লাহোরে উত্তেজনায় ঠাসা ম্যাচে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারাল বিশ্ব একাদশ। পাকিস্তানে ক্রিকেট ফেরানোর জন্য আয়োজিত ইন্ডিপেন্ডেন্স কাপের ফয়সালা তোলা থাকল শেষ ম্যাচের জন্য। প্রথম ম্যাচে ২০ রানে জিতেছিল পাকিস্তান।
বিশ্ব একাদশের হয়ে শুরুতে ঝড় তোলেন তামিম ইকবাল। দারুণ শুরুর পর ইনিংস জুড়ে দলকে টানেন হাশিম আমলা। আর শেষ দিকে থিসারা পেরেরার টর্নেডো ইনিংস। পাকিস্তানের ১৭৪ রান বিশ্ব একাদশ পেরিয়ে যায় ১ বল বাকি থাকতে।
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খেলে ৫৫ বলে ৭২ রানে অপরাজিত থাকেন আমলা। ১৯ বলে ৫ ছক্কায় অপরাজিত ৪৭ করেন পেরেরা।
তামিম ও আমলা বিশ্ব একাদশকে এনে দিয়েছিলেন উড়ন্ত সূচনা। রান দেওয়ায় বরাবরই কৃপণ ইমাদ ওয়াসিমের এক ওভারে এক ছক্কা, দুই চার মারেন তামিম। মনে হচ্ছিলো বড় কিছুর দিকে এগোচ্ছেন।
বাংলাদেশের ওপেনার ফিরলেন অসাধারণ এক ক্যাচের শিকার হয়ে। সোহেল খানের লেগ স্টাম্পের বলে চালিয়ে দিয়েছিলেন ব্যাট। বুলের গতির বলটি শর্ট ফাইন লেগে অবিশ্বাস্য ক্ষিপ্রতায় হাতে জমান শোয়েব মালিক। ১৯ বলে ২৩ রানে ফেরেন তামিম।
তিনে নেমে টিম পেইন ব্যর্থ আবারও। অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসিও পারেননি বড় কিছু করতে। আমলা খেলছিলেন দারুণ। কিন্তু প্রয়োজনীয় রান রেট বেড়েই চলছিল। শেষ ৫ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৬৩ রান। সেই সমীকরণ মেলালেন পেরেরা।
শেষ ২ ওভারে বিশ্ব একাদশের প্রয়োজন ছিল ৩৩ রান। আমলা তখন অনেকটাই ক্লান্ত। শেষ চার ওভারে কোনো বাউন্ডারি মারতে পারেননি। তবে পেরেরাকে স্ট্রাইক দিয়ে গেছেন। যা করার, এই লঙ্কান অলরাউন্ডারই করেছেন।
শেষের আগের ওভারে সোহেল খানকে মারেন দুই ছক্কা। শেষ ওভারে রাইসকে ছক্কায় জয়।
এর আগে পাকিস্তানের ইনিংসটি এগিয়েছে আগের দিনের মতো করেই। শুরুতে ১৩ বলে ২১ করেন ফখর জামান। দ্বিতীয় উইকেটে আবার আহমেদ শেহজাদ ও বাবর আজমের দারুণ জুটি।
৩৪ বলে ৪৩ রান করেন শেহজাদ। আগের দিন ৮৬ রান করা বাবর এদিন করেন ৩৮ বলে ৪৫।
যথারীতি সেই ভিত্তিকে কাজে লাগান শোয়েব মালিক। ৩ ছক্কায় ২৩ বলে করেন ৩৯ রান। আগের দিনের চেয়ে খানিক মন্থর উইকেটে ১৭৪ রান কম ছিল না।
২৩ রানে ২ উইকেট নিয়ে বিশ্ব একাদশের সেরা বোলার পেরেরা। পরে ব্যাট হাতেই খুনে ইনিংসে দারুণ জয়। জিইয়ে থাকল সিরিজের উত্তেজনা। তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ শুক্রবার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১৭৪/৬ (ফখর ২১, শেহজাদ ৪৩, বাবর ৪৫, মালিক ৩৯, ইমাদ ১৫, সরফরাজ ০, সোহেল ১*; মর্কেল ১/২০, কাটিং ১/৫২, বদ্রি ২/৩১, কলিংউড ০/১৮, থিসারা ২/২৩, তাহির ১/২৯)।
বিশ্ব একাদশ: ১৯.৫ ওভারে ১৭৫/৩ (তামিম ২৩, আমলা ৭২* পেইন ১০, দু প্লেসি ২০, থিসারা ৪৭*; ইমাদ ১/২৭, সোহেল ১/৪৪, উসমান ০/১০, রাইস ০/৪২, নওয়াজ ১/২৫, শাদাব ০/৩২)।
ফল: বিশ্ব একাদশ ৭ উইকেটে জয়ী
সিরিজ: ৩ ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতা
ম্যান অব দা ম্যাচ: থিসারা পেরেরা