বোলিংয়ের পর ব্যাটিংয়েও হতাশা

বড় রানের জবাবে প্রয়োজন ছিল ব্যাটিংয়ের শুরুতে দারুণ কিছু। হয়েছে উল্টো। মাঠের বাইরে থাকায় দলের সেরা ওপেনার তামিম ইকবালকে শুরুতে পায়নি বাংলাদেশ। দুই উইকেট পড়েছে দ্রুত। পরে থিতু হওয়ার পর ফিরেছেন মুশফিকও। প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার ৪৯৬ রানের জবাবে বাংলাদেশ দিন শেষ করেছে ৩ উইকেটে ১২৭ রানে।

আরিফুল ইসলাম রনিআরিফুল ইসলাম রনিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Sept 2017, 08:03 AM
Updated : 29 Sept 2017, 06:39 PM

স্বস্তিতে শেষ

খ্যাপাটে বলা যায় বা পাগলামো, দিনের শেষ বলে বেরিয়ে এসে উড়িয়ে মারলেন তামিম ইকবাল! ছক্কায় বাহবা পাচ্ছেন, তবে উল্টো কিছু হলে দলকে ঠেলে দিতে পারতেন বিপদে।

১৪৬ ওভার ব্যাটিং করে ৩ উইকেট হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশের তৃতীয় উইকেট নেই ২৬ ওভারেই। ম্যাচের অবস্থা বুঝিয়ে দিচ্ছে এই তথ্যই।

শেষ বেলায় তবু একটু স্বস্তি, মুশফিক আউট হওয়ার পর শেষ কয়েক ওভারে আর উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ। প্রায় ৯ ওভার নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দিয়েছেন মুমিনুল ও তামিম। তবে তৃতীয় দিনে অপেক্ষায় কঠিন চ্যালেঞ্জ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৩৪ ওভারে ১২৭/৩ (ইমরুল ৭, লিটন ২৫, মুমিনুল ২৮*, মুশফিক ৪৪, তামিম ২২*; মর্কেল ১/৩৪, রাবাদা ১/৩৮, মহারাজ ১/২৩, অলিভিয়ের ০/২৭, ফেলুকওয়ায়ো ০/৪)

দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ৪৯৬ (ডি.)

ছক্কার পর মুশফিকের অক্কা

তৃতীয় বার আর বাঁচলেন না মুশফিকুর রহিম, তৃতীয়বারে হতাশ হতে হলো না কেশভ মহারাজকে। দুবার বেঁচে যাওয়ার পর এই বাঁহাতি ওপেনারকেই উইকেট দিয়ে ফিরলেন মুশফিক।

কেশভ মহারাজের বলে ৬ ও ১৫ রানে জীবন পেয়েছেন দুবার। তাতে দমে না গিয়ে যেন আরও দুর্বার মুশফিকের ব্যাট। খেললেন দারুণ কিছু শট। সেই মহারাজকেই স্লগ সু্ইপে মারলেন ছক্কা। তবে শেষ রক্ষা হলো না। মহারাজের বলেই ব্যাট-প্যাড ক্যাচ ফরোয়ার্ড শর্ট লেগে।

৭ চার ও ১ ছক্কায় ৫৭ বলে ৪৪ মুশফিক। বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ১০৩।

একটু প্রতিরোধ

শুরুর জোড়া ধাক্কা, তারপর মুশফিকের দুবার বেঁচে যাওয়া। অস্বস্তির সময় পেরিয়ে অবশেষে একটু স্বস্তি। মুমিনুল ও মুশফিক জুটিতে অর্ধশতক।

ডুয়ানে অলিভিয়েরের এক ওভারে দুটি চার মেরে পূর্ণ হলো তৃতীয় উইকেট জুটির পঞ্চাশ।

২১ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ৮৯। মুশফিকের রান ৩৮, মুমিনুল ১৮।

আবারও বাঁচলেন মুশফিক

বোলার সেই মহারাজ, ব্যাটসম্যান মুশফিক। আবারও ডিন এলগারের ক্যাচ মিস!

