চতুর্থ ওয়ানডেতে শারজায় শুক্রবার শ্রীলঙ্কাকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান। শ্রীলঙ্কার ১৭৩ রান পাকিস্তান পেরিয়ে যায় ৬৬ বল বাকি রেখে।
টেস্ট সিরিজে হারার পর ওয়ানডে সিরিজের চার ম্যাচের চারটিই জিতল পাকিস্তান। পথহারা শ্রীলঙ্কা হারল টানা ১১টি ওয়ানডে।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা শ্রীলঙ্কা শুরুতেই হারায় উপুল থারাঙ্গাকে। আগের দুই ম্যাচে দারুণ ব্যাট করা লঙ্কান অধিনায়ককে শূন্য রানেই বোল্ড করে দেন অভিষিক্ত বাঁহাতি পেসার উসমান খান।
নিরোশান ডিকভেলা চেষ্টা করেছিলেন পাল্টা আক্রমণের। কিন্তু ১৬ বলে ২২ রান করা কিপার ব্যাটসমানকে ফেরান জুনাইদ খান। এরপর আর গতিই পায়নি লঙ্কান ইনিংস। ইমাদ ওয়াসিম, শাদাব খানদের স্পিনে শ্রীলঙ্কা ৯৯ রানেই হারায় ৭ উইকেট।
সেখান থেকে লোয়ার অর্ডারদের নিয়ে লড়াই করেন লাহিরু থিরিমান্নে। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ফেরেন ৬২ রানে। নয়ে নেমে আকিলা দনঞ্জয়া করেন ১৮। দশে নেমে অপরাজিত ২৩ সুরাঙ্গা লাকমল।
৭ ওভার বোলিং করে ১৩ রানে ২ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার ইমাদ। লেগ স্পিনে দুটি নেন শাদাব খানও। তবে সফলতম বোলার আবারও হাসান আলি। আগের ম্যাচে ৫ উইকেটের পর এবার নিয়েছেন ৩৭ রানে ৩ উইকেট।
রান তাড়ায় পাকিস্তানের শুরুটা ভালো হয়নি। আগের ম্যাচে অভিষেকেই সেঞ্চুরি করা ইমাম-উল-হককে দ্বিতীয় ওভারেই ফেরান লাহিরু গামাগে। ফখর জামান ও মোহাম্মদ হাফিজও ফেরেন অল্পতে। ৫৮ রানে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে খানিকটা আশা জাগায় শ্রীলঙ্কা।
তবে বাবর আজম ও শোয়েব মালিকের ব্যাটে আস্তে আস্তে উবে যায় লঙ্কানদের আশা। তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার দারুণ সমন্বয়ের জুটিই পাকিস্তানকে নিয়ে যায় জয়ের ঠিকানায়। ১১৯ রানের অবিচ্ছ্ন্নি জুটি গড়েন দুজন।
২ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৯ রানে অপরাজিত থাকেন মালিক। সিরিজের প্রথম দু্ই ম্যাচে সেঞ্চুরি করা বাবরও অপরাজিত ঠিক ৬৯ রানেই। দলকে জয়ের পথে টেনে নেওয়া ইনিংসে ম্যাচ সেরাও বাবর।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা: ৪৩.৪ ওভারে ১৭৩ (ডিকভেলা ২২, থারাঙ্গা ০, চান্দিমাল ১৬, থিরিমান্নে ৬২, সামারাবিক্রমা ০, সিরিবর্দনা ১৩, প্রসন্ন ৫, থিসারা ০, দনঞ্জয়া ১৮, লাকমল ২৩*, গামাগে ১; জুনাইদ ১/২২, উসমান ১/৩৮, ইমাদ ২/১৩, হাফিজ ০/২৯, হাসান ৩/৩৭, শাদাব ২/২৯)।
পাকিস্তান: ৩৯ ওভারে ১৭৭/৩ (ইমাম ২, ফখর ১৭, বাবর ৬৯*, হাফিজ ৯, মালিক ৬৯*; লাকমল ০/২৫, গামাগে ১/২৭, দনঞ্জয়া ১/২৯, প্রসন্ন ১/৪৪, থিসারা ০/১৬, সিরিবর্দনা ০/৩৪)।
ফল: পাকিস্তান ৭ উইকেটে জয়ী
সিরিজ: ৫ ম্যাচ সিরিজে পাকিস্তান ৪-০তে এগিয়ে
ম্যান অব দা ম্যাচ: বাবর আজম