দ্বিতীয় ইনিংসে শ্রীলঙ্কার বিপর্যয়ে মরা ম্যাচেই এখন দারুণ উত্তেজনা! পিছিয়ে থাকার শঙ্কা থেকে অভিষিক্ত হারিস সোহেলের পাকিস্তান পায় ৩ রানের লিড। ৪ উইকেটে ৬৯ রান নিয়ে শ্রীলঙ্কা শেষ করেছে চতুর্থ দিন।
পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় সম্ভাবনা ও শ্রীলঙ্কার অস্বস্তি, ফিরে গেছেন প্রথম ইনিংসে দলকে একাই টেনে নেওয়া অধিনায়ক দিনেশ চান্দিমাল। পাশাপাশি অনিয়মিত বোলারদের দুটি উইকেট দেওয়ার খেসারত দিচ্ছে শ্রীলঙ্কা।
পাকিস্তান দিন শুরু করেছিল ৪ উইকেটে ২৬৬ রান নিয়ে। ৭৪ রানে দিন শুরু করা আজহার আলি ফিরে যান ৮৫ রানে। অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। দ্রুত ফিরে যান আমির-ইয়াসিরও। পাকিস্তানকে টেনে নেন সোহেল।
সকালে টেস্ট ক্রিকেটে নিজের প্রথম বলে চার দিয়ে শুরু করেছিলেন সোহেল। পরে একটু গুটিয়ে যান। লোয়ার অর্ডারদের নিয়ে আবার তিনিই দারুণ খেলে এগিয়ে নেন দলকে।
সোহেলকে দারুণ সঙ্গ দেন হাসান আলি। ৩ ছক্কায় হাসান করেন ২৫ বলে ২৯ রান। নবম উইকেট জুটিতে আসে ৫০ রান।
হাসানকে ফিরিয়ে ৫ উইকেট পূর্ণ করেন রঙ্গনা হেরাথ। টেস্ট ক্যারিয়ারে যেটি তার ৩২তম ৫ উইকেট!
শেষ উইকেটে মোহাম্মদ আব্বাসকে নিয়েও ৩২ রানের জুটি গড়েন সোহেল, যাতে আব্বাসের অবদান ছিল ১ রান। অভিষেকে সেঞ্চুরি পর্যন্ত অবশ্য যেতে পারেনি সোহেল। দলকে ৩ রানের লিড এনে দিয়ে আউট হয়েছেন ৭৬ রানে।
চা-বিরতির পর শ্রীলঙ্কাকে নাড়িয়ে দেয় পাকিস্তানের স্পিন আক্রমণ। প্রথম ব্রেক থ্রু দেন ইয়াসির শাহ। অনিয়মিত বোলার শফিক ফিরিয়ে দেন থিরিমান্নেকে। আরেক অনিয়মিত বোলার সোহেলের শিকার কৌশল সিলভা। আর ইয়াসির শাহ নেন চান্দিমালের মহামূল্য উইকেট।
পাকিস্তান শেষ দিন শুরু করবে তাই রোমাঞ্চ নিয়ে, শঙ্কা নিয়ে শ্রীলঙ্কা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা ১৫৪.৫ ওভারে ৪১৯
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ১৬২.৩ ওভারে ৪২২ (আগের দিন ২৬৬/৪) (আজহার ৮৫, সোহেল ৭৬, সরফরাজ ১৮, আমির ৪, ইয়াসির ৮, হাসান ২৯, আব্বাস ১*; লাকমল ২/৪২, প্রদিপ ২/৭৭, পেরেরা ১/৯২, সান্দাকান ০/৯৮, হেরাথ ৫/৯৩, করুনারত্নে ০/৬)।
শ্রীলঙ্কা ২য় ইনিংস: ৪০ ওভারে ৬৯/৪ (করুনারত্নে ১০, কৌশল ২৫, থিরিমান্নে ৭, মেন্ডিস ১৬*, চান্দিমাল ৭, লাকশমল ২*; আমির ০/১৪, আব্বাস ০/৭, ইয়াসির ২/২৫, হাসান ০/৮, শফিক ১/৭, সোহেল ১/৭)।