দক্ষিণ আফ্রিকান উইকেটে ভয় নেই বাংলাদেশে

নিজেদের দেশের মতো উইকেট পেয়ে প্রথম টেস্টে কিছু করতে পারল না বাংলাদেশ। পরের টেস্টের ‘দক্ষিণ আফ্রিকান’ উইকেটে নিশ্চয়ই অপেক্ষা করছে আরও কঠিন পরীক্ষা। তবে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম আশা দেখছেন সেই উইকেটেই।

দক্ষিণ আফ্রিকায় যেমন উইকেট পাবে বলে ধারাণা করে এসেছে বাংলাদেশ, তার কাছাকাছি উইকেট পাওয়া যেতে পারে ব্লুমফন্টেইনে। সেই উইকেটে চ্যালেঞ্জের মতো অধিনায়ক দেখেন সম্ভাবনাও। 

“চ্যালেঞ্জ তো অবশ্যই। আপনি যখন দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলতে আসবেন চ্যালেঞ্জ তো অবশ্যই থাকবে। এই ম্যাচ আমাদের জন্য অনেক বড় সুযোগও। এই মাঠে আগেও খেলেছি, যদিও ৯ বছর আগে।”

ম্যানগাউং ওভালে ২০০৮ সালে খেলেছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে খেলা মুশফিক আর ইমরুল কায়েস থাকতে পারেন শুক্রবার শুরু হওয়া সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে।

বাংলাদেশের কোনো সুখস্মৃতি নেই ব্লুমফন্টেইনে। ১৫৩ ও ১৫৯ রানে অলআউট হয়ে ইনিংস ও ১২৯ রানে হারের তেতো স্বাদ পেয়েছিল অতিথিরা। এবার তারচেয়ে অনেক ভালো করতে আত্মবিশ্বাসী মুশফিক।

“দক্ষিণ আফ্রিকায় আসার আগে আমরা এমন উইকেট পাওয়ার কথাই ভেবেছিলাম। প্রথম টেস্টের উইকেট আমাদের মতো হলেও আমরা হয়তো আমরা নিজেদের প্রয়োগ করতে পারিনি, বাস্তবায়ন করতে পারিনি। তারমানে এটা না, ওদের হোম কন্ডিশনে টাফ উইকেটে আমরা ভালো খেলতে পারব না।”

“আশা ছিল হয়তো, প্রথম টেস্টে আমরা অনেক ভালো করব। সেটা আমরা পারিনি। প্রথম টেস্টে আমরা ছোট ছোট কিছু ভুল করেছি, তার জন্যই হয়তো বা প্রথম টেস্টটা আমরা বাজেভাবে হেরেছি। এখানে টাফ কন্ডিশন হলেও, এখানে এর আর আগেও আমরা খেলেছি।”

দুঃস্বপ্নের হার ভুলতে সতীর্থদের শিকড়ে ফিরতে বললেন অধিনায়ক। প্রক্রিয়া ঠিক রাখার দিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে বললেন।

“আমরা প্রক্রিয়া ঠিক রাখতে পারি, যা কিনা আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এখন। আপনি একটা সেশনে ৬/৭টা উইকেট হারিয়ে ফেললে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো খুব কঠিন হয়ে যায়। একটা সেশন খারাপ গেলেও সেখানে যেন আমরা দুই-তিনটার বেশি উইকেট না হারাই।”

“বোলিংয়ে ২০০ বা ৩০০ রানে এক উইকেট না হয়ে আমরা যেন চেষ্টা করি, ৫/৬টা উইকেট নেওয়ার। এই কাজগুলো করতে হলে, প্রক্রিয়াগুলো ঠিক রাখতে হয়। আমরা সেদিকে জোর দিচ্ছি। খেলোয়াড় হিসেবে আমার বিশ্বাস, ওদের সামর্থ্য আছে। এখন ওদের দৃঢ়তার ওপর নির্ভর করছে।”

মুশফিকের কাছে ব্লুমফন্টেইন টেস্ট নিজেদের প্রমাণের। ক্রিকেট বিশ্বকে দেখাতে চান প্রথম টেস্ট তাদের জন্য কেবলই বাজে একটা ম্যাচ।

“শেষ টেস্টে যেমন খেলেছি, আমরা তার চেয়ে অনেক ভালো দল। আমরা সেটাই প্রমাণ করার চেষ্টা করব এই টেস্টে।”

“আমরা যেন নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারি, বিশেষ করে ব্যাটসম্যানরা। ভালো শুরু পেলে সেটা যেন বড় ইনিংসে পরিণত করতে পারি। আর বোলাররা যদি ভালো লাইন, লেংথে বল করি, ধারাবাহিকভাবে চাপটা রাখতে পারি তাহলে আশা করছি, খুব ভালো একটা টেস্ট হবে।”