টি-টোয়েন্টিতেও পারল না বাংলাদেশ

রান তাড়ার শুরুটায় ছিল লড়াইয়ের ইঙ্গিত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটি ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজের শুরুতেও হেরেছে সহজে। দক্ষিণ আফ্রিকার জয় ২০ রানে।

আরিফুল ইসলাম রনিআরিফুল ইসলাম রনিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Oct 2017, 03:38 PM
Updated : 26 Oct 2017, 08:08 PM

প্রোটিয়াদের সহজ জয়

১৯৫ রান তাড়ায় ২০ ওভারে বাংলাদেশ তুলতে পারল ৯ উইকেটে ১৭৫ রান। ২০ রানের জয় শুনলে যতটা কাছের মানে হয়, দক্ষিণ আফ্রিকার জয় ছিল আসলে তার চেয়ে অনেকটাই সহজ।

সাইফ উদ্দিনের সৌজন্যে শেষ দিকে কমেছে ব্যবধান। তৃতীয় টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা এই অলরাউন্ডার অপরাজিত থাকেন ২৭ বলে ৩৯ রান করে। তবে ম্যাচ শেষ কার্যত শেষের বেশ আগেই।

সৌম্য যতক্ষণ ছিলেন, ছিল বাংলাদেশের আশা। সৌম্যর বিদায়ের পর মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহর বিদায়ে আশার সমাপ্তি।

১০ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ছিল ২ উইকেটে ৯৭। বাংলাদেশের ৩ উইকেটে ৯৭। এরপরই বাংলাদেশের ছন্দপতন। ১৫ ওভার শেষেও রানে দু দল ছিল পাশাপাশি। কিন্তু মাচ কার্যত তখনই শেষ। দক্ষিণ আফ্রিকা হারিয়েছিল ৪ উইকেট। বাংলাদেশ তখন হারিয়ে ফেলেছে ৬টি। শেষ পর্যন্ত শেষ দিকেও আর জমেনি লড়াই।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

দক্ষিণ আফ্রিকা: ২০ ওভারে ১৯৫/৪ (ডি কক ৫৯, আমলা ৩, ডি ভিলিয়ার্স ৪৯, দুমিনি ১৩, মিলার ২৫*, বেহারদিন ৩৬*; সাকিব ১/২৮, মিরাজ ২/৩১, রুবেল ১/৩৪, তাসকিন ০/২১, শফিউল ০/৩৩, সাইফ ০/২০, মাহমুদউল্লাহ ০/২৩)

বাংলাদেশ: ১৭৫/৯ (ইমরুল ১০, সৌম্য ৪৭, সাকিব ১৩, মুশফিক ১৩, সাব্বির ১৯, মাহমুদউল্লাহ ৩, সাইফ ৩৯*, মিরাজ ১৪, তাসকিন ০, শফিউল ১, রুবেল ২*; প্যাটারসন ২/২৯, হেনড্রিক্স ২/৪২, ফ্রাইলিংক ২/৩৩, ফেলুকওয়ায়ো ২/২৫, দুমিনি ০/১৫, ফাঙ্গিসো ১/৩০)

ফ্রাইলিংকের আরেকটি

সাকিবের পর শফিউলের উইকেটও নিলেন রবি ফ্রাইলিংক। অভিষেকে পেলেন দুটি উইকেট।

ফ্রাইলিংকের শেষ ওভারে উড়িয়ে মারতে গিয়ে শফিউল আউট ১ রানেই। ১৭.২ ওভারে বাংলাদেশ ৯ উইকেটে ১৫০।

গোল্ডেন ডাক তাসকিন

প্যাটারসনের দারুণ ইয়র্কারে প্রথম বলেই ফিরলেন তাসকিন। দক্ষিণ আফ্রিকার আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। রিভিউ নিলেন জেপি দুমিনি। টিভি রিপ্লেতে দেখা গেল, বল লাগত মিডল স্টাম্পে।

এই নিয়ে দুটি রিভিউ জিতলেন দুমিনি। তাসকিন ফিরলেন গোল্ডেন ডাকে। বাংলাদেশ ১৬.৩ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪৭।

বোল্ড মিরাজ

রান বাড়ানোর চেষ্টার বলি হলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ডেন প্যাটারসনের স্টাম্প সোজা বলকে শাফল করে প্যাডল শটে ফাইন লেগে খেলতে চেয়েছিলেন। বল ব্যাটে লেগে স্টাম্পে।

