দ্বিতীয় ইনিংসে ছয়শ রান সম্ভব: লিটন

ব্যাটিংয়ের জন্য চমৎকার উইকেটে ব্যাটসম্যানরা কেবল গেলেন আর এলেন। তাতে ইনিংস পরাজয়ের শঙ্কায় বাংলাদেশ। টানা দুই ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটিং কেন ধসে গেল তার কোনো ব্যাখ্যা নেই লিটন দাসের কাছে। তবে প্রথম ইনিংসের সেরা ব্যাটসম্যান মনে করছেন, দক্ষিণ আফ্রিকাকে আবার ব্যাটিংয়ে পাঠানোর সামর্থ্য আছে তাদের।

ক্রীড়া প্রতিবেদক ব্লুমফন্টেইন থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Oct 2017, 05:50 PM
Updated : 7 Oct 2017, 05:50 PM

দক্ষিণ আফ্রিকার ৪ উইকেটে ৫৭৩ রানের জবাবে বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ১৪৭ রানে। ফলো অনে পড়া দলটি দ্বিতীয় ইনিংসে কোনো উইকটে না হারিয়ে করেছে ৭ রান। ইনিংস পরাজয় এড়াতে এখনও তাদের চাই ৪১৯ রান। 

ক্যারিয়ার সেরা ৭০ রানের ইনিংস খেলা লিটন দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে দলের প্রতিনিধি হয়ে আসেন সংবাদ সম্মেলনে। এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানের বিশ্বাস, দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ।

“লক্ষ্য এখন অনেক বড়। আমরা অনেক ব্যাকফুটে। চেষ্টা করব যেন ভালো খেলা যায়। এমন কিছু তো হতেই পারে, এখান থেকে আমাদের কোনো ব্যাটসম্যান দুইশ মেরে দিতে পারে। কোনো কিছুই অসম্ভব না। আমরা দ্বিতীয় ইনিংসে ছয়শও করতে পারি। তখন তারা আবার ব্যাটিংয়ে আসতে পারে। এই আশায় আছি আমরা।”

সৌম্য সরকার ও মুমিনুল হকের বিদায়ের পর বাংলাদেশ তাকিয়ে ছিল মুশফিকুর রহিমের দিকে। অধিনায়কও দুই অঙ্কে যেতে পারেননি। ফিরেন গালিতে টেম্বা বাভুমার দুর্দান্ত এক ক্যাচে পরিণত হয়ে। লিটন মনে করেন, এই ক্যাচটা চাপে ফেলে দেয় তাদের।

“আমরা খুব দ্রুত কয়েকটা উইকেট হারিয়ে ফেলি আজকেও। বাভুমা অসাধারণ একটা ক্যাচ নিয়েছে। ক্যাচ অনেক সময় মোমেন্টাম বদলে দেয়। মুশফিক ভাই টেস্ট ব্যাটসম্যানদের মধ্যে অনেক ভালো। কয়েক বছর ধরে ভালো খেলছেন। এরকম একটা ক্যাচ যদি এভাবে কেউ নিয়ে নেয় একটু চাপ আসে দলের ওপর।”

পচেফস্ট্রুম টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে ৯০ রানের পর এবার প্রথম ইনিংসে ১৪৭। বাজে দিন মনে করে এগুলো ভুলে সামনে তাকাতে চান লিটন।

“এমন দিন যাবে তা তো কখনোই কেউ আশা করে না। আমরা ভালো দল, এর চেয়ে ভালো খেলতে পারি। কিন্তু ক্রিকেটে অনেক কিছুই হয়। এটা মেনে নিতে হবে আপনাকে।”

লম্বা সময় উইকেট ছিলেন লিটন। পিচে ব্যাটসম্যানদের জন্য ভয়ের কিছু দেখেননি তিনি। সতীর্থের আউটের ব্যাখ্যা খুঁজতে গিয়ে গলদঘর্ম হতে হল তাকে।

“আপনাকেও বুঝতে হবে আমরা দশ বছর পর এখানে এসেছি। এই কন্ডিশনে বা এই উইকেটে খেলে আমরা অভ্যস্ত না। অজুহাত দেখানো যদিও ঠিক না, আমাদের ভেতর এরকম অনেক কিছুই কাজ করে। এর চেয়ে আমরা ভালো দল। হয়তো পরের ইনিংসে আমরা ভালো খেলব।”

মাঠে লিটন নিজেই দেখিয়েছেন প্রতিজ্ঞা আর টিকে থাকার মানসিকতা থাকলে রান পাওয়া অসম্ভব নয়। বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যনরা সবাই তার মতো উইকেটে থাকার মানসিকতা দেখালে ব্লুমফন্টেইন টেস্টের দৈর্ঘ্যটা আরও বড় হতেই পারে। সেদিকেই তাকিয়ে বাংলাদেশ।