২০০২ সালে প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করে বাংলাদেশ। ২০০৮ সালে দ্বিতীয়বারের মতো আসে দেশটি। তার প্রায় নয় বছর পর আবার পূর্ণাঙ্গ সফরে এসেছে তারা।
দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলা ছয় টেস্টেই হেরেছে বাংলাদেশ। এর তিনটি ইনিংস ব্যবধানে। অধিনায়কের কাছে এই সব হারের অন্যতম কারণ, দক্ষিণ আফ্রিকা সব সময়ই অচেনা থেকে যাওয়া।
সর্বশেষ সফরের দলটি থেকে এবারের সিরিজে ছিলেন কেবল মুশফিক, তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস। চোটের জন্য দ্বিতীয় টেস্টে খেলতে পারেননি তামিম। মুশফিক মনে করেন, আফ্রিকায় খেলার অনভিজ্ঞতা ভুগিয়েছে তাদের।
“এমন কন্ডিশনে খেলা যে আমাদের জন্য মোটেই সহজ না তা বোঝা গেল। ৯ বছর পর না তিন বছর পরপরও যদি খেলার সুযোগ পাই তাহলে বাংলাদেশ দল এখানে আরও ভালো করবে।”
এবারের সফরের জন্য বাংলাদেশ যে প্রস্তুতি নিয়ে এসেছে তা যে যথেষ্ট নয় তার প্রমাণ পেয়েছে বাংলাদেশ।
“আমার মনে হয়, আমরা একটা বড় বার্তা পেলাম, এমন কন্ডিশনে খেলতে হলে আমাদের কিভাবে প্রস্তুত হতে হবে। আরও কত কত বড় চ্যালেঞ্জ উতরানোর প্রস্তুতি নিয়ে আসতে হবে।”
ঠিক যে ধরনের উইকেটে খেলা হবে বলে ভেবেছিল বাংলাদেশ, তেমন উইকেট ছিল না কোনো টেস্টেই। সেদিক থেকে বড় একটা সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় আফসোস অধিনায়কের।
“অনেক বড় সুযোগ ছিল ভালো খেলার। দুই টেস্টে এখানে সবাই যা করেছে তার চেয়ে অনেক ভালো করার সামর্থ্য ছিল। সেদিক থেকে খারাপ লাগছে। আমাদের যতটা সামর্থ্য আছে আমরা তার শতভাগ পুরো বিশ্বকে দেখাতে পারিনি, তার জন্য খারাপ লাগছে।”
প্রথম টেস্টে ৩৩৩ রানে হার। পরেরটিতে ইনিংস ও ২৫৪ রানে। দুই ম্যাচে ব্যাটিং-বোলিং সমান হতাশ করেছে মুশফিককে।
“বোলারদের সামর্থ্য ছিল আরও ভালো করার। সঠিক লাইন, লেংথে লম্বা সময় ধরে বল করে যাওয়ার সামর্থ্য ওদের আছে। ব্যাটিং নিয়েও অবশ্যই হতাশ। যদি দৃঢ় প্রতিজ্ঞা নিয়ে খেলা যেত…। আপনি দেখেন খুব কম ব্যাটসম্যান শুরুতেই আউট হয়েছে। অনেকেই থিতু হয়ে আউট হয়েছে।”
“অবশ্যই আমাদের এখান থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। যারা এর পরে দক্ষিণ আফ্রিকায় আসবেন তারা ব্যাপারটা মাথায় রাখবেন। এরচেয়ে আরও ভালো পারফর্ম করবেন তারা।”
আবার কবে সফরের সুযোগ মিলবে তা অনিশ্চিত। কিন্তু ‘এ’ দল, এইচপি দল পাঠানো তো সম্ভব। সেই অভিজ্ঞতাও কাজে লাগতে পারে পরের সফরে।