প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে আগের ৬ ম্যাচে বাঁহাতি স্পিনার নিহাদ পেয়েছিলেন ১০ উইকেট। ২ উইকেটের বেশি পাননি কখনও। এবার প্রথমবারের মতো পেলেন পাঁচ উইকেটের স্বাদ। তাতে গুঁড়িয়ে গেল চট্টগ্রামের প্রথম ইনিংস।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শনিবার পতন হয়েছে ১৭ উইকেট। আগের দিন মোহাম্মদ আশরাফুল ও মেহরাব হোসেন জুনিয়র ব্যাটিংয়ের সময় মনে হচ্ছিল উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য সহায়ক। দ্বিতীয় দিন সেটাকেই মনে হল ‘মাইন ফিল্ড’।
দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে ৫ উইকেটে ২৫৭ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে মেট্রো। মাত্র এক রান যোগ করে ফিরেন আগের দিন অর্ধশতক পাওয়া মেহরাব জুনিয়র। শরীফউল্লাহ, জাবিদ হোসেন ও নিহাদের ছোট ছোট অবদানে ৩৪৪ পর্যন্ত যায় অতিথিদের সংগ্রহ।
৮৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে চট্টগ্রামের সেরা বোলার নাঈম হাসান।
নিহাদ, শরিফউল্লাহর দারুণ বোলিংয়ে ৫০.৫ ওভারে ১৩০ রানে গুটিয়ে যায় চট্টগ্রাম। স্বাগতিকদের দুই ব্যাটসম্যান ফিরেন রান আউট হয়ে।
চট্টগ্রামের পাঁচ ব্যাটসম্যান পৌঁছান দুই অঙ্কে, কিন্তু কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। হয়নি তেমন কোনো জুটি। সর্বোচ্চ ২৮ রান উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান পিনাক ঘোষের।
নিহাদ ৫ উইকেট নেন ৪৫ রানে। শরিফউল্লাহ ৩৭ রানে নেন দুটি।
২১৪ রানের লিড পাওয়া মেট্রো ফলোঅন করায়নি চট্টগ্রামকে। দিনের শেষ বেলায় দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে মেট্রো দ্রুত হারিয়েছে দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানকে।
ইনিংসের প্রথম বলেই শামসুর রহমানকে বোল্ড করেন মেহেদী হাসান রানা। আরেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সৈকত আলিকে ফেরান শাখাওয়াত হোসেন। ক্রিজে আসিফ আহমেদের সঙ্গী জাবিদ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ঢাকা মেট্রো ১ম ইনিংস: ১১৮.৫ ওভারে ৩৪৪ (শামসুর ৫, সৈকত ৩৮, আসিফ ১৮, মার্শাল ১১, আশরাফুল ১০৪, মেহরাব জুনিয়র ৬৬, শরিফউল্লাহ ৩৮, জাবিদ ২৭, নিহাদ ২১, নবিউল ৫, আলি ০; রানা ২/৫৯, বেলাল ১/৬৮, নাঈম ৪/৮৪, শাখাওয়াত ২/৯৫, সাজ্জাদ ০/২৫, তাসামুল ০/১১)
চট্টগ্রাম ১ম ইনিংস: ৫০.৫ ওভারে ১৩০ (পিনাক ২৮, মাহবুবুল ১৩, সাজ্জাদুল ৯, তাসামুল ৮, শামিম ২, সাব্বির ৫, সাজ্জাদ ২৩, নাঈম ১৫, রানা ১৬, শাখাওয়াত ০, বেলাল ১*; আলি ১/২০, নবিউল ০/১৫, সৈকত ০/৬, শরিফউল্লাহ ২/৩৭, নিহাদ ৫/৪৫)
ঢাকা মেট্রো ২য় ইনিংস: ৩ ওভারে ১২/২ (শামসুর ০, সৈকত ৪, আসিফ ৭*, জাবিদ ১*; রানা ১/৬, শাখাওয়াত ১/৪, বেলাল ০/২)