এবারও টার্ন করে বেরিয়ে যাওয়া বল। স্লিপে হাতে জমাতে পারলেন না এলগার। বোলারের হতাশা আরও বাড়িয়ে বল গেল বাউন্ডারিতে।

৬ রানের পর ১৫ রানে জীবন পেলেন মুশফিক। ১৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ৭০।

২০ রানে খেলছেন মুশফিক, ১৮ রানে মুমিনুল।

বেঁচে গেলেন মুশফিক

পানি পানের বিরতির পর প্রথম বল। বাঁহাতি স্পিনার কেশভ মহারাজের ডেলিভারিটি ছিল অসাধারণ। স্টাম্পে পিচ করে টার্ন করে বেরিয়ে যাওয়ার পথে বল ছুঁয়ে গেল ব্যাটের কানা। কিন্তু স্লিপে সহজ ক্যাচটি হাতে জমাতে পারলেন না ডিন এলগার।

৬ রানে জীবন পেলেন মুশফিক। আপাতত হাফ ছেড়ে বাঁচল দল। ১৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ৫১।

খোঁচা মেরে ফিরলেন লিটন

শুরুতে একটু নড়বড়ে থাকলেও পরে বেশ ভালো খেলছিলেন লিটন দাস। টানা দু বলে চার মেরেছিলেন মর্নে মর্কেলকে। কিন্তু আউটও হলেন মর্কেলের বলেই।

শর্ট বলে অবশ্য নয়, অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে। বেশ বাইরের যে বল অনায়াসে ছাড়া যেত, সেটিই খেলতে গেলেন। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে প্রথম স্লিপে আমলার হাতে ক্যাচ।

লিটন ফিরলেন ২৯ বলে ২৫ রান করে। বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ৩৬।

শর্ট বলে শেষ ইমরুল

দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়ার আগে যেটি নিয়ে ছিল সবচেয়ে বড় ভয়, সেটির ছোবলই লাগল সবার আগে। শর্ট বল! কাগিসো রাবাদার শর্ট বল সামলাতে পারলেন না ইমরুল। গ্লাভসে লেগে বল গেল গালিতে, মারক্রামের হাতে সহজ ক্যাচ।

৭ রানে আউট হলেন ইমরুল। তার দুঃসময় দীর্ঘায়িত হলো আরেকটু। সবশেষ ১৬ ইনিংসে ফিফটি করেছেন মাত্র একটি। এই ইনিংসের আগে সবশেষ ৫ ইনিংস ০, ০, ২, ৪ ও ১৪!

বাংলাদেশের রান ৬ ওভারে ১ উইকেটে ১৬।

ওপেনিংয়ে নেই তামিম

চা-বিরতির সময় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস ঘোষণা যদি ছোটখাটো চমক হয়, বড় চমক দেখা গেল বাংলাদেশ ইনিংসের শুরুতে। ইমরুল কায়েসের সঙ্গে ইনিংসের সূচনায় লিটন দাস!

দ্বিতীয় সেশনে ফিল্ডিংয়ের সময় শেষ ৪৯ মিনিট মাঠে ছিলেন না তামিম ইকবাল। তাই নামতে পারেননি ওপেনিংয়ে। হয়তো সেটি দেখেই চা-বিরতির সময় ইনিংস ঘোষণা করেছেন ফাফ দু প্লেসি। গতবছর অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দু প্লেসি ইনিংস ঘোষণা করে দিয়েছিলেন ডেভিড ওয়ার্নারকে বাইরে দেখে। ওয়ার্নার পরে খেলেছিলেন তিনে।

১৪৬ ওভার কিপিং করার পর ব্যাটিং শুরু করার কঠিন কাজটি করতে হলো লিটনকে।

বাংলাদেশের হয়ে আগে খেলা ৯৮টি টেস্ট ইনিংসেই ওপেন করেছেন তামিম, প্রতিবারই আগে নিয়েছেন স্ট্রাইক। লিটন ওপেন করছেন প্রথমবার।

৪৯৬ রানে ইনিংস ঘোষণা

চা-বিরতির আগে তেমন কোনো ইঙ্গিত ছিল না। দুই ব্যাটসম্যানের ব্যাটিংয়ে দেখা যায়নি রান বাড়ানোর তাড়া। সিদ্ধান্তটি তাই এলো ছোটখাটো চমক হয়ে। চা-বিরতির সময়ই ইনিংস ঘোষণা করে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

৩ উইকেটে ৪৯৬ রানে ১ম ইনিংস ঘোষণা করল স্বাগতিকরা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ১৪৬ ওভারে ৪৯৬/৩ (ডি.) (এলগার ১৯৯, মারক্রাম ৯৭, আমলা ১৩৭, বাভুমা ৩১*, দু প্লেসি ২৬*; মুস্তাফিজ ১/৯৮, শফিউল ১/৭৪, মিরাজ ০/১৭৮, তাসকিন ০/৮৮, মাহমুদউল্লাহ ০/২৪, মুমিনুল ০/১৫, সাব্বির ০/১৫)।

আরেকটি জুটি

প্রথমবারের মত একটি সেশনে একাধিক উইকেট নিতে পেরেছে বাংলাদেশ। আউট হয়েছেন আমলা ও এলগার। তবে তাতে স্বস্তির খুব বেশি কিছু নেই বাংলাদেশের। দক্ষিণ আফ্রিকা এগিয়ে যাচ্ছে রান পাহাড়ের পথে।

