টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচ আবু ধাবিতে, শেষটি লাহোরে। শ্রীলঙ্কার প্রধান নির্বাচক গ্রায়েম লেব্রয় আগেই জানিয়েছিলেন, যারা পাকিস্তানে যেতে রাজি হবে, শুধু সেই ক্রিকেটারদেরই বিবেচনা করা হবে গোটা টি-টোয়েন্টি সিরিজের স্কোয়াডে।
টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচটি পাকিস্তানের মাটিতে চূড়ান্ত হওয়ার পর ৪০ জন লঙ্কান ক্রিকেটার বোর্ডের কাছে লিখিতভাবে জানান যে তারা পাকিস্তানে যেতে রাজি নন।
নির্বাচকরা জানান, সম্ভাব্য দল থেকে থারাঙ্গা, মালিঙ্গাসহ পাকিস্তানে যেতে রাজি হননি নিরোশান ডিকভেলা, চামারা কাপুদেগারা, আকিলা দনঞ্জয়া ও সুরাঙ্গা লাকমল।
২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কার টিম বাসে সন্ত্রাসী হামলার সময় বাসে ছিলেন কাপুদেগারা ও লাকমল।
যেহেতু অনেকেই পাকিস্তানে যেতে রাজি নন, দলে তাই পরিবর্তন অনেক। সবশেষ ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল থেকে পরিবর্তন ৯টি।
৮ বছর পর আবার দলে ফিরেছন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান মাহেলা উদাওয়াত্তে। টেস্ট ও ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টিতে সুযোগ পেয়েছেন সাদিরা সামারাবিক্রমা। প্রথমবার সুযোগ পেয়েছেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান মিনোদ ভানুকা।
দলে ফিরেছেন দানুশকা গুনাথিলাকা, চতুরঙ্গা ডি সিলভা, সাচিথ পাথিরানা ও আশান প্রিয়াঞ্জনও।
২৬ ও ২৭ অক্টোবর সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচ আবু ধাবিতে, ২৯ অক্টোবর শেষটি লাহোরে। পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরিয়ে আনার অংশ হিসেবেই এই উদ্যোগ।
কিছুদিন আগে লাহোরেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে এসেছে বিশ্ব একাদশ। সেই দলে ছিলেন থিসারা পেরেরা। এই অলরাউন্ডার ৮ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রথমবার নেতৃত্ব দেবেন শ্রীলঙ্কাকে।
টি-টোয়েন্টির শ্রীলঙ্কা দল: থিসারা পেরেরা (অধিনায়ক), দিলশান মুনাবিরা, দানুশকা গুনাথিলাকা, সাদিরা সামারাবিক্রমা, আশান প্রিয়াঞ্জন, মাহেলা উদাওয়াত্তে, দাসুন শানাকা, মিনোদ ভানুকা, সাচিথ পাথিরানা, ভিকুম সঞ্জয়া, লাহিরু গামাগে, সিকুগে প্রসন্ন, বিশ্ব ফার্নান্দো, ইসুরু উদানা, জেফ্রি ভ্যান্ডারসে, চতুরঙ্গা ডি সিলভা।