বৃষ্টিতে ‘তৃতীয় ম্যাচ’ আসলে পরিত্যক্ত হয়েছিল গত শনিবার। পরে সূচি বদলে পরের দুই দিন রাখা হয় এই ম্যাচের রিজার্ভ ডে। কিন্তু ম্যাচ হতে পারেনি সেই দুই দিনও।
পরে আবারও বদল আনা হয় সূচিতে। মঙ্গলবার চতুর্থ ম্যাচ হওয়ার কথা থাকলেও তৃতীয় ম্যাচটি রাখা হয় এদিন। আগামী দুই দিন শেষ দুটি ম্যাচ। শেষ তিনটি ম্যাচ হতে যাচ্ছে তাই টানা তিন দিনে।
কক্সবাজারে মঙ্গলবার আইরিশদের ১০৩ রানেই বেঁধে ফেলে বাংলাদেশ। এরপর সেই রান টপকে যায় ২৩ ওভারে।
আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবার্নি একাই করেছেন দলের অর্ধেকের বেশি রান, ৫২। আটে নেমে শেন গেটকেক করেছেন ২৩। অতিরিক্ত ৪ রান বাদ দিলে দলের বাকি ৯ ব্যাটসম্যান মিলে করেছেন ২৪ রান!
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই স্টুয়ার্ট পয়েন্টারকে ফিরিয়ে আবু হায়দারের শুরু। নতুন বলে শুভাশিস ফিরিয়ে দেন আরেক ওপেনার জেমস শ্যাননকে।
ষষ্ঠ উইকেটে ৫১ রানের জুটি গড়েন বালবার্নি ও গেটকেক। কিন্তু তানবীর হায়দার ও সানজামুলের স্পিনে শেষটা হয় দ্রুত। ১ রানেই আইরিশরা হারায় শেষ চার উইকেট!
উইকেট পেয়েছেন বাংলাদেশ ‘এ’ দলের সব বোলারই। ৩ উইকেট নিয়ে সফলতম আবু হায়দার, দুই স্পিনার তানবীর ও সানজামুল দুটি করে।
সহজ রান তাড়ায় বাংলাদেশ জিতে যায় অনায়াসেই। এই ম্যাচের আগে ডাক পাওয়া ওপেনার এনামুল হক ১ চার ও ২ ছক্কায় ফেরেন ২০ রান করে। আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম করেন ২৪।
তিনে নেমে নাজমুল হোসেন শান্ত দ্রুত ম্যাচ শেষ করে দেন আল আমিনকে নিয়ে। বাঁহাতি শান্ত অপরাজিত থাকেন ৩৮ বলে ৭ চারে ৪১ রানে।
সিরিজের প্রথম ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছিল বৃষ্টিতে। দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের জয় ছিল ৩ উইকেটে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আয়ারল্যান্ড ‘এ’: ৩৫.৪ ওভারে ১০৩ (শ্যানন ৪, পয়েন্টার ৫, বালবার্নি ৫২, টেরি ০, সিমি ৭, টাকার ৬, টমসন ১, গেটকেক ২৩, ম্যাকব্রাইন ০, ডকরেল ০*, চেইস ১; শুভাশিস ১/১৪, আবু হায়দার ৩/২৯, সানজামুল ২/২৩, আবুল হাসান ১/১২, তানবীর ২/১৪, আল আমিন ১/৯)।
বাংলাদেশ ‘এ’: ২৩ ওভারে ১০৬/২ (সাদমান ২৪, এনামুল ২০, শান্ত ৪১*, আল আমিন ১৪*; চেইস ১/৩২, ম্যাকব্রাইন ০/২২, ডকরেল ১/২৩, সিমি ০/২৪, টমসন ০/৪)।
ফল: বাংলাদেশ ‘এ’ ৮ উইকেটে জয়ী
সিরিজ: ৫ ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশ ‘এ’ ২-০তে এগিয়ে
ম্যান অব দা ম্যাচ: আবু হায়দার রনি