এলগার-আমলার বিদায়ের পর জুটি গড়ে তুলেছেন টেম্বা বাভুমা ও ফাফ দু প্লেসি। দ্বিতীয় দিনের চা-বিরতিতে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৩ উইকেটে ৪৯৬।

৩১ রান নিয়ে উইকেটে বাভুমা, ২৬ রান নিয়ে অধিনায়ক দু প্লেসি। চতুর্থ উইকেট জুটির রান ৫১।

এলগারের ১ রানের আক্ষেপ

১৯৫ রানে দাঁড়িয়ে প্রথমবারের মত একটি আলগা শট খেলেছিলেন ডিন এলগার। তবে বল তার ব্যাটের কানায় লেগে বাতাসে ভাসলেও যায়নি ফিল্ডারের কাছে। উল্টো পেলেন ৩ রান। এরপরও করতে পারলেন না ডাবল সেঞ্চুরি।

ওভারের প্রথম বলটি বাউন্সার মেরেছিলেন মুস্তাফিজ। পরেরটি আবারও শর্ট বল। এলগার না ভালো করে পুল করলেন, না ঠিক ছাড়লেন। বল ভাসল বাতাসে, জমল মিড উইকেটে মুমিনুলের হাতে। বাঁহাতি ওপেনার আউট ১৯৯ রানে!

ড্রেসিং রুমে মাথায় হাত দিয়ে বসে তখন এইডেন মারক্রাম। এলগারের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে আগের দিন যিনি আউট হয়েছিলেন ৯৭ রানে। 

এলগারের ৩৮৮ বলের ইনিংসে চার ১৫টি, ছক্কা ৩টি।

টেস্ট ইতিহাসে এ নিয়ে ১২বার ১৯৯ রানে থমকে গেলেন কোনো ব্যাটসম্যান। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে এই প্রথম। বাংলাদেশের বিপক্ষেও প্রথমবার।

এলগার ফিরে যাওযার সময় দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৩ উইকেটে ৪৪৫।

অবশেষে উইকেট

লাঞ্চের পর প্রথম বলেই শট খেলেছিলেন হাশিম আমলা। মনে হলো, দলের পরিকল্পনাই এটি। এক বল পর আবারও চালিয়ে দিলেন অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বলে। পয়েন্টে মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে ধরা। বাংলাদেশের প্রথম উইকেট শিকারি বোলার শফিউল ইসলাম।

১৩৭ রানে আউট হলেন আমলা। ভাঙল ২১৫ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি। টেস্ট ইতিহাসে সব মিলিয়ে এটি ৭০ হাজারতম উইকেট! দক্ষিণ আফ্রিকার রান ২ উইকেটে ৪১১।

উইকেটবিহীন আরেকটি সেশন

ছবি: ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা

দু-একটি বল নিচু হয়েছে। একবার-দুবার বল লেগেছে ব্যাটের কানায়। এছাড়া বাংলাদেশের বোলিং ছিল একদম নির্বিষ। আরও একটি সেশনে তাই নেই কোনো উইকেটের দেখা।

চার সেশনের তিনটিতেই দেখা মিলল না উইকেটের। প্রথম দিন দ্বিতীয় সেশনে শুধু একটি উইকেট এসেছিল রান আউটে।

দ্বিতীয় দিন লাঞ্চের সময় দক্ষিণ আফ্রিকার রান ১ উইকেটে ৪১১। এই সেশনে ২৭ ওভারে রান উঠেছে ১১৩। ওভার প্রতি চারের বেশি!

১৭২ রান নিয়ে লাঞ্চে গেছেন ডিন এলগার, ১৩৭ রানে আমলা। দ্বিতীয় উইকেটে দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটির রান ২১৫।

বাংলাদেশের বিপক্ষে এটি ২৯তম ডাবল সেঞ্চুরি জুটি, দ্বিতীয় উইকেটে সপ্তম।

জুটির দুইশ, দলের চারশ

উইকেট থমকে আছে একটিতেই, ঘুরছে রানের চাকা। দক্ষিণ আফ্রিকার রান পেরিয়ে গেছে চারশ।

দ্বিতীয় উইকেটে এলগার ও আমলা জুটির রান দুইশ ছাড়িয়ে গেছে আগেই। ১১৫ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ১ উইকেটে ৪০৭।

এলগার ব্যাট করছেন ১৭০ রানে, আমলা ১৩৫। অবিচ্ছিন্ন জুটির রান ২১১।

নিষ্ফলা আরেকটি ঘণ্টা

সেই একই রকম নির্বিষ বোলিং। ব্যাটিং আরও ক্ষুরধার। দ্বিতীয় দিনের প্রথম ঘণ্টাতেই তাই রান উঠল ৭০!

