ম্যাচ অনুশীলনের তাড়নায় জাতীয় লিগে মাশরাফি

অনুশীলনে ঘাম ঝরিয়ে যাচ্ছেন প্রতিদিন। নিয়ম করে চলছে ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং অনুশীলন আর ফিটনেস ট্রেনিং। কিন্তু ম্যাচ অনুশীলনের বিকল্প তো কিছু নেই। সেখানেও ঘাটতি রাখতে চান না মাশরাফি বিন মুর্তজা। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের আগে তাই খেলবেন এবারের জাতীয় লিগে।

আরিফুল ইসলাম রনিআরিফুল ইসলাম রনিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Sept 2017, 03:35 PM
Updated : 10 Sept 2017, 03:35 PM

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হওয়ার কথা এবারের জাতীয় লিগ। খুলনার হয়ে শুরুতে শুধু প্রথম রাউন্ডই খেলতে চান মাশরাফি। ভালো অনুভব করলে খেলতে পারেন পরেও এক-দুটি রাউন্ড।

গত ১৫ জুন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমি-ফাইনালে সব শেষ ম্যাচ খেলেছেন মাশরাফি। এরপর জুলাই থেকে বাংলাদেশ দলের ফিটনেস ক্যাম্পে ছিলেন। পরে স্কিল ট্রেনিংয়ে ঝালাই করে যাচ্ছেন নিজেকে। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে টেস্ট সিরিজের সময়ও চলেছে অনুশীলন। টেস্টের পর অন্যদের ছুটি থাকলেও জাতীয় দলের সহকারী কোচ রিচার্ড হ্যালসল ও বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশের তত্ত্বাবধানে অনুশীলন করছেন মাশরাফিসহ ওয়ানডে দলের বিবেচনায় থাকা সম্ভাব্য অন্যরা।

দক্ষিণ আফ্রিকায় শুরুতে টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ ১৫ অক্টোবর। জুন থেকে ধরলে বিরতি হয়ে যায় দীর্ঘ চার মাসের। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে মাশরাফি জানালেন, এত লম্বা বিরতির পর হুট করে ম্যাচ খেলতে চান না।

“এমনিতে আমাদের অনুশীলন খুব ভালো হচ্ছে। সবার ইনটেনসিটি অনেক। হ্যালসল, ওয়ালশ, চম্পকা (রামানায়েকে) ও স্থানীয় কোচরা দেখভাল করছেন। তবে যতোই অনুশীলন করা হোক, প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলা পুরো ভিন্ন ব্যাপার।”

“কোচের (চন্দিকা হাথুরুসিংহে) সঙ্গে কথা বলছিলাম প্রস্তুতি নিয়ে। আমিই তখন বললাম যে জাতীয় লিগে খেলি। কোচও বললেন যে তাহলে খুব ভালো হয়।”

চোট শঙ্কায় দীর্ঘদিন থেকেই বড় দৈর্ঘ্যের ম্যাচ থেকে দূরে আছেন মাশরাফি। সবশেষ টেস্ট খেলেছেন ২০০৯ সালের জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে। অধিনায়ক হিসেবে সেটি তার প্রথম ও একমাত্র টেস্ট। সেন্ট ভিনসেন্টে সেই টেস্টের তৃতীয় দিন সকালে ছিটকে যান চোট পেয়ে। সেই থেকে ছিটকে গেছেন টেস্ট ক্রিকেট থেকেই।

টেস্ট না খেলার এই গত ৮ বছরে মাশরাফি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন মাত্র চারটি। ২০১০ সালের জাতীয় লিগে খেলেছিলেন একটি ম্যাচ, ২০১২ সালে একটি। সবশেষ ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে দুটি।

এর আগে ২০১৫ সালের অক্টোবরে জাতীয় লিগে খেলতে চেয়েছিলেন। তবে ম্যাচের ঠিক আগে ডেঙ্গু হওয়ায় খেলতে পারেননি। সেসময় জাতীয় লিগ খেলতে চেয়েছিলেন টেস্ট ক্রিকেটে ফেরায় চোখ রেখে। এবার সে রকম কোনো ব্যাপার নেই। সাদা বলের ম্যাচের জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখতে চান লাল বলে।

“লাল বল বা সাদা বল এখানে ব্যাপার না। ধরনে ভিন্নতা থাকলেও বোলিংয়ের মৌলিক ব্যাপারগুলো তো একই। সেই অনুশীলনই জরুরি।”

“আমার নিজের কাছে ম্যাচ খেলা সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘদিন পর হুট করে ম্যাচ খেলতে নামলে অনেক অস্বস্তি, জড়তা থেকে যায়। এখানে একটি-দুটি ম্যাচ খেলে যাওয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকায় হয়ত একটি প্রস্তুতি ম্যাচ পাব। সব মিলিয়ে মূল সিরিজের আগে প্রস্তুতি ভালোই হবে আশা করি।”

প্রস্তুতি ভালো তো হবেই। মাশরাফিকে পেয়ে সাদাকালো জাতীয় লিগও হয়ে উঠবে একটু রঙিন!