প্রথম টেস্ট জিততে শেষ দিন বাংলাদেশের শেষ ৭ উইকেট চাই দক্ষিণ আফ্রিকার। ম্যাচ বাঁচাতে অতিথিদের কাটিয়ে দিতে হবে দিনটি।
সেনওয়েস পার্কে রোববার ইনিংসের প্রথম ওভারে বাংলাদেশকে কাঁপিয়ে দেন মর্কেল। তিন বলের মধ্যে ফিরিয়ে দেন দুই ব্যাটিং ভরসা তামিম ইকবাল ও মুমিনুল হককে।
টানা স্পেলের ষষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় বলটি করার পর সাইড স্ট্রেইনের জন্য মাঠ ছাড়েন মর্কেল। চতুর্থ দিনের খেলা শেষে দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা বাভুমা জানান, পঞ্চম দিন মর্কেলকে ছাড়ায় জয়ের চেষ্টা করতে হবে তাদের।
“ওকে না পাওয়াটা আমাদের জন্য হবে খুব হতাশার। এটা বড় একটা ধাক্কা। সৌভাগ্যবশত আমাদের দলে কাগিসো (রাবাদা), কেশভ (মহারাজ), ডায়ানে (অলিভিয়ের), আন্দিলে (ফেলুকওয়ায়ো) আছে। ওদের সামনে সুযোগ আছে এগিয়ে আসার।”
মর্কেল না থাকায় বোলিং আক্রমণের দায়িত্ব থাকবে তরুণ পেসার রাবাদার কাঁধে। সঙ্গে আছেন দুই পেসার অলিভিয়ের ও অভিষিক্ত ফেলুকওয়ায়ো।
মর্কেল মাঠ ছাড়ার আগে ছোটখাট আরেকটি ধাক্কা সামলাতে হয়েছে স্বাগতিকদের। ‘নো’ বলে মর্কেলের উইকেট!
“আমাদের বোলিং ইউনিট খুব সুশৃঙ্খল। ছেলেরা নেটে কঠোর পরিশ্রম করছে, এই জায়গাটায় উন্নতি করতে। ‘নো’ বলে মুশফিকুর মানের একজন ব্যাটসম্যানকে জীবন দেওয়া খুব হতাশার।”
বাংলাদেশের অধিনায়ক জীবন পাওয়ায় হতাশ দক্ষিণ আফ্রিকা। বাভুমা জানান, সবচেয়ে বেশি হতাশ মর্কেল নিজে।
“সে খুব হতাশ। সে দলের জন্য নিবেদিত একজন খেলোয়াড়। দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের একজন। সে জানে তার কাঁধে কতো দায়িত্ব। দলের বোলিংয়ের নেতৃত্ব তার কাঁধে। এমন কিছু হলে সে খুব আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে।”
এ নিয়ে ১৪ বার ‘নো’ বলের জন্য উইকেট থেকে বঞ্চিত হলেন মর্কেল।
বাভুমার বিশ্বাস, এখনও ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার যথেষ্ট সময় আছে তাদের সামনে। দিনের প্রথম ঘণ্টার দিকে অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছেন তারা।