এলগার-আমলার ব্যাটে দারুণ গতিতে ছুটে চলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্বিতীয় দিনের প্রথম পানি পানের বিরতির সময় রান ১ উইকেটে ৩৬৮।

১৫৫ রানে উইকেটে এলগার, ১১১ রানে আমলা। দ্বিতীয় উইকেট জুটির রান ১৭২।

স্মিথের পাশে আমলা

ছবি: ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা

এলগারের দেড়শ ছোঁয়ার ওভারেই দুই রান নিয়ে আমলা পৌঁছে গেলেন তিন অঙ্কে। দিন শুরু করেছিলেন ৬৮ রানে। দারুণ ব্যাটিংয়ে প্রথম ঘণ্টাতেই করে ফেললেন সেঞ্চুরি। ১১ চার ও ১ ছক্কায় ১৪৩ বলে ১০০।

২৭তম টেস্ট সেঞ্চুরিতে স্পর্শ করলেন গ্রায়েম স্মিথের দক্ষিণ আফ্রিকান রেকর্ড। ১১৭ টেস্টে ২৭ সেঞ্চুরি করেছিলেন স্মিথ। আমলা স্পর্শ করলেন ১০৮ টেস্টেই।

১০২ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ১ উইকেটে ৩৫৫।

নতুন ঠিকানায় এলগার

সকালে একবার বেরিয়ে এসে মিরাজকে চার মেরেছিলেন ডিন এলগার। ১৪৬ রান থেকে আবার মিরাজকে বেরিয়ে এসে উড়িয়ে মারলেন, এবার ছক্কা। 

আগের ৮ সেঞ্চুরির একটিকেও রূপ দিতে পারেননি বড় সেঞ্চুরিতে। এবার ছাড়িয়ে গেলেন নিজেকে। টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথমবার স্পর্শ করলেন দেড়শ।

৩১৫ বলে স্পর্শ করলেন দেড়শ। ১২ চারের সঙ্গে ইনিংসে ছক্কা তিনটি।

আগের দিনের পথেই দক্ষিণ আফ্রিকা

প্রথম দিনের মত মেইডেন নিয়ে শুরু করেছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। নিয়ন্ত্রণের শেষ সেখানেই। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই মিরাজকে এলগারের চার। দক্ষিণ আফ্রিকার রানের চাকা ঘোরা শুরু।

এলগার-আমলা জুটিতে ভাঙন ধরাতে পারেনি বাংলাদেশ। আগের দিন যেখানে শেষ করেছিলেন, দুজন শুরু করেছেন যেন সেখান থেকেই। খেলছেন নির্বিঘ্নে।

৯৬ ওভার শেষে রান ১ উইকেটে ৩২২। এলগার খেলছেন ১৩২ রানে, হাশিম আমলা ৮৮।

নতুন দিন, নতুন আশা
 

শুরু থেকে শেষ, প্রথম দিনটায় ছিল শুধু হতাশার রেশ। নতুন দিন নিয়ে আসছে নতুন আশা। যদি ঘুরে দাঁড়াতে পারে বাংলাদেশ! 
নিষ্প্রাণ উইকেটে টস হেরেও আগে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা গড়েছে রান পাহাড়ের ভিত। দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশর চাওয়া থাকবে সেই ভিতে ফাটল ধরানো। বোলিংয়ে প্রয়োজন পরিকল্পনার ছাপ, শরীরী ভাষায় আগ্রাসন ও নেতৃত্বে সৃষ্টিশীলতা।
দক্ষিণ আফ্রিকার কাজ তুলনামূলক সহজ। স্রেফ আগের দিনের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে স্বাভাবিক ব্যাটিং করে যাওয়া। 
১ উইকেটে ২৯৯ রান নিয়ে দিন শুরু করবে দক্ষিণ আফ্রিকা। ডিন এলগার ব্যাটিং শুরু করবেন ১২৮ রান নিয়ে, তার ক্যারিয়ার সেরা থেকে মাত্র ১২ রান দূরে। ৬৫ রানে শুরু করবেন হাশিম আমলা।
প্রথম দিন শেষে সংক্ষিপ্ত স্কোর: 
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ৯০ ওভারে ২৯৮/১ (এলগার ১২৮*, মারক্রাম ৯৭, আমলা ৬৮*; মুস্তাফিজ ০/৫৪, শফিউল ০/৪৪, মিরাজ ০/১০১, তাসকিন ০/৫২, মাহমুদউল্লাহ ০/১৩, মুমিনুল ০/১৫, সাব্বির ০/১৫)