‘জিতলে কৃতিত্ব ম্যানেজমেন্টের, হারলে দায় অধিনায়কের’

কোচের সঙ্গে শীতল সম্পর্কের গুঞ্জন নিয়ে সরাসরি কথা বললেন না মুশফিকুর রহিম। তবে দলের বিপর্যয় নিয়ে আবারও তার কণ্ঠে উঠে এলো আক্ষেপ। ভালো করলে কৃতিত্ব হয় টিম ম্যানেজমেন্টের, খারাপ করলে দায় অধিনায়কের!

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Oct 2017, 03:29 PM
Updated : 8 Oct 2017, 04:05 PM

মুশফিকের অধিনায়কত্বের অধ্যায় সাফল্য ও সমালোচনার অবিশ্বাস্য মেলবন্ধন। পরিসংখ্যানে দেশের সফলতম টেস্ট অধিনায়ক তিনি। কিন্তু একই সঙ্গে সম্ভবত দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে সমালোচিত অধিনায়কও। চলতি দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ সমালোচনার আগুনে ঘি ঢেলেছে নতুন করে।

মাঠের ভেতরে ও বাইরে নেতৃত্ব নিয়ে সমালোচনার পাশাপাশি যোগ হয়েছে কোচের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির গুঞ্জন। কোচদের কথায় তার ফিল্ডিং পজিশনও ঠিক হয়, প্রকাশ্যে এটি বলার পর গুঞ্জনের পালে লাগে আরও জোর হাওয়া।

টেস্ট সিরিজ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আবার এই প্রসঙ্গের মুখোমুখি হলেন মুশফিক। কোচের প্রসঙ্গে উত্তর দিলেন ঘুরিয়ে, দায়ভারের প্রশ্নে আক্ষেপটা ফুটিয়ে তুললেন সরাসরি।

“এটা তার কাছ থেকে জানাই ভালো (কোচের সঙ্গে সম্পর্ক)। আমি সব সময়ই আমার চেষ্টা করি। টিম ম্যানেজমেন্টও তাদের দিক থেকে তাদের সেরা চেষ্টা করে।”

“আমি মনে করি, যখন দল ভালো করে তখন সব কৃতিত্ব যায় টিম ম্যানেজমেন্টের দিকে। যখন দল ভালো করে না, তখন সব দায় এসে পড়ে অধিনায়কের ওপর। পরে যে-ই আসুক আশা করি, বাংলাদেশ গত দুই টেস্টে যা করেছে, আশা করি তার চেয়ে অনেক ভালো করবে।”

মুশফিকের মতে, দলের সাফল্যের কৃতিত্ব বা ব্যর্থতার দায়, দুটিই সবার।

“আমাদের যে কোচ আছে, তিনি আসার পর থেকে এত সাফল্য পাচ্ছে বাংলাদেশ দল… এটা তো আমার একার কৃতিত্ব না, কোচেরও না। এটা সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা। গত তিন বছরে বোর্ডও অনেক সহায়তা করেছে। মাঠ আর মাঠের বাইরে সবার কম্বিনেশন ঠিক না থাকলে আসলে ফল আসে না। সবার সম্পর্ক খুব ভালো বলেই আমরা ফল পাচ্ছিলাম।”

“দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের দুয়েকজন সেরা খেলোয়াড় এখানে খেলেনি। এটা একটা বড় ধাক্কা হয়ে এসেছে। ব্যাটিং ইউনিটের জন্য এটা স্বাভাবিক। এমনও দুই-তিনজন ব্যাটসম্যান এখানে খেলেছে, যারা নিশ্চিত না তারা পরের টেস্ট খেলবে কি না। এরকম হলে তাদের জন্য কঠিন হয়ে যায়। আমি হতাশ এই কারণে যে আমাদের সামর্থ্যের পুরোটা আমরা দেখাতে পারিনি।”

ব্লুমফন্টেইন টেস্টের প্রথম দিন শেষে মুশফিক বলেছিলেন, কোচদের চাওয়াতেই বোলারদের কাছাকাছি ফিল্ডিং না করে সীমানায় ফিল্ডিং করেছেন। ম্যাচ শেষে সেই মুশফিকই আড়াল করতে চাইলেন কোচকে।

“যে যার মতামত দেওয়ার চেষ্টা করে। আমরা সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি। এটা কারোর ব্যক্তিগত দল না। এখানে কে খেলবে, কে খেলবে না, তার ব্যাপারেও সবার সিদ্ধান্ত থাকে। আমি যেহেতু মাঠে থাকি আমি তা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করি। সেদিক থেকে বলবো, যদি সিদ্ধান্ত ক্লিক করতো আমাদের নাম হত। ব্যর্থ যখন হয়েছি, তখন দায় তো আমাদেরই।”