার জয় ৮৩ রানে।

টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় হারের তালিকায় এই হার থাকছে দুইয়ে। ২০০৮ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১০২ রানের হারটিই কেবল এটির চেয়ে বাজে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

দক্ষিণ আফ্রিকা: ২০ ওভারে ২২৪/৪ (আমলা ৮৫, মোসেলে ৫, দুমিনি ৪, ডি ভিলিয়ার্স ২০, মিলার ১০১*, বেহারদিন ৬*; সাকিব ২/২২, তাসকিন ০/৪১, মিরাজ ০/৪৬, সাইফ ২/৫৩, মাহমুদউল্লাহ ০/১০)

বাংলাদেশ: ১৮.৩ ওভারে ১৪১ (ইমরুল ৬, সৌম্য ৪৪, সাকিব ২, মুশফিক ২, সাব্বির ৫, মাহমুদউল্লাহ ২৪, লিটন ৯, সাইফ ২৩, মিরাজ ১৩, তাসকিন ৪, রুবেল ১*; হেনড্রিকস ১/২৮, দুমিনি ২/২৩, ফ্রাইলিংক ১/৯, প্রিটোরিয়াস ১/২৭, ফাঙ্গিসো ২/৩১, ফেলুকওয়ায়ো ১/২১)

রান আউট তাসকিন

ফেলুকওয়ায়োর ফুল টসে পুল খেলতে চেয়েছিলেন তাসকিন। বল তার ব্যটের কানায় লেগে আঘাত করে হাতে। তাসকিন যখন ব্যথায় কাতরাচ্ছেন, আরেক পাশ থেকে রান নিতে ছুটে স্ট্রাইক প্রান্তে চলে আসেন সাইফ উদ্দিন।

নন-স্ট্রাইক প্রান্তে ফিল্ডার তুলে নেন বেলস। শেষ পর্যন্ত তাসকিনই ছেড়ে আসেন উইকেট। আউট হলেন শূন্য রানে। বাংলাদেশ ৯ উইকেটে ১৩৭।

মিরাজের বিদায়

উইকেট শিকারে নাম লেখালেন আন্দিলে ফেলুকওয়োয়ো। স্লোয়ার বাউন্সারে ফেরালেন মেহেদী হাসান মিরাজকে।

হেনড্রিকসকে মারা দারুণ এক ছক্কাসহ মিরাজ করেছেন ১০ বলে ১৩। বাংলাদেশ ৮ উইকেটে ১৩০।

ব্যর্থ মাহমুদউল্লাহও

সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে একটু রয়ে-সয়ে খেলছিলেন মাহমুদউল্লাহ। শেষ পর্যন্ত তিনিও আউট রান বাড়ানোর তাড়ায়।

ফাঙ্গিসোকে বেরিয়ে এসে হাঁকাতে গিয়ে মিস করলেন বল। বাকি কাজ সারলেন উইকেটকিপার। শুরুতে ঠিকমত ধরতে না পারলেও ঠিকই করলেন স্টাম্পিং।

২০ বলে ২৪ রানে আউট মাহমুদউল্লাহ। বাংলাদেশ ১২.৪ ওভারে ৭ উইকেটে ৯৮।

লিটনের বিদায়

উইকেট পতনের মিছিলে সামিল এবার লিটন দাস। দলের ব্যাটিং শক্তি বাড়ানোর বিবেচনায় সুযোগ পাওয়া ব্যাটসম্যান ফিরলেন ৭ বলে ৯ রান করে।

প্রিটোরিয়াসকে আগের বলেই পুল করে ছক্কা মেরেছিলেন লিটন। পরের বলটি জায়গা বানিয়ে খেলতে গেলেন। বোলার আবারও করলেন শর্ট বল। আবারও পুল, তবে নিয়ন্ত্রণহীন। শর্ট ফাইন লেগ থেকে পেছন দিকে ছুটে দারুণ ক্যাচ নিলেন ফ্রাইলিংক।

