ট্রিপল সেঞ্চুরিতে রেকর্ড বইয়ে ‘বুড়ো’ প্যাপস

বয়স পেরিয়ে গেছে ৩৮। এই বয়সের আগেই অবসরে চলে যান বেশিরভাগ ক্রিকেটার। নিউ জিল্যান্ডের মতো দেশে দ্রুত অবসরে যাওয়ার হারটা আরও বেশি। অথচ এই বয়সেই মাইকেল প্যাপস শুরু করলেন নতুন আরেকটি মৌসুম। আর সেই মৌসুমের শুরুতেই নাম লেখালেন রেকর্ড বইয়ে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Oct 2017, 06:34 AM
Updated : 25 Oct 2017, 06:34 AM

নিউ জিল্যান্ডের ঘরোয়া বড় দৈর্ঘ্যের টুর্নামেন্ট প্লাঙ্কেট শিল্ডের নতুন মৌসুমের শুরুতেই ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছেন প্যাপস। ওয়েলিংটনের হয়ে অকল্যান্ডের বিপক্ষে করেছেন অপরাজিত ৩১৬। ৩৮ বছর ৩ মাস ২২ দিন বয়সে করলেন এই ট্রিপল সেঞ্চুরি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার চেয়ে বেশি বয়সে তিনশ নেই নিউ জিল্যান্ডের আর কারও।

সব মিলিয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি বয়সে সেঞ্চুরির তালিকায় তিনি অষ্টম। তবে গত ৮৪ বছরের মধ্যে প্যাপসই সবচেয়ে বেশি বয়সী ট্রিপল সেঞ্চুরিয়ান। ১৯৩৩ সালে ইংলিশ কাউন্টি ক্রিকেটে মিডলসেক্সের হয়ে উস্টারশায়ারের বিপক্ষে অপরাজিত ৩০১ করেছিলেন প্যাটসি হেনড্রেন, ৪৪ বছর ৫ মাস ১৯ দিন বয়সে।

প্লাঙ্কেট শিল্ডের লম্বা ইতিহাসে এটি মাত্র ষষ্ঠ ট্রিপল সেঞ্চুরি, ওয়েলিংটনের হয়ে প্রথম। ওয়েলিংটনের হয়ে আগের সর্বোচ্চ ছিল ১৯৬২-৬৩ মৌসুমে জন রিডের ২৯৬।

ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভে গত সোমবার এই ম্যাচের প্রথম দিনেই অকল্যান্ডকে ৬২ রানে গুটিয়ে দেয় ওয়েলিংটন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্যাপস ও লুক উডকক উদ্বোধনী জুটিতেই ওয়েলিংটনকে এনে দেন ৪৩২ রান!

এটিও একটি রেকর্ড। নিউ জিল্যান্ডে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় উদ্বোধনী জুটি। আগের সর্বোচ্চ ছিল ৪২৮, ওয়েলিংটনের বিপক্ষেই এই একই মাঠে ২০০৯-১০ মৌসুমে করেছিলেন সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টসের পিটার ইনগ্রাম ও জেমি হাউ।

৪৩৫ বলে ৫১ চার ও ১ ছক্কায় ৩১৬ রানে অপরাজিত থাকেন প্যাপস। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার ৩২তম সেঞ্চুরি। আগের সর্বোচ্চ ছিল ২০৬। প্লাঙ্কেট শিল্ডের ইতিহাসে ১০ হাজার রান করা একমাত্র ব্যাটসম্যানও প্যাপস।

রেকর্ড উদ্বোধনী জুটিতে প্যাপসের সঙ্গী উডকক আউট হন ১৫১ রানে। প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেটে ৫৫৩ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে ওয়েলিংটন।

প্রথম ইনিংসে ৬২ রানের পর অকল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয় ২৮৬ রানে। ইনিংস ও ২০৫ রানে জেতে ওয়েলিংটন।

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে রেকর্ড উজ্জ্বল হলেও নিউ জিল্যান্ডের হয়ে মাত্র ৮টি টেস্ট খেলতে পেরেছেন প্যাপস। ২০০৪ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে ৮ টেস্টে ফিফটি করতে পেরেছিলেন দুটি। ২৮৬ রান করতে পেরেছিলেন মাত্র ১৬.৪০ গড়ে।