একটি করে চার ও ছক্কায় ৮ বলে ১৪ রান করে বোল্ড মিরাজ। বাংলাদেশ ১৬.২ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪৭।

সাব্বিরও ব্যর্থ

পরপর দুই ওভারে দারুণ দুটি ছক্কা মেরেছিলেন সাব্বির। কিন্তু এর মাঝে ডট বল খেলে নিজের ওপর বাড়িয়েছেন চাপ। সেটির খেসারত দিয়েই হলেন আউট।

হেনড্রিকসের স্লোয়ার বাউন্সারটির জন্য অপেক্ষা করলেন। কিন্তু হলো না টাইমিং, মারে পেলেন না জোর। সহজ ক্যাচ নিলেন ফেলুকওয়ায়ো।

১৬ বলে ১৯ রানে সাব্বিরের বিদায়। বাংলাদেশ ১৩.৫ ওভারে ৬ উইকেটে ১২৪।

টিকলেন না মাহমুদউল্লাহও

ফেলুকওয়ায়োকে অন সাইডে তুলে মারতে চেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। হাতের মাঝে ব্যাট গেল ঘুরে, ব্যাটের কানায় লেগে বল ওপরে। ক্যাচ নিলেন আমলা।

৩ রানে আউট মাহমুদউল্লাহ। ১১.২ ওভারে বাংলাদেশ ৫ উইকেটে ১০২।

মুশফিকের বিদায়

সৌম্যর বিদায়ের ধাক্কা সামাল না দিতেই আউট মুশফিক। বাংলাদেশের সম্ভাবনা আরেকটু ফিকে।

জেপি দুমিনিকে প্রিয় স্লগ সুইপে ছক্কা মেরেছিলেন মুশফিক। কিন্তু অ্যারন ফাঙ্গিসোর বাঁহাতি স্পিনে একই চেষ্টায় হলেন আউট। মিড উইকেট সীমানায় ক্যাচ নিলেন ডি ভিলিয়ার্স।

৮ বলে ১৩ রানে আউট হলেন মুশফিক। বাংলাদেশ ১০.৪ ওভারে ৪ উইকেটে ৯৮।

এবারও হলো না সৌম্যর

দারুণ খেলতে খেলতেই আউট হয়ে গেলেন সৌম্য সরকার। দারুণ এক রিভিউ নিয়ে জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা।

ফেলুকওয়েয়োর রাউন্ড দা উইকেটে করা বল ফ্লিক করতে গিয়ে মিস করেন সৌম্য। আম্পায়ার আউট না দিলে রিভিউ নেন জেপি দুমিনি। রিপ্লেতে দেখা যায়, বল লাগছিল লেগ স্টাম্পে।

সৌম্য ছন্দে থাকলে যেমন খেলেন, এদিন খেলেছেন ঠিক সেভাবেই। হেনড্রিকসের বলে পিক আপ শটে ছক্কা, দারুণ ড্রাইভ ও পুল, স্পিনে বেরিয়ে এসে ছক্কা। কিন্তু ফিফটি করতে পারলেন না।

৩১ বলে ৪৭ করে ফিরলেন সৌম্য। আগে একবার আউট হয়েছিলেন ৪৮ রানে। টি-টোয়েন্টি অর্ধশতক অধরাই থাকল তার।

৯.১ ওভারে বাংলাদেশ ৩ উইকেটে ৯২।

পারলেন না সাকিব

নিজের প্রিয় পজিশনে নেমে খুব বড় কিছু করতে পারলেন না সাকিব। আউট হলেন ৮ বলে ১৩ রান করে।

রবি ফ্রাইলিংকের ওই ওভারে বারবার স্টাম্প ছেড়ে শট খেলছিলেন সাকিব। পরপর দুটি চারও মেরেছেন। কিন্তু বারবার পুনরাবৃত্তির খেসারত দিতে হলো। ক্যাচ নিলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স।

৩৩ বছর বয়সে অভিষেকে ফ্রাইলিংক পেলেন প্রথম আন্তর্জাতিক উইকেট। ৭ ওভারে বাংলাদেশ ২ উইকেটে ৬৪।

ভালো শুরুর পর ইমরুলের বিদায়

ম্যাচের প্রথম বলে দারুণ শটে চার মেরে শুরু করেছিলেন ইমরুল। এরপর ব্যাটন নিয়ে নেন সৌম্য সরকার। খেলেছেন দারুণ সব শট। ঝড়ো সূচনার মাঝেই আউট হলেন ইমরুল।

হেনড্রিক্সের ফুল টস বলটি উচিত ছিল সীমানার বাইরে পাঠানো। ইমরুল পাঠালেন সরাসরি ফিল্ডারের দিকে। সহজ ক্যাচ!

