৩৩৩ রানে প্রথম টেস্ট এবং ইনিংস ও ২৫৪ রানে দ্বিতীয় টেস্ট হারে বাংলাদেশ। ওয়ানডেতেও হারে বিশাল ব্যবধানে। ১০ উইকেটে হার দিয়ে শুরু, পরের দুই ম্যাচে ১০৪ ও ২০০ রানে পরাজয়। সে সব নিয়ে এখন আর ভাবার কিছু দেখেন না সাকিব। সতীর্থদের পুরোনো সব ভুলে নতুন সিরিজে মনোযোগী হতে বলেছেন।
টি-টোয়েন্টিতে সব কিছু খুব দ্রুত ঘটে। চিন্তা-ভাবনার সুযোগ কম। খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হয়। তাই টেস্ট, ওয়ানডের চেয়ে এই সংস্করণে জটিলতা কম মনে হয় সাকিবের কাছে।
“যত বেশি চিন্তা তত বেশি ঝামেলা। যেহেতু এই ফরম্যাটটা অনেক ছোট, অত বেশি চিন্তা করার সময়ও নেই। এটা আমাদের জন্য ভালো দিক। টেস্ট বা ওয়ানডেতে যেটা হয় যে অনেক সময় থাকে চিন্তা করার, যত বেশি চিন্তা করা হয় তত বেশি কঠিন হতে থাকে জিনিসটা। এখানে চিন্তার সময় নেই। তাই কঠিন হওয়ার সুযোগটাও কম।”
টি-টোয়েন্টিতে দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সাকিব। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে খেলার অভিজ্ঞতা আছে তার। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চান দক্ষিণ আফ্রিকায়। সব ম্যাচ হেরে দলের মানসিক অবস্থা নাজুক। আপাতত সবাইকে উজ্জীবিত করাই অধিনায়কের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
“ভূমিকা তো একটা আছেই। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে যে, দলটাকে কিভাবে অনুপ্রাণিত করা যায়। আমার মনে হয়, এটা এখন সবচেয়ে বড় দায়িত্ব। আমার পক্ষে তো কারও স্কিল ঠিক করে দেওয়া সম্ভব নয়। এমনকি কারও মনমানসিকতাও ঠিক করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু চেষ্টা করা যেতে পারে, কোনো কথায় যদি কাজ হয়।”
দুই ম্যাচের সিরিজে সাকিবের লক্ষ্যটা পরিষ্কার, যেন একটা দল হিসেবে খেলতে পারেন। তার জন্য সতীর্থের খুব বেশি কিছু বোঝানোর নেই অধিনায়কের।
“আমার মনে হয়, এখানে যারা খেলতে আসছে, তারা যথেষ্ট পরিণত, প্রাপ্ত বয়স্ক। সবাই যার যারটা নিজেরা বুঝলেই ভালো।”
প্রায় সবাই নিজের দায়িত্ব পালন না করায় টেস্ট ও ওয়ানডেতে বিশাল সব হারের তেতো স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ। সবাই নিজের দায়িত্ব পালন করলে লড়াই করা তো বটেই, জেতাও সম্ভব।