করুনারত্নের সেঞ্চুরিতে এগিয়ে শ্রীলঙ্কা

খুব কাছে গিয়েও না পাওয়ার হতাশা বুঝি এভাবেই পেছনে ফেলতে হয়! আগের টেস্টের প্রথম দিনে রান আউট হয়ে গিয়েছিলেন ৯৩ রানে। আবু ধাবিতে সেঞ্চুরি না পাওয়ার সেই আক্ষেপ দিমুথ করুনারত্নে মুছে দিলেন দুবাইয়ে প্রথম দিনে সেঞ্চুরি করে। এবার আর কোনা ভাবেই হার মানা নয়, দিন শেষেও অপরাজিত বাঁহাতি ওপেনার।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Oct 2017, 06:14 PM
Updated : 6 Oct 2017, 06:14 PM

করুনারত্নের দারুণ অপরাজিত সেঞ্চুরিতে দুবাইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে দিবা-রাত্রির টেস্টের প্রথম দিনটি নিজেদের করে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। দিন শেষে রান ৩ উইকেটে ২৫৪।

১৩৩ রানে দিন শেষ করেছেন করুনারত্নে। জমে গেছেন আগের টেস্ট জয়ের অন্যতম নায়ক দিনেশ চান্দিমালও। লঙ্কান অধিনায়ক অপরাজিত ৪৯ রানে।

কৌশল সিলভাকে নিয়ে ইনিংসের শুরুটাও ভালো করেছিলেন করুনারত্নে। নতুন গোলাপি বল দারুণ সুইং করিয়েছেন মোহাম্মদ আমির। একাদশে ফেরা ওয়াহাব রিয়াজের প্রথম স্পেলে ছিল আগ্রাসন। সেসব সামলে করুনারত্নে- কৌশল গড়েন ৬৩ রানের জুটি।

পাকিস্তান উইকেটের দেখা পায় দলের সেরা অস্ত্র ইয়াসির শাহর হাত ধরে। ২৭ রানে ফেরান কৌশল সিলভাকে।

তিনে নেমে নজর কাড়েন অভিষিক্ত সাদিরা সামারাবিক্রমা। শ্রীলঙ্কার ঘরোয়া ক্রিকেটে আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের জন্য পরিচিত তরুণ ব্যাটসম্যান আন্তর্জাতিক অভিষেক ইনিংসেও খেলেছেন রোমাঞ্চকর ক্রিকেট।

৫ চার ও ১ ছক্কায় তার ৩৫ বলে ৩৮ রানের ইনিংস শেষ হয় আমিরের দারুণ ফিরতি ক্যাচে। পরের ওভারে ইয়াসিরের বলে বাজে শটে আউট হন কুসল মেন্ডিস।

পাকিস্তান তখন ম্যাচে ফিরেছে ভালোভাবেই। শ্রীলঙ্কার রান ৩ উইকেটে ১৩৬। সেখান থেকে সারা দিনে আর কোনো উইকেট হারাতে দেননি করুনারত্নে ও চান্দিমাল।

আগের টেস্টের মতোই ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ে একটু একটু করে দলকে এগিয়ে নেন দুজন। তাদের ব্যাটিং দৃঢ়তায় মুখ থুবড়ে পড়ে পাকিস্তানের সব প্রচেষ্টা।

১৯৭ বলে করুনারত্নে স্পর্শ করেন তার সপ্তম টেস্ট সেঞ্চুরি। এর চারটিই করেছেন দলের দ্বিতীয় ইনিংসে, প্রথম ইনিংসে হলো তিনটি।

দিন শেষে ২৮১ বলে ১৩৩ রানে অপরাজিত করুনারত্নে। ১ রানে মোহাম্মদ আব্বাসের হাতে জীবন পাওয়া চান্দিমাল যেন ধৈর্যের প্রতিমূর্তি। দিন শেষ করেছেন ১৫৩ বলে ৪৯ রানে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ৯০ ওভারে ২৫৪/৩ (করুনারত্নে ১৩৩*, কৌশল ২৭, সামারাবিক্রমা ৩৮, মেন্ডিস ১, চান্দিমাল ৪৯*; আমির ১/৫৯, আব্বাস ০/৪৮, ওয়াহাব ০/২৫, ইয়াসির ২/৯০, শফিক ০/১৬, সোহেল ০/১৫)।