বৃহস্পতিবার চতুর্থ ওয়ানডেতে বেঙ্গালুরুতে ভারতকে ২১ রানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ৫ ম্যাচ সিরিজের প্রথম তিনটিতেই জিতেছিল ভারত।
৫০ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার ৩৩৪ রানের জবাবে ভারত তুলতে পারে ৩১৩ রান। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ভারত সবশেষ ওয়ানডে হেরেছিল সেই ২০০৩ সালে।
অস্ট্রেলিয়ার বড় রানের ভিত গড়ে দেন ওয়ার্নার ও অ্যারন ফিঞ্চ। সিরিজে আগের তিন ম্যাচে প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারা ওয়ার্নার জ্বলে ওঠেন নিজের শততম ম্যাচে। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে শততম ওয়ানডেতে করেন সেঞ্চুরি।
এই দুজন মিলেই খেলে ফেলেন ৩৫ ওভার, গড়েন ২৩১ রানের উদ্বোধনী জুটি। দুজনের মধ্যে বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন ওয়ার্নার। আগে আউটও হন তিনিই। ১২ চার ও ৪ ছক্কায় ১১৯ বলে ১২৪ করে ফেরেন ছক্কা মারার চেষ্টায়।
আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ফিঞ্চ এবার আউট হয়েছেন সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়ে। ১০ চার ও ৩ ছক্কায় করেছেন ৯৪।
৩৩৫ রানের লক্ষ্য এই যুগে অসম্ভব নয় মোটেও। ভারতের শুরুটায় ছিল রান তাড়ারই ইঙ্গিত। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে শতরানের জুটি গড়েন রোহিত শর্মা ও অজিঙ্কা রাহানে। তবে আগের ম্যাচের মতো এবারও দুজন পঞ্চাশকে নিতে পারেননি সেঞ্চুরিতে।
৫ ছক্কায় ৫৫ বলে ৬৫ করে স্টিভেন স্মিথের দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ে রান আউট হন রোহিত। রাহানে করেন ৬৬ বলে ৫৩।
তিনে নেমে বড় কিছু করতে ব্যর্থ কোহলি। ঝড় তোলার ইঙ্গিত দিয়েও হার্দিক পান্ডিয়া ফিরেছেন ৩ ছক্কায় ৪১ রান করে।
এরপরও ভারত পথে ছিল কেদার যাদব ও মনিশ পান্ডের ব্যাটে। তবে শেষ দিকে তিন বলের মধ্যে দুজনের বিদায়ে শেষ হয় ভারতের আশা। ৬৯ বলে ৬৭ করেছেন কেদার যাদব, ২৫ বলে ৩৩ মনিশ।
স্লগ ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন কেন রিচার্ডসন ও প্যাট কামিন্স। শেষের ৩ ওভার আগেও নিশ্চিত ছিল না ম্যাচের ফল। অস্ট্রেলিয়ানদের পেসারদের সৌজন্যে জয়টা শেষ পর্যন্ত ২১ রানের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অস্ট্রেলিয়া: ৫০ ওভারে ৩৩৪/৫ (ফিঞ্চ ৯৪, ওয়ার্নার ১২৪, হেড ২৯, স্মিথ ৩, হ্যান্ডসকম ৪৩, স্টয়নিস ১৫*, ওয়েড ৩*; শামি ০/৬২, উমেশ ৪/৭১, আকসার ০/৬৬, পান্ডিয়া ০/৩২, চেহেল ০/৫৪, কেদার ১/৩৮)।
ভারত: ৫০ ওভারে ৩১৩/৮ (রাহানে ৫৩, রোহিত ৬৫, কোহলি ২১, পান্ডিয়া ৪১, কেদার ৬৭, মনিশ ৩৩, ধোনি ১৩, আকসার ৫, শামি ৬*, উমেশ ২* ; কামিন্স ১/৫৯, কোল্টার-নাইল ২/৫৬, রিচার্ডসন ৩/৫৮, স্টয়নিস ০/৩৪, ফিঞ্চ ০/১, জ্যাম্পা ১/৬৩, হেড ০/৩৮)
ফল: অস্ট্রেলিয়া ২১ রানে জয়ী
সিরিজ: ৫ ম্যাচ সিরিজে ভারত ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে
ম্যান অব দা ম্যাচ: ডেভিড ওয়ার্নার