বাংলাদেশের রান ১১.২ ওভারে ৬ উইকেটে ৯৩।

পারলেন না সৌম্যও

আগের ম্যাচে আউট হয়েছেন ৪৭ রানে। আগেও ফিরেছেন ৪৮, ৪৩, ৪২ রানে। এবারও সম্ভাবনা জাগিয়ে টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ফিফটি হলো না সৌম্য সরকারের। ফিরলেন ৪৪ রানে।

বাঁহাতি স্পিনার অ্যারন ফাঙ্গিসোকে স্লগ সুইপে উড়িয়ে মেরেছিলেন মিড উইকেট দিয়ে। একদম সীমানায় দাঁড়িয়ে ক্যাচ নিলেন হেনড্রিক্স।

২৭ বলে ৪৪ রানে ফিরলেন সৌম্য। বাংলাদেশের আরেকটি বড় ধাক্কা। ৯ ওভারে রান ৫ উইকেটে ৭২।

গেলেন সাব্বিরও

আবার উইকেটের খাতায় দুমিনির নাম। এবার আউট হলেন সাব্বির রহমান।

আগের বলটিতেই দারুণ শটে চার মেরেছিলেন সাব্বির। পরের বলটি তুলে মারতে গেলেন। কিন্তু একদমই জোর হলো না মারে। সোজা মিড অফে হেনড্রিকসের হাতে। 

৫ রানে ফিরলেন সাব্বির। ৫.২ ওভরে বাংলাদেশ ৪ উইকেটে ৩৭।

মুশফিকের ব্যর্থ স্কুপ

সাকিবকে হারানোর ধাক্কা না সামলে উঠতেই বিদায় মুশফিকুর রহিমের। ফ্রাইলিংকের বলে আউট হলেন ২ রানে।

শাফল করে অফ স্টাম্পের বাইরে এসে স্কুপ করেছিলেন মুশফিক। কিন্তু বলটি তার ব্যাটের মাঝে হালকা লেগে সোজা কিপারের গ্লাভসে।

৪.২ ওভারে বাংলাদেশ ৩ উইকেটে ৩২।

সাকিবকে হারানোর ধাক্কা

দুমিনির বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে বাংলাদেশ হারাল সাকিবকে। ইমরুলের আউটের পরপরই আরেকটি বড় ধাক্কা।

স্টাম্প ছেড়ে জায়গা বানিয়ে কাট করতে চেয়েছিলেন সাকিব। সেটি বুঝে দুমিনি বল করলেন একটু ঝুলিয়ে, স্টাম্প সোজা। মিস করলেন সাকিব, বল উপড়ে দিল লেগ স্টাম্প।

দুমিনিকে বোল্ড করেছিলেন সাকিব। বোল্ড করেই বদলা নিলেন দুমিনি।

২ রানে আউট সাকিব। বালাদেশ ৩.২ ওভারে ২ উইকেটে ২৯।

রান আউটের ধাক্কা

সৌম্য জীবন পেলেও রান আউটে কাটা পড়লেন ইমরুল কায়েস। ফিরে গেলেন ৬ রানে।

দুমিনির বল কাভারে ঠেলেই রান নিতে ছুটলেন সৌম্য। শুরুতে দাঁড়িয়ে থেকে পরে সাড়া দিলেন ইমরুল। কিন্তু রান হওয়ার মতই নয়, বল যে সোজা ফিল্ডারের হাতে! যদিও থ্রো ভালো ছিল না খুব একটা, তবু ব্যাটসম্যান ক্রিজ ছোঁয়ার আগেই বল ধরে বেলস ওড়ানোর সময় পেলেন কিপার।

বালাদেশ ২ ওভারে ১ উইকেটে ২১।

জীবন পেলেন সৌম্য

ইনিংসের প্রথম ওভারে সৌম্য ও ইমরুল তুলেছেন ১৬ রান। মুখোমুখি প্রথম দুই বলেই সৌম্য মেরেছেন চার ও ছক্কা। তবে জীবন পেলেন দ্বিতীয় ওভারেই।

দুই পাশে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান দেখে দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এলেন জেপি দুমিনি। অফ স্পিনে প্রথম বলেই পেতে পারতেন উইকেট। সৌম্যকে বেরিয়ে আসতে দেখে বল করেছিলেন বেশ বাইরে। টেনে শট খেলে সৌম্য ক্যাচ দিয়েছিলেন মিড অনে। কিন্তু সহজ ক্যাচ ফেলে দেন রবি ফ্রাইলিংক। ১১ রানে বেঁচে গেলেন সৌম্য।

সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ড

হাশিম আমলার দুর্দান্ত ৮৫ রানের পর ডেভিড মিলারের টর্নেডো সেঞ্চুরি। দুয়ের যোগফলে বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ড!

