দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন মাশরাফি, সাকিব। চোট কাটিয়ে ফিরছেন তামিম ইকবাল। অধিনায়ক মনে করেন, তারা তিন জন ফেরাতেও পরিস্থিতিতে পাল্টায়নি। ১১ জনের সবারই নির্দিষ্ট ভূমিকা থাকে। মাঠে সবারই কিছু দায়িত্ব পালন করতে হয়।
কিম্বার্লির ডায়মন্ড ওভালে রোববার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ। তার আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি সতীর্থদের কারো ওপর নির্ভর না করার তাগিদ দেন।
“আমি মনে করি, এখানে কারো ওপর ভরসা করে থাকা ঠিক না। … সাকিবের ওপর এমনিতেই অনেক বেশি চাপ আছে। ওর কাছে সবার প্রত্যাশা অন্যরকম। ওকে প্রতিদিন এই চাপ নিয়ে মাঠে নামতে হয়। অন্য সতীর্থরা যদি সাকিবের দিকে তাকিয়ে থাকে, তাহলে ওর জন্য খুব কঠিন হবে।”
“আমি মনে করি যে, সবার উচিত নিজের কাজ মনোযোগ দিয়ে করে যাওয়া। কে ছিল, কে এসেছে এসব নিয়ে না ভেবে, দল হিসেবে ভালো খেলার দিকে মনোযোগ দেওয়া। আমাদের যতগুলো জয় আছে, সেগুলো এসেছে দল হিসেবে ভালো খেলেই।”
জুনিয়রদের এখনই সব দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে হবে এমন না। অধিনায়ক চান, তারা যেন সিরিয়রদের সহায়তা ঠিকঠাক করে যেতে পারে।
“যতগুলো জয় আছে আমাদের সেখানে জুনিয়ররাও সেখানে কম কিছু করেনি। সেই ভালো ব্যাপারগুলো চিন্তা করে যেন মাঠে নামতে পারে।”
তরুণ ক্রিকেটারদের ওপর কোনো চাপ তৈরি করতে চান না মাশরাফি। সাম্প্রতিক ব্যর্থতা, সমালোচনা কিভাবে তারা সামাল দেন সেটা দেখতে চান আগ্রহ ভরে।
“অনেক নেতিবাচক কথা হবে এটা স্বাভাবিক। খেলোয়াড় হিসেবে আপনাকে এটা মেনে নিয়েই মাঠে খেলতে হবে। খারাপ সময় যাবে, ভালো সময় যাবে- কিন্তু এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওরা সবাই দুই-আড়াই বছর ধরে খেলছে। ওদের এটা শিখতে হবে।”
সতীর্থদের চাপ নিতে মানা মাশরাফির। সমালোচনা মেনে নিয়েই খেলে যাওয়ার পরামর্শ তার।
“নিকট অতীতের কথা যদি বলেন, ওদের পারফরম্যান্সে আমি পুরোপুরি খুশি না। কারণ, তাদের সেই সামর্থ্য আছে। হয়তো ওরা মানসিকভাবে সেভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না। এটা নিয়েও চিন্তা করার বিষয়। আমি চাইবো ওরা মানসিকভাবেও দৃঢ় হোক। যেন মুশফিক, সাকিবদের ওরা যেভাবে ভাবে নিজেরা সেই জায়গায় যেন খুব দ্রুত যেতে পারে।”