নেতৃত্ব নিয়ে সিদ্ধান্ত বোর্ডের ওপর ছাড়লেন মুশফিক

বিসিবি দায়িত্ব দিয়েছে, সরিয়ে দিলে তারাই সরাবেন, স্বেচ্ছায় সরে যাবেন না মুশফিকুর রহিম। এক সিরিজের ব্যর্থতায় নেতৃত্ব থেকে সরে যাওয়ার কোনো কারণ দেখছেন না বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক।

অনীক মিশকাতঅনীক মিশকাতব্লুমফন্টেইন থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Oct 2017, 01:50 PM
Updated : 9 Oct 2017, 11:12 AM

দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে প্রথম টেস্ট ৩৩৩ রান এবং পরেরটি ইনিংস ও ২৫৪ রানে হারে বাংলাদেশ। পুরো সিরিজেই সমালোচিত হয়েছে মুশফিকের নেতৃত্ব।

শোনা যাচ্ছে তাকে সরিয়ে দেওয়ার গুঞ্জন। অধিনায়ক অবশ্য পুরো ব্যাপারটিই ছেড়ে দিয়েছেন বোর্ডের ওপর। দ্বিতীয় টেস্ট শেষে সংবাদ সম্মলনে এসে জানালেন, দলকে নেতৃত্ব দিতে যেতে চান তিনি।

“আমাকে সরানো হবে কি না এই সিদ্ধান্তের ভার বোর্ডের ওপর। তারাই আমাকে এই সম্মান, দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছে। আমি সততার সঙ্গে আমার সেরা চেষ্টা করেছি। তারা যদি সন্তুষ্ট না হয় তাহলে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।”

“যা ঘটেছে আমি প্রথম দিনের খেলা শেষে কথা বলতে এসে কেবল তারই বর্ণনা দিয়েছি। যদি কেউ আমার মন্তব্যে খুশি না হয় তাদের অধিকার আছে আমার বা দলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার।”

ব্লুমফন্টেইন টেস্টের প্রথম দিনের খেলা শেষে এক প্রশ্নের জবাবে অধিনায়ক বলেছিলেন, কোচদের চাওয়ায় সীমানায় ফিল্ডিং দিতে হয় তাকে। তার বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান।

দক্ষিণ আফ্রিকায় দল খুবই বাজে খেলেছে। বোর্ডও তেতে আছে। মুশফিকের সরে যাওয়ার জন্য কী এটাই সময়?

“আমি কেন সরে যাব? এটা তো ব্যক্তিগত কোনো খেলা না, দলীয় খেলা। অবশ্যই অধিনায়ক হিসেবে সব ব্যর্থতায় দায় আমার দিকেই আসবে। আমি সেটা নিচ্ছিও। দেশকে নেতৃত্ব দেওয়া আমার জন্য অনেক সম্মানের। আমি গর্বিত। এটা হবে বোর্ডের সিদ্ধান্ত। কারণ, তারাই আমাকে এনেছে।”

বাংলাদেশের পরের সিরিজ আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে দেশের মাটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। নিজের অর্জনে খুশি মুশফিক মনে করেন, নতুন অধিনায়ক বেছে নিতে চাইলে যথেষ্ট সময় আছে বোর্ডের হাতে।