গ্রেপ্তার না হলেও একই ঘটনায় জড়িত ছিলেন অ্যালেক্স হেলস। দল থেকে বাদ পড়েছেন এই ওপেনারও। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ দুটি ওয়ানডেতে দেখা যাবে না দুজনের কাউকে।
মঙ্গলবার দলের অনুশীলনে ছিলেন না এই দুজন। ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) পরে বিবৃতিতে নিশ্চিত করে দুজনের পুলিশি ঝামেলার খবর।
“ব্রিস্টলে একটি ঘটনার পর ২৫ সেপ্টেম্বর সোমবার প্রথম প্রহরে স্টোকস পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়। রাতে তাকে আটকে রাখা হয় এবং পরে তদন্ত সাপেক্ষে অভিযোগ গঠন ছাড়াই ছেড়ে দেওয়া হয়। লন্ডনে দলের সঙ্গে যোগ দিচ্ছে না সে।”
“রোববার রাতে স্টোকসের সঙ্গে থাকা হেলস মঙ্গলবার সকালে দলের সঙ্গে অনুশীলন করেনি এবং স্বেচ্ছায় ব্রিস্টলে ফিরে গিয়েছে পুলিশকে তদন্তে সহায়তা করতে।”
রোববার ব্রিস্টলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের জয়ের পর রাতে ওই ঘটনা ঘটে। ম্যাচে ৭৩ রান করে দলের জয়ে অবদান রেখেছিলেন স্টোকস। ধারণা করা হচ্ছে, মারামারিতে জড়িয়েছিলেন স্টোকস। ঘটনায় তার হাতে চোট লেগেছে বলেও শোনা যাচ্ছে। ইসিবি অবশ্য ঘটনার কিছু খোলাসা করেননি।
“আপনারা নিশ্চয়ই অনুধাবন করতে পারছেন যে এই মুহূর্তে আমরা আর কিছু জানাতে পারছি না। তবে যখনই সুযোগ হয়, আমরা অগ্রগতি জানাব।”
স্টোকসের প্রতিভা-সামর্থ্য নিয়ে সংশয় কখনোই ছিল না। তবে শৃঙ্খলার ব্যাপারে বরাবরই ছিল তার সমস্যা। গ্রেপ্তার হওয়া তার জন্য নতুন অভিজ্ঞতা নয়। ২০১২ সালে একবার পুলিশের হাতে ধরা পড়ে ছাড়া পেয়েছিলেন সতর্কতা শুনে। ২০১৩ সলে রাতভর মদ্যপান করায় ইংল্যান্ড ‘এ’ দলের সফর থেকে ফেরত পাঠানো হয় দেশে। পরের বছর লকারে ঘুষি মেরে হাতকেটে ফেলায় ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যান।
তবে গত কিছুদিনে তার পারফরম্যান্সের সঙ্গে উন্নতি হয়েছিল শৃঙ্খলারও। এজন্যই ইংল্যান্ডের টেস্ট সহ-অধিনায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবার আবারও ফিরে এল সেই পুরোনো ভূত।
স্টোকসকে দেখতে ব্রিস্টলে গিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের ক্রিকেট পরিচালক অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস। সাবেক এই অধিনায়ক জানিয়েছেন, পুলিশের পাশাপাশি ইসিবিও ঘটনার তদন্ত করবে। অ্যাশেজের দল নির্বাচনের প্র্রক্রিয়াও আগের পরিকল্পনা মতো এগোবে।
অ্যাশেজের আগে স্টোকসের এই ঘটনা ইংল্যান্ডের জন্য নি:সন্দেহে বড় এক ধাক্কা।