২০ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকা তুলেছে ৪ উইকেটে ২২৪।

১০ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ছিল ৩ উইকেটে ৭৮। পরের ৫ ওভারে উঠেছে ৫৬ রান। আর শেষ ৫ ওভারে ৯০ রান!

টি-টোয়েন্টি দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়ে মিলার অপরাজিত ৩৬ বলে ১০১ রানে।

বাংলাদেশের বিপক্ষে এর আগে দুইশ রানের ইনিংস ছিল তিনটি। ২০১ ও ২০৩ করেছিল পাকিস্তান। ২০১৩ সালে নিউ জিল্যান্ডের ২০৪ ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে আগের সর্বোচ্চ।

দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ অবশ্য এটি নয়। ২০০৯ সালে সেঞ্চুরিয়নে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তুলেছিল তারা ২৪১।

মিলারের রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরি

টি-টোয়েন্টিতে আগের ৫৬ ম্যাচে ছিল মোটে একটি ফিফটি। করেছিলেন অপরাজিত ৫৩। সেই ডেভিড মিলার গড়ে ফেললেন দ্রুততম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরির রেকর্ড!

স্বদেশি রিচার্ড লেভির ৪৫ বলে সেঞ্চুরির রেকর্ডকে পেছনে ফেললেন অনায়াসেই। ৩৫ বলেই সেঞ্চুরি! ৭টি চারের পাশে ইনিংসে ৯টি ছক্কা।

উইকেটে গিয়েছিলেন দশম ওভারে। জীবন পেয়েছেন শূন্য রানে। আউট হতে পারতেন ২ রানে, ১৮ রানে। শেষ পর্যন্ত তিনিই তাণ্ডব চালিয়ে করলেন সেঞ্চুরি!

ওভারে ৫ ছক্কা!

এই দক্ষিণ আফ্রিকাতেই ওভারে ছয় ছক্কা দেখেছিল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট। ২০০৭ টি-টোয়েন্ট বিশ্বকাপে স্টুয়ার্ট ব্রডের ওভারে যুবরাজ সিং মেরেছিলেন ৬টি ছক্কা। সেটি ছিল ডারবানে। এবার পচেফস্ট্রুমে খুব কাছে গেলেন ডেভিড মিলার। এক ওভারে মারলেন ৫টি ছক্কা!

তরুণ সাইফ উদ্দিনের ওপর এই তাণ্ডব চালালেন মিলারের। ১৯তম ওভারের প্রথম ৫ বলেই মারেন ছক্কা। শেষ বলটি সাইফ উদ্দিন করেন অফ স্টাম্পের বেশ বাইরে ফুল লেংথ। মিলার নিতে পারেন ১ রান। এক ওভারেই ৩১ রান!

মিলারের ঝড়ো ফিফটি

শুরুটা ছিল নড়বড়ে। কিন্তু যত সময় কাটালেন, ততই ডেভিড মিলার হয়ে উঠলেন অপ্রতিরোধ্য। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ফিফটি করলেন ২৩ বলেই।

শূন্য রানে জীবন পেয়েছিলেন। ২ রানে তার তুলে দেওয়া বল পড়েছে তিন ফিল্ডারের মাঝে। ১৮ রানে বোল্ড হননি অল্পের জন্য। এরপর খেলেছেন দুর্দান্ত। পঞ্চাশ করতে মেরেছেন ৫টি চার, ৩টি ছক্কা।

আমলাকে থামালেন সাইফ উদ্দিন

ওভারের প্রথম বলেই দারুণ এক ইয়র্কারে অস্বস্তিতে ফেলেছিলেন আমলাকে। এক বল পরে দারুণ এক স্লোয়ারে আমলাকে ফিরিয়েই দিলেন সাইফ উদ্দিন।

