টি-টোয়েন্টিতে আশা দেখালেন সাকিব

ফরম্যাট যত ছোট হয় দুই দলের পার্থক্য তত কমে যায়। টি-টোয়েন্টি সিরিজে তাই নিজেদের ভালো সম্ভাবনা দেখছেন সাকিব আল হাসান। অধিনায়ক মনে করছেন, একজন-দুইজন জ্বলে উঠলেও দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানো সম্ভব।

ক্রীড়া প্রতিবেদক ব্লুমফন্টেইন থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Oct 2017, 02:35 PM
Updated : 25 Oct 2017, 02:41 PM

টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজে দল হিসেবে ভালো খেলতে না পারার মাশুল দিয়েছে বাংলাদেশ। একজন-দুইজনের বেশি ভালো করেননি কোনো ম্যাচেই। তবে ২০ ওভারের ক্রিকেটে ভাগ্য গড়ে দিতে পারেন একজনই। 

বৃহস্পতিবার ব্লুমফন্টেইনের ম্যানগাউং ওভালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে খেলবে সাকিবের দল। খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত দশটায়। ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে সাকিব জানান, দল হিসেবে ভালো করার দিকে থাকবে তাদের মনোযোগ।  

“তবে টি-টোয়েন্টির একটা সুবিধা আছে যে, একজন-দুইজন বোলার ভালো বোলিং করতে পারলে কিংবা একজন-দুইজন ব্যাটসম্যান ভালো ব্যাটিং করলে ম্যাচ জিতে যাওয়া সম্ভব। আমি কখনোই বলব না যে কাজটা সহজ। দক্ষিণ আফ্রিকা সবসময়ই কঠিন একটা জায়গায়।… যেহেতু আমাদের হারানোর কিছু নেই, আমার মনে হয়, এটাই আমাদের একটা সুযোগ।”

“আমি তো চাই, সবাই নিজের সেরা পারফরম্যান্স করুক। চেষ্টা সবাই করবে। কিন্তু সবাই যে ভালো করবে এমন কোনো কথাও নেই।… টি-টোয়েন্টিতে দেখবেন, বেশিরভাগ খেলা ১৯ কিংবা ২০ নম্বর ওভারে গিয়ে শেষ হয়। স্বাভাবিকভাবেই দুইটা দলেরই জয়ের সুযোগ থাকে। তাই এ দিক থেকে আমার মনে হয়, এটা আমাদের জন্য একটা সুবিধা।”

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এখনও নিজেদের পায়ের নিচে ঠিকমতো মাটি খুঁজে পায়নি বাংলাদেশ। মাশরাফি বিন মুর্তজার অবসরের পর নেতৃত্ব পাওয়া সাকিব মনোযোগী টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার দিকে। কাজটা শুরু করতে চান ছোট ছোট ব্যাপারগুলো ঠিক করার মধ্য দিয়ে।     

“এ ফরম্যাটের ক্রিকেটে আমাদের এখনও অনেক দূর যেতে হবে। অন্যান্য দলের মতো আমাদের তেমন ‘বিগ হিটার’ নেই। তাই আমাদের প্রতিটা ছোট ছোট ব্যাপার ঠিকভাবে করতে হয়। প্রতিটি কাজ করতে হবে নিখুঁতভাবে। কোথাও কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না। দিলে আমাদের জেতার সুযোগ অনেকটাই কমে যাবে।”

ব্লুমফন্টেইনে সবচেয়ে বেশি সময় কাটিয়েছে বাংলাদেশ। টেস্টের পর খেলেছে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ। কন্ডিশনের সঙ্গে অনেকটাই মানিয়ে নিয়েছে অতিথিরা। সাকিব মনোযোগী মাঠে তার প্রমাণ রাখার দিকে। 

“বড় স্কোরের ম্যাচ হওয়ারই সম্ভাবনাই বেশি। দুই দলের কারা বোলিংটা ভালো করে সেটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায় এই ধরনের ম্যাচ জেতার ক্ষেত্রে। অন্যদিকে ফিল্ডিংটা আমার কাছে মনে হয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ওই অংশটা যদি আমরা ঠিকঠাকভাবে করতে পারি তাহলে অনেকভাবেই আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেবে। ভালোভাবে এই দুইটা ম্যাচ শেষ করতে পারব।”

অবসর নেওয়ায় আর পাওয়া যাবে না মাশরাফিকে। চোটের জন্য নেই তামিম ইকবাল ও মুস্তাফিজুর রহমান। টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য নতুন কাউকে না এনে ওয়ানডে সিরিজের দলকে রেখে দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে একাদশ গঠনে চ্যালেঞ্জ দেখছেন অধিনায়ক।

“একাদশ নির্বাচন নিয়ে সেভাবে চিন্তা করার সুযোগও নেই। আমাদের এখানে খেলোয়াড় রয়েছে মাত্র ১৪ জন। তবে আমার মনে হয়, এটা আমাদের জন্য একটা ভালো সুযোগ। এরকম পরিস্থিতি থেকেও আমরা যদি ভালো জায়গায় যেতে পারি, তাতে আমাদের সামর্থ্যের একটা দিক দেখানো হবে।”

দক্ষিণ আফ্রিকায় এখন পর্যন্ত নিজেদের সামর্থ্যের কাছাকাছি ক্রিকেটও খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে না পারলে পরাজয়ের বৃত্ত ভাঙা অসম্ভব নয়।