মাঠ নিয়ে বন্যা-বৃষ্টিকে দায় বিসিবির

আইসিসি সময় দিয়েছিল দুই সপ্তাহ। বিসিবি নিজেদের ব্যাখ্যা পাঠিয়ে দিয়েছে এক সপ্তাহের মধ্যেই। সেই ব্যাখ্যা সাধারণ্যে খোলাসা করতে চায় না বিসিবি। তবে বিসিবি প্রধান নির্বাহী যা বলছেন, তাতে মিরপুরের বাজে আউটফিল্ড নিয়ে বিসিবির ঢাল বন্যা ও বৃষ্টি।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Sept 2017, 12:17 PM
Updated : 20 Sept 2017, 12:17 PM

শের-ই-বাংলার আউটফিল্ড সংস্কারের পর বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট দিয়ে আবার শুরু হয় খেলা। টেস্টের আগে আউটফিল্ডের মান নিয়ে সংশয় জানিয়েছিলেন দুই দলেরই অধিনায়ক। গত ১৪ সেপ্টেম্বর আইসিসি জানায়, ম্যাচ রেফারির প্রতিবেদনে ওই ম্যাচের আউটফিল্ডকে বলা হয়েছে ‘বাজে’।

ম্যাচের আগে মাঠ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলে বারবারই ভালোর নিশ্চয়তা মিলেছে বিসিবি থেকে। আইসিসির প্রতিবেদনের পর স্বাভাবিকভাবেই বোর্ডের ভাষা গেলে পাল্টে। প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী দায় দিলেন প্রাকৃতিক দুযোর্গকে।

“কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ শেষ হলে ম্যাচ রেফারি কর্তৃক আইসিসিতে একটা প্রতিবেদন দেওয়ার বিধান আছে। সেখানে আউটফিল্ড বা পিচের প্রতিবেদনে যদি ‘পুওর’ আসে, তাহলে আয়োজক দেশের একটা ব্যাখ্যা দেয়ার ব্যাপার থাকে। আমরা আইসিসির রিপোর্ট পেয়েছি। তারা শের-ই-বাংলার আউটফিল্ডকে ‘পুওর’ বলে আখ্যায়িত করেছে। আমরা ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে আইসিসিকে একটা রিপোর্ট দিয়ে দিয়েছি।”

“আপনারা জানেন যে, গত চার পাঁচ মাসে বাংলাদেশে যে বন্যা পরিস্থিতি ও বৃষ্টি, তাতে সময় মতো মাঠটা প্রস্তুত করা একটা চ্যালেঞ্জিং কাজ ছিলো। তারপরও আমরা চেষ্টা করেছি। আমরা মনে করি, আমাদের গ্রাউন্ডস কমিটি খুব কষ্ট করে কাজ করেছে। বৈরি আবহাওয়াটা না থাকলে, এই অবস্থা হতো না।”

দেশজুড়ে এবার বন্যা হলেও সেটির ছোঁয়া সেভাবে লাগেনি ঢাকায়। মিরপুর স্টেডিয়ামে বন্যার পানি আসার কারণ তো নেই-ই। বৃষ্টিতে মাঠের বরং উপকারই হওয়ার কথা। ঘাস আর সতেজ হয়ে ছড়ানোর কথা। সংস্কারের পর মাঠে যে পরিমাণ পানি দিতে হয়, সেটি প্রকৃতিই করে দিয়েছে।

প্রধান নির্বাহী তবু দায় দিচ্ছেন প্রকৃতিকেই। দাবি করছেন, মাঠ অপ্রস্তুত ছিল না।

“মাঠের যে প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি ছিলো, তা মনে করি না। বৈরি আবহাওয়ার কারণে এটা হয়েছে। ওরা কিন্তু শুধু মাত্র ঘাসের কারণে অভিযোগ করেছে। অন্যান্য দিক ঠিক আছে। এখন সময়ের সাথে সাথে এটা ভালো হয়ে যাবে।”