স্লোয়ার বলটিকে মিড উইকেট দিয়ে ছক্কা মারতে চেয়েছিলেন আমলা। সীমানায় ক্যাচ নিয়েছেন সৌম্য।

গত বছরের মার্চে কেপ টাউনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৯৭ রানে অপরাজিত ছিলেন আমলা। এবারও সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে শেষ পর্যন্ত পারলেন না। ফিরলেন ৫১বলে ৮৫ রানে। ১১টি চারের পাশে ছক্কা একটি।

১৬.৩ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকা ৪ উইকেটে ১৫৭।

মিলার-আমলা জুটির পঞ্চাশ

ডি ভিলিয়ার্স না পারলেও দারুণ গতিতে দলকে টানছেন হাশিম আমলা। খেলছেন দারুণ সব শট। শুরুতে জীবন পেয়ে আরেক পাশে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছেন ডেভিড মিলারও। চতুর্থ উইকেট জুটি ছাড়িয়ে গেছে পঞ্চাশ।

১৫ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা ৩ উইকেটে ১৩৩। আগের ম্যাচেও ১৫ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ছিল ১৩৩।

আমলা খেলছেন ৪৬ বলে ৮০ রানে। মিলার ১৬ বলে ২৪। জুটির রান ৫৫।

বেঁচে গেলেন মিলার

ডি ভিলিয়ার্সের উইকেটের পর পর ধরা দিতে পারত আরও একটি বড় উইকেট। কিন্তু ক্যাচ দিয়েও বেঁচে গেলেন ডেভিড মিলার।

রুবেলের লেগ স্টাম্পে থাকা বাউন্সার পুল করেছিলেন মিলার। বল লাগে গ্লাভসে। উইকেটের পেছনে মুশফিক ডান দিকে লাফিয়ে বল গ্লাভসে নিলেও জমাতে পারেননি। শূন্য রানেই জীবন পেলেন মিলার।

আমলার পঞ্চাশ

আগের ম্যাচে আমলা ফিরেছিলেন দ্বিতীয় ওভারে বোল্ড হয়ে। এবার করলেন ফিফটি। কুইন্টন ডি কক না থাকায় শুরুতে রান বাড়ানোর মূল কাজটিও করেছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান।

৩২ বলে আমলা ছুঁয়েছেন ফিফটি; ৪৩ ম্যাচে তার অষ্টম। ৬টি চারের পাশে মেরেছেন একটি ছক্কা।

ডি ভিলিয়ার্স-বধ

আগের ম্যাচে নজর কেড়েছিলেন শেষের ওভারের বোলিংয়ে। মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন এবার প্রথম ওভারেই ধরলেন শিকার। সেটিও ‘বড় মাছ’। ফেরালেন বিপজ্জনক এবি ডি ভিলিয়ার্সকে।

সাইফ উদ্দিনের বল দারুণ গতিতে উড়িয়ে মেরেছিলেন ডি ভিলিয়ার্স। লং অফ সীমানায় ঝাঁপিয়ে ক্যাচটি নিয়েছেন ইমরুল কায়েস।

১৫ বলে ২০ রানে আউট ডি ভিলিয়ার্স। দক্ষিণ আফ্রিকা ১০ ওভারে ৩ উইকেটে ৭৮।

সাকিবের জোড়া ধাক্কা

ওভারের প্রথম বলে বাজে ফিল্ডিংয়ে বাউন্ডারি। চতুর্থ বলে ক্যাচ মতো ছিল, দারুণ চেষ্টা করেও পারেনি লিটন দাস। শেষ বলে কাজ সারলেন সাকিব নিজেই। বোল্ড করে দিলেন জেপি দুমিনিকে।

আবারও একটু জোরের ওপর করা ফুল লেংথ বল। দুমিনি সুইপ করতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড।

