রান যে সৌম্য একেবারেই করছেন না, তা নয়। তবে নেই ধারাবাহিকতা। আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজে ভালো করলেন। এরপর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে রান নেই। টেস্ট ক্রিকেটে ফেরার ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে করেছিলেন ৮৬ ও ৩৬। পরের টেস্টে হায়দরাবাদে রান নেই। এরপর শ্রীলঙ্কায় টেস্ট সিরিজের ভালো খেললেন। অস্ট্রেলিয়া সিরিজেই বিবর্ণ।
এই বিবর্ণ সময়টায় শুরু হয় সমালোচনা, যার বেশিরভাগই হয় অনলাইনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই। এখন যেমন হচ্ছে ক্রমাগত। এই সময়টায় সৌম্য চেষ্টা করছেন নিজেকে এসব থেকে দূরে রাখতে। মানসিকভাবে শক্ত থাকতে। জানেন, সমালোচকদের জবাব দেওয়ার পথ একটিই। রান করা!
“এই সময়টায় ফেইসবুকে কম যাওয়ার চেষ্টা করি। যেহেতু আমাদের দেশে কেউ ভালো খেললে তাকে নিয়ে অনেক আলোচনা হয়, খারাপ খেললেও কথা হবেই। এটাকে ইতিবাচকভাবে দেখি। ভালো-মন্দ যাই হোক, সবাই আমাকে নিয়েই কথা বলছে। এসব ভেবে মানসিকভাবে শক্ত থাকার চেষ্টা করি। সমালোচকদের চুপ করানোর একটাই উপায় আছে, সেটা হলো রান করা। আমি কঠোর পরিশ্রম করছি রান করার জন্য।”
“শ্রীলঙ্কাতে যেভাবে খেলেছি, এখানেও সেভাবে খেলতে চেয়েছি। কারণ শ্রীলঙ্কার উইকেট আর আমাদের উইকেট প্রায় একই রকম। এ কারণেই ওই ধরনের ব্যাটিংই করেছি। যতটুকু সময় উইকেটে ছিলাম, ব্যাটেও বল আসছিলো। কিন্তু একটা ভুলের কারণে আউট হয়ে যাচ্ছিলাম।”
“এটা নিয়ে কাজ করছি। দেখছি যে, এটা আমার ভুল নাকি ওরা বেশি ভালো বল করেছে। এই ভুলটা যাতে ওখানে (দক্ষিণ আফ্রিকায়) গিয়ে না হয়, সেই চেষ্টা করছি।”
এমনিতে দক্ষিণ আফ্রিকা কঠিন হলেও সৌম্যর জন্য আশার দিকও আছে। বাউন্স যেখানে সমান, বল ব্যাটে আসে দারুণ, সেখানে সৌম্যর স্ট্রোকপ্লে কার্যকর হওয়ার কথা বেশি। বাঁহাতি ওপেনার সেই চ্যালেঞ্জটাই নিচ্ছেন।
“কঠিন সিরিজ হবে। তারপরও তো খেলতেই হবে! চেষ্টা করবো বাউন্সি উইকেটে যেভাবে রান করা যায়, সেখানে ওইভাবে খেলতে। মানসিকভাবেও সেভাবে প্রস্তুত হব।”
“তবে কঠিনের মধ্য দিয়েই ভালো করতে পারলে সেটা বেশি মর্যাদা পাবে। নিজেকেও আত্মবিশ্বাসী মনে হবে। ওদের মাটিতে, ওদের কন্ডিশনে গিয়ে ভালো কিছু করতে পারলে আলাদা মজা থাকবে। চেষ্টা করব ভালো কিছু করার এবং পিছনের ম্যাচগুলো ভুলে যাওয়ার।”