১৯৬ রানে আউট হয়েছেন করুনারত্নে। দুবাইয়ে দিবারাত্রি টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৪৮২ রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা। পাকিস্তান দিন শেষ করেছে বিনা উইকেটে ৫১ রান তুলে।
এত কাছে গিয়ে আউট হওয়ার পাশাপাশি করুনারত্নের হতাশাটা হয়ত বেশি আউটের ধরনে। ওয়াহাব রিয়াজের স্লোয়ার তার ব্যাটের কানায় লেগে শরীর ছুঁয়ে লাগে স্টাম্পে।
১৮৪ রান খরচায় ৬ উইকেট নিয়েছেন ইয়াসির শাহ। ইতিহাসের প্রথম স্পিনার হিসেবে পরপর ৫ টেস্টে নিলেন ৫ উইকেট।
১৩৩ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিলেন করুনারত্নে, ৪৯ রানে চান্দিমাল। আগের টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান চান্দিমাল এবার ফেরেন ৬২ রানে। তবে সঙ্গীর অভাব হয়নি করুনারত্নের।
পঞ্চম উইকেটে নিরোশান ডিকভেলার সঙ্গে গড়েন ৮৮ রানের জুটি। সহজাত আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ডিকভেলা করেন ৫৩ বলে ৫২।
এরপর দিলরুয়ান পেরেরার সঙ্গেও গড়ে উঠেছে আরেকটি জুটি। ৫৯ রানের এই জুটি ভেঙেছে করুনারত্নের হতাশাজনক বিদায়ে। ৪০৫ বল খেলে ১৯ চার ও ১ ছক্কায় করেছেন ১৯৬।
ব্যাট হাতে নিয়মিত অবদান রাখতে শুরু করা পেরেরা ৭৬ বলে করেছেন ৫৮। লোয়ার অর্ডার সেভাবে দাঁড়াতে না পারায় পাঁচশ ছোঁয়া হয়নি শ্রীলঙ্কার।
আগের টেস্টের মত এবারও পাকিস্তানকে ভালো শুরু এনে দিয়েছেন সামি আসলাম ও শান মাসুদ। তবে বড় রানের বোঝা মাথায় নিয়ে পথের এখনও অনেক বাকি পাকিস্তানের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ১৫৯.২ ওভারে ৪৮২ (আগের দিন ২৫৪/৩) (করুনারত্নে ১৯৬, চান্দিমাল ৬২, ডিকভেলা ৫২, পেরেরা ৫৮, হেরাথ ২৭*, লাকমল ৮, গামাগে ১, প্রদিপ ০; আমির ১/৭৪, আব্বাস ২/১০০, ওয়াহাব ১/৬৩, ইয়াসির ৬/১৮৪, শফিক ০/২৪, সোহেল ০/৩৪)।
পাকিস্তান: ১৮ ওভারে ৫১/০ (মাসুদ ১৫*, আসলাম ৩০*; লাকমল ০/১১, প্রদিপ ০/৭, গামাগে ০/১১, পেরেরা ০/১৫, হেরাথ ০/১)।