সবশেষ ২০১৩ সালে সাকিব, তামিমকে ছাড়া কোনো টেস্ট খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। এবারের মতোই আগে থেকে ছিলেন না অলরাউন্ডার সাকিব, ম্যাচের আগে চোট পাওয়ায় ছিটকে গিয়েছিলেন বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিম।
ম্যানগাউং ওভালে শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে। তার আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক বলছিলেন সাকিব, তামিমের অনপুস্থিতি নিয়ে।
“আমাদের জন্য একটা ভালো সুযোগ এখানে ভালো কিছু করার। আমি যদি ভুল না করে থাকি, এই দুই জনকে ছাড়া আমরা সম্ভবত শেষ টেস্ট খেলেছিলাম গলে। সেই টেস্ট আমরা ড্র করেছিলাম। সেটাও কিন্তু আমাদের জন্য অত সহজ ছিল না। ওই সময়ে শ্রীলঙ্কা দলে যে খেলোয়াড়রা ছিলেন তারা এখনকার ক্রিকেটারদের চেয়ে অনেক ভালো ছিলেন।”
সেই ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন মুশফিক। প্রথম ইনিংসে ৬৩৮ রানের বিশাল সংগ্রহের ওপর ভর দিয়ে ম্যাচ ড্র করেছিল বাংলাদেশ।
সেই ম্যাচ থেকে অনুপ্রেরণা পাচ্ছেন অধিনায়ক। দলের অন্যদের ওপর আস্থা রেখে ভালো করতে আশাবাদী। কিন্তু প্রথম টেস্টে অমন বাজেভাবে হারের পর এই মুহূর্তে সেরা দুই ক্রিকেটারকে দলে খুব দরকার ছিল মুশফিকের।
“আপনার সেরা দুই খেলোয়াড় যখন থাকবে না… আমি বলবো আমাদের জন্য অনেক বড় একটা ধাক্কা। ওদের খুব দরকার ছিল এখানে। কারণ, আপনারা জানেন প্রথম টেস্ট আমরা খুব বাজেভাবে হেরেছি।”
সৌম্য সরকার চোট থেকে সেরে উঠেছেন। তিনি ফিরলে হয়তো একাদশে জায়গা হারাতেন ইমরুল কায়েস। আরেকটা সুযোগ পাচ্ছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। মুশফিকের আশা, সাকিব-তামিমের অনুপস্থিতিতে অন্যরা আরও বেশি দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসবেন।
“আমি মনে করি, সময় কারোর জন্য থেমে থাকে না। আমাদের অন্য খেলোয়াড় যারা আছে তারা যদি সুযোগ কাজে লাগায় তাহলে ভালো কিছু হবে।”