পেস সহায়ক উইকেটে উপমহাদেশের ব্যাটসম্যানদের জন্য শর্ট বলের পসরা সাজিয়ে বসা অনেক পুরানো কৌশল। পরীক্ষিত সেই অস্ত্র দক্ষিণ আফ্রিকার পেসাররা ব্যবহার করতে পারেন টেস্ট সিরিজে। প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথম দিন দেখা গেল তার আভাস।
একের পর এক শর্ট বল ধেয়ে এল বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের দিকে। তবে ব্যাটিং খারাপ হয়নি তেমন। দ্বিতীয় সেশনে ১৩ বলের মধ্যে চার উইকেট হারানো ছাড়া মোটামুটি ভালোভাবেই বোলারদের সামলেছে মুশফিকুর রহিমের দল।
অধিনায়ক ফিফটি করেছেন। অপরাজিত ফিফটি করেছেন সাব্বির রহমান। টেস্ট দলে নিজের জায়গা বাঁচাতে লড়াই করা মুমিনুলের ব্যাট থেকে এসেছে প্রথম ইনিংসে দলের সর্বোচ্চ ৬৮ রান।
বেনোনির উইলোমুর পার্কে বৃহস্পতিবারের খেলা শেষে দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা মুমিনুলের কণ্ঠে শর্ট বল সামলানো নিয়ে আত্মবিশ্বাস।
“শর্ট বল চ্যালেঞ্জ হতে যাচ্ছে কী না? আপনি যদি মনে করেন চ্যালেঞ্জ, তাহলে চ্যালেঞ্জ। আর যদি মনে করেন চ্যালেঞ্জ না, তাহলে চ্যালেঞ্জ হবে না। আর এটা কন্ডিশনের ওপর নির্ভর করছে, কেমন হবে।”
“আমার কাছে তেমন কিছু মনে হয়নি। আমার মনে হয়, আমাদের দলের সবাই শর্ট বল সামলাতে পারে। কেউ ভালো খেলে, কেউ দেখেশুনে ঠিকঠাক ছাড়তে পারে।”
দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম পরীক্ষায় রান পাওয়ায় খুশি মুমিনুল। তবে আরও বড় ইনিংস খেলতে না পারায় আক্ষেপও তার সঙ্গী।
“ইচ্ছে ছিল দ্বিতীয় নতুন বলটা খেলার। সেটা করতে পারলে হয়তো ভালো হত।”
দুই সতীর্থ পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন। টপ অর্ডারে রান পেয়েছেন সৌম্য সরকার, ইমরুল কায়েস। প্রথম ইনিংসে দলের পারফরম্যান্সে খুশি মুমিনুল।
“সব মিলিয়ে আমার মনে হয়, এই কন্ডিশনে ব্যাটসম্যানরা সবাই ভালো ব্যাটিং করেছে। মানিয়ে নিতে পেরেছেন সবাই।”
৭ উইকেটে ৩০৬ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। জবাবে প্রথম দিন শেষে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা আমন্ত্রিত একাদশ ১ উইকেটে করেছে ২১ রান। মুমিনুল জানান, দ্বিতীয় দিন যত দ্রুত সম্ভব তাদের গুটিয়ে দিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে চায় বাংলাদেশ।