১১ বলে ১০ রান করে আউট হলেন ইমরুল। আরেক পাশে সৌম্যর রান ১২ বলে ২৮।

৪ ওভারে বাংলাদেশ ১ উইকেটে ৪৩।

সীমানার ওপারে

১৯৫ রান তাড়ায় জিততে হলে নতুন রেকর্ড গড়তে হবে বাংলাদেশকে। রান তাড়ায় তো বহুদূর, আগে ব্যাট করেও কখনও ১৯০ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ।

২০১২ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১৯০ রানই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। পরে ব্যাট করে সর্বোচ্চ নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১৩ সালে ১৮৯। রান তাড়ায় জয়ের রেকর্ড ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১৬৪ রান তাড়া করে জয়।

শেষের ঝড়ে দুশর কাছে

মাঝে দক্ষিণ আফ্রিকার রানের গতিতে কিছুটা লাগাম টানতে পেরেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ দিকে ফারহান বেহারদিন ও ডেভিড মিলার মেটালেন পরিস্থিতির দাবি। দুজনের ঝড়ো জুটিতে দক্ষিণ আফ্রিকা তুলল ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৯৫ রান।

ডি কক ও ডি ভিলিয়ার্সের ঝড়ে প্রথম ১০ ওভারে রান ছিল ৯৭। ১১ থেকে ১৫, এই ৫ ওভারে রান উঠেছিল মাত্র ৩৬। কিন্তু শেষ ৫ ওভারে মিলার ও বেহারদিনের ঝড়ে উঠল ৬২ রান।

১৯ বলে ২৫ রানে অপরাজিত ছিলেন মিলার, দুটি করে চার ও ছক্কায় ১৭ বলে অপরাজিত ৩৬ বেহারদিন।

অবশেষে আউট ডি কক

রুবেল হোসেনের আবেদন চলতে থাকল যেন অনন্তকাল ধরে! আম্পায়ার আঙুল তুললেন অনেকক্ষণ পরে।

ফুল লেংথ বলে প্যাডল করতে চেয়েছিলেন ডি কক। বল লাগে পায়ে। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে মোটেও খুশি ছিলেন না ডি কক। কিন্তু রিভিউও নেননি। টিভি রিপ্লেতে দেখা গেল, আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত ছিল একদম ঠিক!

৪৪ বলে ৫৯ করে ফিরলেন ডি কক। দক্ষিণ আফ্রিকা ১৫ ওভারে ৪ উইকেটে ১৩৩।

অল্পতে শেষ দুমিনি

অপেক্ষাকৃত সহজ ক্যাচ কঠিন করে ধরলেন ইমরুল কায়েস। ১৩ রানে ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক জেপি দুমিনি।

সাকিবকে উড়িয়ে মেরেছিলেন দুমিনি। লং অফে ইমরুল প্রথমে হাত লাগালেন, জমাতে পারেননি বল। তবে ফসকে যাওয়া বল সামনে বাঁদিকে ডাইভ দিয়ে দারুণভাবে ধরেছেন ইমরুল।

১৩ ওভারে রান ৩ উইকেটে ১২৩। 

ডি ককের ফিফটি

ডি ভিলিয়ার্সের তাণ্ডবে খানিকটা আড়ালে পড়ে গিয়েছিলেন ডি কক। তবে ডি ভিলিয়ার্সের মত আউট হননি ফিফটির আগে। সাকিবের বলে বিশাল ছক্কায় ছুঁয়েছেন পঞ্চাশ।

৩৫ বলে ডি কক স্পর্শ করেছেন ফিফটি। ৩১ টি-টোয়েন্টিতে তার দ্বিতীয় পঞ্চাশ। আগের সর্বোচ্চ ছিল ৫২।

আবারও মিরাজ

দলের রান ১০ ওভারেই একশর দোরগোড়ায়, এবি ডি ভিলিয়ার্স পঞ্চাশের দুয়ারে। তখনই তাকে থামালেন মিরাজ।

