জাতীয় ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে বরিশালের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৭১ রান। নুরুজ্জামান ৫২ ও রাফসান আল মাহমুদ ৫৮ রানে অপরাজিত। দুই জনে এরই মধ্যে গড়েছেন ৮০ রানের জুটি।
এবারের আসরেই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক রাফসানের। প্রথম ম্যাচে ব্যাটিং করতে হয়নি। ব্যাটিংয়ে নিজের প্রথম ইনিংসেই পেয়েছেন অর্ধশতক। শুরুর ধাক্কা সামলে দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন। আট নম্বর ব্যাটসম্যান নুরুজ্জামান তার তিন অর্ধশতকের সঙ্গে আরেকটি যোগ করে লড়াইয়ে রেখেছেন দলকে।
শনিবার প্রতিপক্ষকে দ্রুত গুটিয়ে ব্যাটিংয়ে নামা বরিশাল শুরুতেই চাপে পড়ে। দ্বিতীয় বলেই আবু সায়েমকে নুরুল হাসানের ক্যাচে পরিণত করেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। এক প্রান্তে তার দারুণ বোলিংয়ের সুফল অন্য প্রান্তে পেয়েছেন আল আমিন হোসেন। ফিরিয়ে দিয়েছেন ফজলে মাহমুদ ও শামসুল ইসলামকে।
উইকেট শিকারে আব্দুর রাজ্জাক ও মেহেদি হাসান যোগ দিলে বিপদে পড়ে বরিশাল। অধিনায়ক রাজ্জাক ফিরিয়ে দেন থিতু হওয়া সালমান হোসেন ও আল আমিন জুনিয়রকে। অলরাউন্ডার মেহেদির বলে সোহাগকে স্টাম্পড করেন নুরুল।
৯১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা বরিশাল লড়ছে দুই তরুণের ব্যাটে। দ্বিতীয় দিন প্রায় ২৭ ওভার কাটিয়ে দিয়েছেন রাফসান ও নুরুজ্জামান। এখনও ২৭৩ রানে পিছিয়ে বরিশাল।
এর আগে খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে ৩ উইকেটে ৩৪৮ নিয়ে দিন শুরু করা স্বাগতিকরা মনিরের দারুণ বোলিংয়ে গুটিয়ে যায় ৪৪৪ রানে।
মোহাম্মদ মিঠুনকে ফিরিয়ে উইকেট শিকার শুরু করেন মনির। দলের সংগ্রহ চারশ ছোঁয়ার আগে ফিরিয়ে দেন আগের দিন শতক পাওয়া মেহেদিকে। তরুণ অলরাউন্ডারের ক্যারিয়ার সেরা ১৭৭ রানের ইনিংসটি গড়া ১৬টি চার ও দুটি ছক্কায়।
নুরুল হাসান ও মইনুল ইসলাম ছাড়া শেষ ছয় ব্যাটসম্যানের কেউই দুই অঙ্কে যেতে পারেননি।
৮৫ রানে ৭ উইকেট নেন মনির। অফ স্পিনার সোহাগ ৩৬ ওভার বল করে ১৪০ রান দিয়ে উইকেটশূন্য।
বৃষ্টির বাধায় প্রথম স্তরের অন্য ম্যাচে ঢাকা ও রংপুর দ্বিতীয় দিনও মাঠে নামতে পারেনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
খুলনা ১ম ইনিংস: ১২৪.৩ ওভারে ৪৪৪ (রবি ৩, এনামুল ৩৬, মেহেদি ১৭৭, তুষার ১৩২, মিঠুন ২০, নুরুল ৩৩,জিয়া ২, মাশরাফি ০, মইনুল ২২*, রাজ্জাক ১, আল আমিন ৭; রাব্বি ১/৫৭, সালমান ০/১৫, তানভীর ২/৬৫, আল আমিন জুনিয়র ০/২৬, সোহাগ ০/১৪০, মনির ৭/৮৫, মাহমুদ ০/২৬, নুরুজ্জামান ০/১১, রাফসান ০/১০)
বরিশাল ১ম ইনিংস: ৬৫ ওভারে ১৭১/৬ (সায়েম ০, শামসুল ২, মাহমুদ ১, সালমান ৩২, রাফসান ৫৮*, আল আমিন জুনিয়র ১৭, সোহাগ ৫, নুরুজ্জামান ৫২*; মাশরাফি ১/২৬, আল আমিন ২/৩২, রাজ্জাক ২/৫০, মেহেদি ১/৪৮, মইনুল ০/১২)