ব্লুমফন্টেইনে বাংলাদেশের অগ্নিপরীক্ষা

দক্ষিণ আফ্রিকায় নিজেদের দেশের মতো উইকেট পেয়েও প্রথম পরীক্ষায় পুরোপুরি ব্যর্থ বাংলাদেশ। ব্যাটিং-বোলিং কোনো কিছুই সামর্থ্য অনুযায়ী করতে পারেনি মুশফিকুর রহিমের দল। ব্লুমফন্টেইনে তাদের সামনে অপেক্ষা করছে আরও বড় পরীক্ষা। খেলতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকার চাহিদা মতো বানানো উইকেটে।

ক্রীড়া প্রতিবেদক ব্লুমফন্টেইন থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Oct 2017, 04:26 PM
Updated : 5 Oct 2017, 04:41 PM

ম্যানগাউং ওভালে শুক্রবার শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট। খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বেলা দুইটায়। সিরিজে হার এড়াতে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই অতিথিদের।

আগে থেকেই নেই সাকিব আল হাসান। ঊরুর পেশির চোটের জন্য ছিটকে গেছেন তামিম ইকবাল। বাঁচা-মরার ম্যাচে নেই দলের সেরা দুই ক্রিকেটার। তাই মুশফিকদের সামনে চ্যালেঞ্জটা এখন আরও বড়।

তারকা না থাকার পাল্লা যদিও ভারী দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে। এবি ডি ভিলিয়ার্স, ডেল স্টেইন, মর্নে মর্কেল, ভার্নন ফিল্যান্ডার, ক্রিস মরিসকে পাচ্ছে না স্বাগতিকরা। পেস বোলিং আক্রমণের নেতৃত্ব থাকবে কাগিসো রাবাদার কাঁধে।

চোট কাটিয়ে সৌম্য সরকার ফেরায় বাংলাদেশের ওপেনিংয়ে পরিবর্তন অনিবার্য ছিল। সাম্প্রতিক সময়ের বাজে পারফরম্যান্সে একাদশে জায়গা হারাতে পারতেন ইমরুল কায়েস। তামিমের চোটে টিকে গেলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

২০০৮ সালে এই মাঠেই টেস্ট অভিষেক হয়েছিল ইমরুলের। আবার সেই মাঠে ফেরার সময় তার ওপর টিকে থাকার চাপ। টেস্ট একাদশে জায়গা ধরে রাখতে দারুণ কিছুই করতে হবে তাকে।

দলে আসতে পারে আরও পরিবর্তন। প্রথম টেস্টে ৬৭ ওভার বল করে উইকেটশূন্য মেহেদী হাসান মিরাজের জায়গায় ফিলতে পারেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে অবশ্য ব্যাপারটি পরিষ্কার করেননি মুশফিক।

“যখন সাকিব থাকবে না তখন আপনাকে অবশ্যই একটা কিছু স্যাক্রিফাইস করতে হবে। সেদিক থেকে বলব, তাইজুল খেললে সেও হয়তো ভালো নাও করতে পারত। তখন আমরা বলতাম, একটা অফ স্পিনারের অভাব অনুভব করেছি কি না। সব বিবেচনা করে চেষ্টা করবো সেরা কম্বিনেশন যা হয় সেটা করার।”

সেনওয়েস পার্কে মুস্তাফিজুর রহমান ছাড়া বাকি দুই পেসার ছিলেন বিবর্ণ। শফিউল ইসলাম ৩৮ ওভার বল করে উইকেট নিয়েছেন কেবল একটি। তাসকিন আহমেদ ৩২ ওভার বল করে উইকেটশূন্য।

পেস বোলিং ইউনিটে আসতে পারে পরিবর্তন। মুশফিক দিলেন তারই ইঙ্গিত।

“যেহেতু এই উইকেট প্রথমটার চেয়ে ভিন্ন, এখানে পেসারদের জন্য বেশি সহায়তা থাকবে। এই উইকেট যারা বেশি ব্যবহার করতে পারবে তারা যেন খেলে। যে-ই খেলুক আমরা সবাই মিলে যেন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারি, সেই আত্মবিশ্বাস আর দৃঢ়তা যেন থাকে।”

চলতি বছর দেশের বাইরে এটাই শেষ টেস্ট। প্রতিপক্ষের মাঠে এই বছর এ পর্যন্ত ছয়টি টেস্ট খেলে পাঁচটিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। দেশের বাইরে নিজেদের সামর্থ্যের জানান দিতে চলতি বছরে এটাই শেষ সুযোগ মুশফিকদের দলের।

সুযোগটা দুই হাতে কাজে লাগাতে চান মুশফিক। ক্রিকেট বিশ্বকে দেখাতে চান, পচেফস্ট্রুম টেস্ট ছিল তাদের জন্য স্রেফ একটি বাজে ম্যাচ। বাংলাদেশের ক্রিকেট কতটা এগিয়েছে তার প্রমাণ দেখাতে চান ব্লমফন্টেইনের বাউন্সি উইকেট।