৪ রানে বোল্ড দুমিনি। দক্ষিণ আফ্রিকা ৫ ওভারে ২ উইকেটে ৩৭।

সাকিব এনে দিলেন প্রথম উইকেট

মুখোমুখি প্রথম বলেই সাকিবকে চার মেরেছিলেন ম্যাঙ্গালিসো মোসেলে। সেটি ছিল প্রথম ওভারের শেষ বল। নিজের পরের ওভারে সাকিব মেলে ধরলেন তার অভিজ্ঞতার ঝুলি। বোল্ড করে দিলেন মোসেলেকে।

ওভারের প্রথম বলটি সাকিব করলেন অনেক ঝুলিয়ে। মোসেলে টাইমিং করতে পারলেন না ঠিক মত। পরের বলটি প্যাডল করতে গিয়ে ব্যর্থ। তৃতীয় বলে বোল্ড। একটু জোরের ওপর, উইথ দা আর্ম ভেতরে ঢোকা বল প্যাডে লেগে লাগল স্টাম্পে।

৫ বলে ৫ রানে বোল্ড মোসেলে। দক্ষিণ আফ্রিকা ১ উইকেটে ২৩।

আমলার সঙ্গে মোসেলে

ডি ককের বিশ্রামে হাশিম আমলার সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস শুরু করেছেন ম্যাঙ্গালিসো মোসেলে। এবছর প্রোটিয়াদের হয়ে ৬টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৫ বলে ৩২, ইংল্যান্ডের বিপক্ষ ২২ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেলেছেন। তবে ওপেন করলেন এই প্রথমবার।

দক্ষিণ আফ্রিকা দলে ২ পরিবর্তন

দক্ষিণ আফ্রিকা দলে পরিবর্তন দুটি। ডেন প্যাটারসনের বদলে এসেছেন ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস। বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে কুইন্টন ডি কককে। তার বদলে এসেছে ম্যাঙ্গালিসো মোসেলে। এই বছরই দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৬টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান।

খেলার কথা ছিল চায়নাম্যান বোলার তাবরাইজ শামসির। কিন্তু হ্যামস্ট্রিংয়ে টান লাগায় খেলতে পারছেন না তিনি। স্পিনে থাকছেন অ্যারন ফাঙ্গিসোই।

পেসারের বদলে ব্যাটসম্যান

বাংলাদেশ একাদশে আগের ম্যাচ থেকে পরিবর্তন একটি। পেসার শফিউল ইসলাম জায়গা হারিয়েছেন। একাদশে এসেছেন লিটন কুমার দাস।

টসের সময় সাকিব জানালেন, টস জিতে পরে ব্যাটিং নেওয়ার অন্যতম কারণ বোলার কমিয়ে একজন ব্যাটসম্যান বাড়তি খেলানো।

বাংলাদেশ দল: সাকিব আল হাসান, সৌম্য সরকার, ইমরুল কায়েস, লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম, সাব্বির রহমান, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান মিরাজ, রুবেল হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।

টস জিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ

আগের ম্যাচে টস হেরে বোলিং পেয়েছিল বাংলাদেশ। এবার টস জিতে সাকিব আল হাসান নিলেন বোলিং।

দক্ষিণ আফ্রিকার ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক জেপি দুমিনি জানালেন, টস জিতলে বোলিং নিতেন তিনিও।

শেষ ভালোর আশায়

শেষ ভালো যার, সব ভালো তার। এই প্রবচনের সঙ্গে ক্রিকেটের মিল খুব একটা নেই। বিভীষিকার সফরে শেষ ম্যাচটি জিতলেও বাংলাদেশের ‘সব ভালো’ হয়ে যাবে না। প্রাপ্তির হাতছানি তবুও আছে। কিছু একটা পাওয়া!

একের পর এক হারে জর্জরিত দল। এই সফর থেকে পাওয়া হয়নি কিছুই। শেষ ম্যাচ জিতলে অন্তত কিছু একটা পাওয়া হবে। জয়ের হাসির দেখা মিলবে। চুরমার হয়ে যাওয়া আত্মবিশ্বাস খানিকটা জোড়া লাগবে ভবিষ্যতের জন্য। শেষটা জিতলে অন্তত খানিকটা ফুরফুরে অনুভূতি নিয়ে ফেরা যাবে দেশে।