বাংলাদেশকে সফর বাড়ানোর পরামর্শ দ. আফ্রিকা কোচের

অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকায় যথেষ্ট ক্রিকেট না খেলা উপমহাদেশের একটা দলের বাড়তি গতি আর বাউন্সে ভোগাই স্বাভাবিক। ফাফ দু প্লেসিদের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে না পারা তাই নিল ম্যাকেঞ্জির কাছে অনুমিত। কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং কোচ দিয়েছেন সফর বাড়ানোর পরামর্শ।

ক্রীড়া প্রতিবেদক ইস্ট লন্ডন থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Oct 2017, 05:23 PM
Updated : 20 Oct 2017, 05:23 PM

২০০৮ সালের পর এই প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করছে বাংলাদেশ। জাতীয় দলের অমন লম্বা বিরতিতে নিয়মিত ‘এ’ দল, অ্যাকাডেমি ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে পাঠানোর পরামর্শ ম্যাকেঞ্জির।

“দক্ষিণ আফ্রিকায় এসে খেলা কঠিন। উপ মহাদেশের সব দল দক্ষিণ আফ্রিকায় এসে বাড়তি গতি আর বাউন্সের জন্য সংগ্রাম করে।”

“আমার মনে হয়, কন্ডিশনের সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মানিয়ে নিতে হবে আর এখানে বারবার সফর করতে হবে। বেশি বেশি সফর হতে পারে এখানে মানিয়ে নেওয়ার আর ভবিষ্যতে এখানে ভালো খেলার সমাধান।”

মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ ও ইমরুল কায়েস ছাড়া বাংলাদেশের বর্তমান দলের আর কারোর দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলার অভিজ্ঞতা নেই। তারা যে অনেক ম্যাচ খেলেছেন এমনও নয়। সাব্বির রহমান, সৌম্য সরকার, লিটন দাসরা খেলছেন প্রথমবারের মতো।

ম্যাকেঞ্জি মনে করেন, এই সফর দিয়ে প্রথম বড় বাধার মুখোমুখি হলেন বাংলাদেশের তরুণ ক্রিকেটাররা।

“বাংলাদেশের অনেক ব্যাটসম্যান তরুণ, ওরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে লড়ছে। আমার মনে হয় না, ওরা অস্ট্রেলিয়া বা দক্ষিণ আফ্রিকায় যথেষ্ট সফর করেছে।”

“আমার মনে হয়, এই দুই দেশ সফরে ওদের জন্য সবচেয়ে বড় ব্যাপার হবে গতি, বাউন্স আর আগ্রাসী ক্রিকেটের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া। উপমহাদেশে আপনি স্পিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন। দক্ষিণ আফ্রিকা আর অস্ট্রেলিয়ায় আপনাকে গতি আর বাউন্সের ব্যাপারে আগ্রাসন আর ভীতিরও মুখোমুখি হতে হবে।”

কিম্বার্লিতে প্রথম ওয়ানডেতে মুশফিকের ব্যাটিংয়ে মুগ্ধ ম্যাকেঞ্জি। পার্লে মুশফিক আর ইমরুলের ফিফটিতে দেখেন উন্নতির আভাস। ব্যাটিং কোচ মনে করেন, লড়াই করতে হলে দল হিসেবে নিজেদের মেলে ধরতে হবে অতিথিদের।

“যখন আপনি দেশের বাইরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলবেন তখন একটা বা দুইটা পারফরম্যান্স যথেষ্ট নয়। পুরো দলের এগিয়ে আসতে হবে এবং ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। বোলিং আর ব্যাটিং দুই ইউনিটকেই পারফরম করতে হবে।”

“এক জনের গড় ৫০, অন্য জনের ২০, এটা দক্ষিণ আফ্রিকায় কাজ করবে না। দুই-তিন জনের পঞ্চাশ গড় লাগবে, দুই-তিন জনের ত্রিশ গড় হতে হবে, তাহলে আপনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন।”