ছক্কায় ফিফটি করতে চেয়েছিলেন ডি ভিলিয়ার্স। উড়িয়ে মেরেছিলন, বল লাগের ব্যাটের মাঝে। লং অফে ক্যাচ নেন মাহমুদউল্লাহ।

২৭ বলে ৪৯ রান করে ফিরলেন ডি ভিলিয়ার্স। ১০ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ২ উইকেটে ৯৭।

জুটির পঞ্চাশ

দ্বিতীয় উইকেটে মাত্র ৩০ বলেই ৫০ রান উঠে গেল ডি ভিলিয়ার্স ও ডি কক জুটিতে।

শফিউলের প্রথম ওভারে চারটি চারের পর ডি ভিলিয়ার্স সাইফ উদ্দিনের প্রথম ওভারে মারলেন দুটি চার।

৭ ওভারে রান ১ উইকেটে ৭৭। ডি ভিলিয়ার্স ছাড়িয়ে গেছেন ডি ককের রানকে। খেলছেন ১৭ বলে ৩৭ রানে। ডি কক ২১ বলে ৩৪।

চারটি চার

শফিউল ইসলামের প্রথম ওভারেই চারটি বাউন্ডারি মারলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। ওভার থেকে এল মোট ১৮ রান।

পাওয়ার প্লের ৬ ওভার শেষে রান ১ উইকেটে ৬৫। ডি কক খেলছেন ২০ বলে ৩৩ রানে, ডি ভিলিয়ার্স ১২ বলে ২৬।

ডি ককের ঝড়

আমলা দ্রুত ফিরে গেলেও ঝড় তুলেছেন কুইন্টন ডি কক। বাড়িয়ে নিচ্ছেন রান। জমে উঠতে শুরু করেছেন ডি ভিলিয়ার্সও।

৫ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ১ উইকেটে ৪৭। এর ৩২ রান করেছেন ডি কক, ১৯ বলে। ৭ বলে ১০ ডি ভিলিয়ার্স।

রুবেলের চোট

তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসেছেন রুবেল হোসেন। আঙুলে চোট পেলেন তৃতীয় বলেই।

ফুল লেংথ বলে সজোরে ড্রাইভ করেছিলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। সেটি ঠেকাতে গিয়ে বল লাগে রুবেলের বড়ো আঙুলে। ব্যথায় কাতরান বেশ কিছুক্ষণ। ফিজিও এসে ম্যাজিক স্প্রে লাগিয়ে দেন। আরও কিছুক্ষণ পর আবার বোলিং শুরু করেন রুবেল।

দুই ‘আমলা’

মিরাজের বলে বোল্ড হয় ফিরে গেছেন আমলা। তবু ব্যাট করছেন আমলার জার্সি পরা একজন!

কুইন্টন ডি ককও নেমেছেন আমলার জার্সি গায়ে চাপিয়ে। ধারাভাষ্যে শন পোলক জানালেন, ড্রেসিং রুম থেকে হারিয়ে গেছে ডি ককের জার্সি!

স্পিনে সাফল্য শুরুতেই

চার পেসার নিয়ে নামলেও বাংলাদেশ বোলিং শুরু করেছে দুই প্রান্তেই স্পিন দিয়ে। সাফল্যও এল দ্রুত। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে হাশিম আমলাকে বোল্ড করে দিলেন মিরাজ।

দক্ষিণ আফ্রিকার দুই আক্রমণাত্মক ওপেনার কুইন্টন ডি কক ও হাশিম আমলার সামনে প্রথম ওভারেই বল হাতে নিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব।

টি-টোয়েন্টিতে আগে ৭ বার নতুন বল হাতে নিয়েছেন সাকিব। প্রথম ওভারই করেছেন আগে তিনবার।

দ্বিতীয় ওভারে এসেছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা মিরাজ। প্রথম ৫ বলে দিয়েছিলেন ৮ রান। শেষ বলটি ছিল স্টাম্প সোজা। জায়গা বানিয়ে খেলতে গিয়ে লাইন মিস, বোল্ড আমলা।

৩ রানে ফিরলেন আমলা। দক্ষিণ আফ্রিকা ২ ওভারে ১ উইকেটে ১৮।

চার পেসারের বাংলাদেশ

বাংলাদেশ একাদশ সাজিয়েছে চার পেসার নিয়ে। রুবেল হোসেন, শফিউল ইসলাম, তাসকিন আহমেদের সঙ্গে আছেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।

