‘বিগ হিটিংয়ের’ ভাবনায় ‘এ’ দলে নাদিফ

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে শুরুর দিকে বাংলাদেশের বাজি ছিলেন তিনি। তবে সেই আশা পূরণ হয়নি। পথ হারিয়েছেন পরে। ঘরোয়া ক্রিকেট অবশ্য খেলে যাচ্ছিলেন। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবশেষ খেলার ১০ বছর পর আরেকটি ‘লাইফ লাইন’ পেলেন নাদিফ চৌধুরী। আক্রমণাত্মক এই ব্যাটসম্যানকে নেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দলে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Oct 2017, 03:44 PM
Updated : 12 Oct 2017, 04:25 PM

আয়ারল্যান্ডে ‘এ’ দলের বিপক্ষে একদিনের ম্যাচের সিরিজের বাংলাদেশ ‘এ’ দলে সবচেয়ে বড় চমক নাদিফের নামটিই। চারদিনের ম্যাচের স্কোয়াডের মত একদিনের সিরিজের দলও গড়া হয়েছে তারুণ্যকে প্রাধান্য দিয়ে। সেই দলেই জায়গা করে নিয়েছেন ৩০ বছর বয়সী নাদিফ।

বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের জন্য পরিচিত ছিলেন নাদিফ। ২০০৬ সালে বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয় তার ১৯ বছর বয়সে। পরে খেলেছিলেন ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও। সব মিলিয়ে ৩টি ম্যাচ খেলে ভালো করতে না পারায় জায়গা হারান দলে।

এরপরে আর জাতীয় দলে ফেরা হয়নি। ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে গেছেন নিয়মিত। কিন্তু জাতীয় দলে বিবেচিত হওয়ার মত ধারাবাহিক হতে পারেননি কখনোই। এবারও ‘এ’ দলে সুযোগ পাওয়ার পেছনে ধারাবাহিকতা নয়, বড় ভূমিকা তার বড় শট খেলার সহজাত ক্ষমতার।

জাতীয় লিগের তৃতীয় রাউন্ডে খুলনার বিপক্ষে ঢাকা বিভাগের হয়ে সাত নম্বরে ২৩৯ বলে ১৬৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন নাদিফ। ১৭টি চারের পাশে ইনিংসে ছিল ৬টি ছক্কা। ওই ইনিংসই মূলত নাদিফকে নিয়ে এসেছে ‘এ’ দলে।

ইনিংসটি দেখে মুগ্ধ নির্বাচক হাবিবুল বাশার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরকে জানালেন, নাদিফের সামর্থ্য আরেকটু বড় পরিসরে পরখ করতে চান তারা। 

“নাদিফ তো বরাবরই বিগ হিটিংয়ের জন্য পরিচিত ছিল। সব সময় হয়ত সেভাবে প্রমাণ করতে পারেনি। তবে এবার ওর ১৬৬ রানের ইনিংসটি দেখে মনে হয়েছে, ওর সহজাত ক্ষমতাটি খুব ভালোভাবেই আছে এখনও। বয়সও খুব বেশি হয়নি।”

“বাংলাদেশের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলে একজন বিগ হিটার আমরা অনেক দিন থেকেই খুঁজছি। যে কিনা বড় শট খেলতে পারে, অনায়াসেই মাঠ পার করতে পারে। নাদিফ সেটা খুব ভালো পারে। ফিটনেস খারাপ নয়, ফিল্ডিংটা দারুণ। জাতীয় দলের কথা এখনই ভাবছি না। ‘এ’ দলে দেখে নিতে চাই কেমন খেলে।”

৩০ বছর বয়সী নাদিফ মাত্রই খেলেছেন তার শততম প্রথম শ্রেণির ম্যাচ। লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ খেলেছেন ১০৪টি।

সাদা পোশাকের মত রঙিন পোশাকেও ‘এ’ নেতৃত্ব দেবেন নাজমুল হোসেন শান্ত।

দলে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট সিরিজ খেলে ফেরা পেসার শুভাশিস রায়। আছেন দীর্ঘদিন জাতীয় দলে বাইরে থাকা পেস বোলিং অলরাউন্ডার আবুল হাসান। হাই পারফরম্যান্স দলের হয়ে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড সফর করে আসা অলরাউন্ডার তানবীর হায়দার খানও পেয়েছেন জায়গা।

৫ ম্যাচের একদিনের সিরিজটি শুরু ১৭ অক্টোবর। কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের দুটি মাঠে হবে ৫টি ম্যাচ।

বাংলাদেশ ‘এ’ দল: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), সাদমান ইসলাম, আল আমিন, জাকির হাসান, ইয়াসির আলি রাব্বি, নুরুল হাসান সোহান, সানজামুল ইসলাম, তানবীর হায়দার খান, আবুল হাসান রাজু, শুভাশিস রায় চৌধুরী, ইমরান আলি এনাম, মেহেদি হাসান, নাদিফ চৌধুরী, আবু হায়দার রনি।