ব্লুমফন্টেইনে বুধবার সকাল সাড়ে নয়টায় শুরু হয় বাংলাদেশ দলের অনুশীলন। ওয়ার্মআপ দিয়ে শুরুর পর কিছুক্ষণ ফুটবল খেলেন মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহরা। এরপর ফিল্ডিং অনুশীলন। দুই গ্রুপ তৈরি করে ফিল্ডিং অনুশীলনেও প্রতিযোগিতার আবহ এনে ছিলেন রিচার্ড হ্যালসল।
টেস্টে সিরিজে বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলা মুশফিকুর রহিমকে দেখা গেছে গ্লাভস হাতে। তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ ও দুটি টেস্টে উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়েছিলেন লিটন দাস। ওয়ানডে সিরিজের দলেও আছেন তিনি। তবে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে এখনও মুশফিকই বাংলাদেশের প্রথম পছন্দ।
এরপর ইনডোরে চলে রুদ্ধদ্বার ব্যাটিং, বোলিং অনুশীলন। পাঁচ পেসার মাশরাফি, মুস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন, তাসকিন আহমেদ ও মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন নেটে ১০ ওভার করে বোলিং করেন। পরে মারিও ভিল্লাভারায়নের তত্ত্বাবধানে সেন্টার উইকেটে একের পর এক ইয়র্কার করতে হয় তাদের।
লম্বা সময় ধরে ব্যাটিং করতে হয়েছে ব্যাটসম্যানদের। কোনো নেটে কোচদের থ্রোয়ার, কোনো নেটে সতীর্থদের বোলিং, কোনটায় নেট বোলারদের খেলতে হয়েছে তাদের। একটা নেটে ছিল শুরু সামনে থেকে ছোড়া বাউন্সার সামলানোর পরীক্ষা। টেস্টের মতো ওয়ানডেতেও বাউন্সার সবচেয়ে বড় পরীক্ষা হবে ধরে নিয়ে এগোচ্ছে বাংলাদেশ।
টেস্ট সিরিজে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে না পারা বাংলাদেশ তাকিয়ে আছে বৃহস্পতিবারের প্রস্তুতি ম্যাচের দিকে। এমনতি প্রস্তুতি ম্যাচে প্রস্তুতিটাই আসল, জয়-পরাজয় বড় কোনো ব্যাপার নয়। তবে টেস্টে সিরিজের ব্যর্থতার পর নড়ে যাওয়া আত্মবিশ্বাস ঠিক করতে এই ম্যাচ জেতার জন্য খেলতে চায় অতিথিরা।
অনুশীলন শেষে বাংলাদেশের ম্যানেজার মিনহাজুল আবেদীন জানান, একটি জয় নিয়ে প্রথম ওয়ানডের ভেন্যু কিম্বার্লি যেতে চান তারা।
“প্রতিপক্ষ দলে এবি ডি ভিলিয়ার্স, জেপি দুমিনি, কেশভ মহারাজ আছে। ওরা শক্তিশালী একটি দল গঠন করেছে। আমরা জেতার জন্য খেলব। এখানে ভালো খেলার আত্মবিশ্বাস নিয়ে নতুন ভেন্যুতে যেতে চাই।”
আগামী রোববার কিম্বার্লিতে হবে প্রথম ওয়ানডে। তার আগে বৃহস্পতিবার নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ অতিথিদের সামনে।