সাকিব থাকায় একাদশে তার পরও বাংলাদেশ পাচ্ছে দুজন বিশেষজ্ঞ স্পিনার। অধিনায়কের সঙ্গে আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তামিম ইকবালের অনুপস্থিতিতে ওপেন করবেন ইমরুল ও সৌম্য।

দক্ষিণ আফ্রিকা দলে অভিষেক হচ্ছে ঘরোয়া ক্রিকেটের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার রবি ফ্রাইলিংকের। একাদশে জায়গা পেয়েছেন বাঁহাতি পেসার বিউরান হেনড্রিক্স।

বাংলাদেশ একাদশ: সৌম্য সরকার, ইমরুল কায়েস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, সাব্বির রহমান, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান মিরাজ, রুবেল হোসেন, শফিউল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা

ফাফ দু প্লেসির অনুপস্থিতিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেপি দুমিনি। টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছে প্রোটিয়া অধিনায়ক নিয়েছেন ব্যাটিং।

টসের সময় সাকিব আল হাসান জানালেন, টস জিতলে ব্যাটিং নিতেন তিনিও। তবে বাংলাদেশ অধিনায়কের ধারণা, পরেও উইকেটের আচরণ খুব একটা বদলাবে না।

খর্ব শক্তির দক্ষিণ আফ্রিকা

চোটের কারণে বাংলাদেশ পাচ্ছে না তামিম ইকবাল ও মুস্তাফিজুর রহমানকে। তবে না থাকার তালিকা অনেক লম্বা দক্ষিণ আফ্রিকা দলে।

টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশকে ভোগানো কাগিসা রাবাদা টি-টোয়েন্টিতে বিশ্রামে। একই সঙ্গে বিশ্রামে দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা স্পিনার ইমরান তাহির। মর্কেল-স্টেইনরা তো আগে থেকেই নেই। চোটের কারণে ছিটকে গেছেন অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসিও।

ছোট সংস্করণ, বড় আশা

একের পর এক আশা মুখ থুবড়ে পড়েছে বাস্তবতার দেয়ালে ধাক্কা খেয়ে। টেস্ট সিরিজের পর ওয়ানডে সিরিজেও বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল যাচ্ছেতাই। একটি ম্যাচেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। সফরের শেষ ভাগে তবু উঁকি দিচ্ছে নতুন আশা। খেলাটি যে টি-টোয়েন্টি।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও বাংলাদেশের পারফরম্যান্স আশার পালে হাওয়া জোগানোর মত নয়। তবে টি-টোয়েন্টি বলেই আশার কথা শুনিয়েছেন নতুন অধিনায়ক সাকিব। ছোট সংস্করণে সব দলের ব্যবধান কমে যায়। একজন-দুজনই ঘুরিয়ে দিতে পারে ম্যাচের মোড়। অধিনায়ক তাকিয়ে তেমন কিছুর দিকেই।

নতুন যুগের সূচনা

নতুন করে ফিরছেন আজ পুরোনো অধিনায়ক। সূচনা হচ্ছে নতুন যুগের। ব্লুমফন্টেইনের এই ম্যাচ দিয়েই শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সাকিব আল হাসান যুগ। আনুষ্ঠানিকভাবে তিন সংস্করণে তিন অধিনায়কের যুগে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ।

গত এপ্রিলে শ্রীলঙ্কা সফরে দুটি টি-টোয়েন্টি দিয়ে ক্রিকেটের ছোট সংস্করণকে বিদায় জানান মাশরাফি বিন মুর্তজা। সে মাসেই বিসিবি সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সাকিবকে টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক করার।

২০০৯ সালে মাশরাফি ইনজুরিতে পড়ার পর প্রথমে ভারপ্রাপ্ত ও পরে নিয়মিত অধিনায়ক হন সাকিব। সে দফায় বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেন ৯ টেস্ট, ৪৭ ওয়ানডে ও ৪টি টি-টোয়েন্টিতে। ২০১১ সালে জিম্বাবুয়ে সফরের পর কেড়ে নেওয়া হয় তার নেতৃত্ব। পরে আবার ২০১৫ সালে ও এ বছর তিনটি ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিয়েছেন নিষেধাজ্ঞার কারণে মাশরাফির অনুপস্থিতিতে।

আজকের ম্যাচ দিয়ে সাকিবের দ্বিতীয় দফা নেতৃত্বের আনুষ্ঠানিক শুরু।