এই চ্যালেঞ্জই তো আমরা নিতে চাই: সাকিব

উপমহাদেশের দলগুলোর জন্য সবচেয়ে কঠিন জায়গা দক্ষিণ আফ্রিকা। এখানে ভালো করা ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা আর বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। সাকিব আল হাসান মুখিয়ে আছেন বিরুদ্ধ কন্ডিশনে নিজেদের প্রমাণের চ্যালেঞ্জ নিতে।

ক্রীড়া প্রতিবেদক কিম্বার্লি থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Oct 2017, 03:36 PM
Updated : 13 Oct 2017, 04:10 PM

কিম্বার্লির ডায়মন্ড ওভালে রোববার দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ব্লুমফন্টেইন থেকে শুক্রবার প্রথম ওয়ানডের ভেন্যু শহরে আসে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। দুপুরে মাঠে গিয়ে নেটে ব্যাটিং করেন তামিম ইকবাল, নাসির হোসেন ও মুমিনুল হক। নেটে বোলিং করেন তাসকিন আহমেদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসির ও মুমিনুল। বাকিরা সবাই ব্যস্ত ছিলেন ফুটবল খেলায়।

দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা সাকিব বলছিলেন, ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ নিয়ে।

“দক্ষিণ আফ্রিকায় স্বাগতিকদের বিপক্ষে খেলা। আমি বার বার বলছি, আমাদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং। ক্রিকেট যেহেতু খেলি, এই চ্যালেঞ্জটাই তো আমরা নিতে চাই। এই চ্যালেঞ্জগুলো না আসলে তো খেলার মজাটা আসবে না। আশা করি, সবাই চ্যালেঞ্জটা নিতে প্রস্তুত থাকবে আর ভালো করার চেষ্টা করবে।”

ভালো করাটা এখন পর্যন্ত শুধু প্রত্যাশাতেই আটকে আছে। মাঠে করে দেখানো যাচ্ছে না। অনেকের আঙুল কন্ডিশনের দিকে। অনেকে তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দক্ষিণ আফ্রিকায় থেকেও মানিয়ে নিতে সংগ্রাম করছেন। সেখানে সাকিব আসার পাঁচ দিন পর মাঠে নেমেই খেলেছেন ৬৮ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস। পার্থক্যটা কী তাহলে স্কিলে?

সাকিব জানান, সঠিক উত্তর নেই তার কাছেও। তারপরও নিজের মতো করে দিলেন একটা ব্যাখ্যা।

“বলা মুশকিল। একেক জনের ধরন তো একেক রকম। আমার মুভমেন্ট ভালো হচ্ছিল বলে হয়তো আমি সময় একটু বেশি পাচ্ছিলাম। এগুলো টেকনিক্যাল জিনিস আমি খুব একটা বলতে পারব না। (প্রথম ওয়ানডেতে) মাঠে আমরা কিভাবে অ্যাপ্রোচ করি সেটাই আমাদের জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।”

প্রথম টেস্ট শেষে মুশফিকুর রহিম বলেছিলেন, যেভাবে বাংলাদেশ খেলছে তাতে এক সিরিজে এত দিনের শ্রদ্ধা হারিয়ে যেতে পারে। সাকিব ব্যাপারগুলো এভাবে দেখেন না। একটা সিরিজে সব পাওয়া যায় না আবার একটা সিরিজে সব হারিয়েও যায় না।

“ক্রিকেট তো একটা খেলা, না? (এক সিরিজে শ্রদ্ধা হারানোর মতো) জিনিসগুলো ভাবা আমাদের কাছে মনে হয়, একটু হাসির মতোই। দক্ষিণ আফ্রিকা যখন শেষবার বাংলাদেশে গেছে ওরা (ওয়ানডে সিরিজে) হেরেছে। কেউ অনুমান করেনি, ওরা হারবে। তাতে কি ওদের সব অর্জন ম্লান হয়ে গেছে? অবশ্যই হয়নি। ব্যাপরাগুলো আসলে এমনই।”

গত ১৭ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় এসে পৌঁছায় বাংলাদেশ দল। তারপর থেকে পার হয়েছে লম্বা সময়। এর মধ্যেও কন্ডিশনের সঙ্গে পুরোপুরি মানিয়ে নিতে না পারায় সতীর্থদের খুব একটা দোষ দেখেন না সাকিব।

“যেহেতু ছোট বেলা থেকে ওরা এখানে খেলে, ওদের জন্য জেতাটা অনেক সহজ হবে; আমাদের জন্য অবশ্যই হবে না। যতই আমরা দুই-তিন-চার সপ্তাহ আগে আসি, এমনকি এক মাসের ক্যাম্প করি, দুই মাসের ক্যাম্প করি। দুই মাসের ক্যাম্প আর ২০ বছরের খেলার অভিজ্ঞতা তো এক না।”

প্রতিপক্ষ নিয়ে এত না ভেবে সহ-অধিনায়ক মনোযোগ দিতে চান নিজেদের দিকে। নিজেদের কাজটা কতটা ভালোভাবে করা যায় সেটাই তার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

“আমাদের বিশ্ব মানের খেলোয়াড় আছে, বিশ্ব মানের পারফরম্যান্স আছে। বড় বড় জায়গাতেও আমরা ভালো করেছি, আমরা সেই কাজগুলোই আবার যেন করতে পারি।”

টেস্ট সিরিজ খুব সহজেই জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সাকিবরা নিজের সেরা পারফরম্যান্সের পুররাবৃত্তি করতে পারলে ওয়ানডে সিরিজে ঘুরে দাঁড়ানো অসম্ভব হবে না বাংলাদেশের জন্য।