কক্সবাজারে একদিনের ম্যাচের সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দলকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’
বৃ্ষ্টির কারণে পরিবর্তিত সূচিতে টানা তিন দিন ম্যাচ। ক্রিকেটারদের ক্লান্তির কথা ভেবে তাই মাঝের দিনটিতে বুধবার ম্যাচ নামিয়ে আনা হয় ২০ ওভারে। আইরিশদের ১৭০ রান বাংলাদেশ পেরিয়ে যায় ২ বল বাকি রেখে।
আগের ম্যাচের মতো এদিনও আইরিশদের প্রায় একা টেনেছেন অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবার্নি। বাংলাদেশ বোলিং শুরু করেছিল অফ স্পিন দিয়ে। ম্যাচের প্রথম বলেই জেমস শ্যাননকে বোল্ড করে দেন মেহেদি হাসান।
তিনে নেমে শুরু থেকেই বালবার্নি খেলেছেন দারুণ। দ্বিতীয় উইকেটে গড়েন ৫১ রানের জুটি, যাতে সঙ্গী স্টুয়ার্ট টমসনের অবদান ছিল মাত্র ১৩।
চতুর্থ উইকেটে শন টেরিকে নিয়ে বালবার্নি গড়েন ৪৩ বলে ৬৫ রানের জুটি। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগানো বালবার্নিকে ১৫তম ওভারে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন ইমরান আলি এনাম। ৭ চার ও ৪টি ছক্কায় ৫১ বলে ৮৩ করেন বালবার্নি।
এনাম খানিক পর ফিরিয়ে দেন ২৮ বলে ২৮ রান করা শন টেরিকেও। পরে সিমি সিংকেও ফিরিয়ে বাংলাদেশের সফলতম বোলার এই পেসারই।
৩ চার ও ১ ছক্কায় ১৬ বলে ২২ রান করে আউট হন জাকির। শান্তর সঙ্গে আল আমিন যোগ দিলে রানের গতি বাড়ে আরও। দশম ওভারেই বাংলাদেশ পেরিয়ে যায় শতরান।
৩২ বলে ৫৮ রানের এই জুটি ভাঙে শান্তর বিদায়ে। ৪টি চার ও ৩ ছক্কায় ২৬ বলে ৪৭ রানে আউট হন শান্ত।
মিডল অর্ডারে ইয়াসির আলি, তানবীর হায়দার এদিন সুবিধে করতে পারেননি। তবে আল আমিনই দলকে এগিয়ে নেন জয়ের কাছে। দলকে জিতিয়ে অবশ্য ফিরতে পারেননি। শেষের আগের ওভারে আউট হয়েছেন ৪০ বলে ৬৭ রান করে। ৮টি চারের সঙ্গে ছক্কা দুটি।
শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৮ রান। প্রথম বলে মেহেদি হাসান নেন সিঙ্গেল। পরের তিন বলে দুটি চার মেরে ম্যাচ শেষ করে দেন আবুল হাসান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আয়ারল্যান্ড ‘এ’: ২০ ওভারে ১৭০/৭ (শ্যানন ০, টমসন ১৩, বালবার্নি ৮৩, অ্যান্ডারসন ৫, টেরি ২৮, সিমি ৬, পয়েন্টার ৪, ম্যাকব্রাইন ১২*, ম্যাককার্থি ৬*; মেহেদি ১/৩১, আবু হায়দার ১/২৮, এনাম ৩/৩৩, আবুল হাসান ১/২৮, সানজামুল ০/২৬, তানবীর ০/৯)।
বাংলাদেশ ‘এ’: ১৯.৪ ওভারে ১৭২/৬ (এনামুল ৫, জাকির ২২, শান্ত ৪৭, আল আমিন ৬৭, ইয়াসির ৭, তানবীর ৪, আবুল হাসান ১০*, মেহেদি ২*; ম্যাকব্রাইন ১/৩৯, চেইস ১/৩৫, ম্যাককার্থি ২/৩২, মাল্ডার ০/৩২, টমসন ১/১৬, সিমি ১/২৪)।
ফল: বাংলাদেশ ‘এ’ ৪ উইকেটে জয়ী
সিরিজ: ৫ ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশ ‘এ’ ৩-০তে এগিয়ে
ম্যান অব দা ম্যাচ: অ্যান্ড্রু বালবার্নি