বিপজ্জনক ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভেন স্মিথকে দ্রুত ফেরানো সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু পুঁজিটা ছিল বড্ড ছোট। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও পিটার হ্যান্ডসকমের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে চতুর্থ দিনেই সেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় অতিথিরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অস্ট্রেলিয়া ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৮৬) ১৫.৩ ওভারে ৮৭/৩ (রেনশ ২২, ওয়ার্নার ৮, স্মিথ ১৬, হ্যান্ডসকম ১৬*, ম্যাক্সওয়েল ২৫*; মুস্তাফিজ ১/১৬, সাকিব ১/৩৫, তাইজুল ১/২৬, নাসির ০/১০)
রেনশকে ফেরালেন সাকিব
প্রান্ত বদল করে বোলিংয়ে ফেরা সাকিব আল হাসান বিদায় করেছেন ম্যাট রেনশকে। স্টাম্পের বাইরের বল খোঁচা মেরে মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসবন্দি হন বাঁহাতি এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান।
২২ রান করে রেনশ ফিরে যাওয়ার সময় অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ৪৮/৩। পিটার হ্যান্ডসকমের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। জয়ের জন্য অতিথিদের চাই আরও ৩৮ রান।
স্মিথকে ফেরালেন তাইজুল
স্টিভেন স্মিথকে দ্বিতীয় ইনিংসেও ফিরিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। বাঁহাতি স্পিনারের স্টাম্পের অনেক বাইরের বল কাট করতে গিয়ে মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসবন্দি হন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক।
১৬ রান করে স্মিথের বিদায়ের সময় অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ৪৪/২। ম্যাট রেনশর সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন পিটার হ্যান্ডসকম। জয়ের জন্য অতিথিদের চাই আরও ৪২ রান।
প্রথম আঘাত মুস্তাফিজের
৮ রান করে ওয়ার্নার ফেরার সময় অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ১৩/১। ম্যাট রেনশর সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন স্টিভেন স্মিথ। জয়ের জন্য অতিথিদের চাই আরও ৭৩ রান।
অস্ট্রেলিয়ার সামনে ৮৬ রানের লক্ষ্য
ন্যাথান লায়নের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে চট্টগ্রাম টেস্টে ছোট লক্ষ্য পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। সমতায় সিরিজ শেষ করতে ৮৬ রান চাই অতিথিদের। প্রথম ইনিংসে ৩০৫ রান করা বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে গেছে ১৫৭ রানে।
দ্বিতীয় টেস্টে ১৫৭ রানে ১৩ উইকেট নিয়েছেন অফ স্পিনার লায়ন। তার আগের সেরা ছিল ২৮৬ রানে ১২ উইকেট।
দিনের প্রথম সেশনে বাজে ব্যাটিংয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ। মিডল অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম, মুমিনুল হক, সাব্বির রহমান থিতু হয়েছিলেন কিন্তু কেউই নিজের ইনিংস খুব একটা বড় করতে পারেনি। স্বাগতিকদের ইনিংসে নেই কোনো অর্ধশতক। পঞ্চাশ ছাড়িয়েছে মোটে একটি জুটি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ৭১.২ ওভারে ১৫৭ (তামিম ১২, সৌম্য ৯, ইমরুল ১৫, নাসির ৫, সাকিব ২, মুশফিক ৩১, সাব্বির ২৪, মুমিনুল ২৯, মিরাজ ১৪*, তাইজুল ৪, মুস্তাফিজ ০; কামিন্স ২/২৭, লায়ন ৬/৬০, ও’কিফ ২/৪৯, অ্যাগার ০/৯)
১৫৭ রানে অলআউট বাংলাদেশ
মুস্তাফিজুর রহমানকে বোল্ড করে ১৫৭ রানে বাংলাদেশকে থামিয়েছেন স্টিভ ও’কিফ। টার্ন করে ভেতরে ঢোকা বলে বোল্ড হয়েছেন বাংলাদেশের ১১ নম্বর ব্যাটসম্যান।
তাইজুলকে ফিরিয়ে লায়নের ছয়
৪ রান করে তাইজুল ফেরার সময় বাংলাদেশের স্কোর ১৫৬/৯। মেহেদী হাসানের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন ১১ নম্বর ব্যাটসম্যান মুস্তাফিজুর রহমান। স্বাগতিকরা এগিয়ে ৮৪ রানে।
চা-বিরতিতে বাংলাদেশ ১৫৪/৮
দ্বিতীয় সেশনে ৭১ রান তুলতে মুশফিকুর রহিম, মুমিনুল হক ও সাব্বির রহমানকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। সিরিজে তৃতীয়বারের মতো পাঁচ উইকেট নিয়েছেন ন্যাথান লায়ন। ৪৫ উইকেট নিয়ে চলতি বছরের সেরা উইকেট সংগ্রাহক এখন এই অফস্পিনার।
চা-বিরতিতে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের স্কোর ১৫৪/৮। মেহেদী হাসান মিরাজ ১৩ ও তাইজুল ইসলাম ২ রানে অপরাজিত। স্বাগতিকরা এগিয়ে ৮২ রানে।
লায়নের পঞ্চম শিকার মুমিনুল
দ্বিতীয় ইনিংসেও পাঁচ উইকেট পেলেন ন্যাথান লায়ন। উপড়ে ফেললেন মুমিনুল হক বাধা। সুইপ করতে গিয়ে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান প্যাট কামিন্সের দারুণ এক ক্যাচে পরিণত হয়েছেন।
২৯ রান করে মুমিনুল আউট হওয়ার সময় বাংলাদেশের স্কোর ১৪৯/৮। মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। স্বাগতিকরা তখন এগিয়ে ৭৭ রানে।
মুশফিককে ফেরালেন কামিন্স
পানি পানের বিরতির পর বোলিংয়ে এসেই আঘাত হেনেছেন প্যাট কামিন্স। ফিরিয়ে দিয়েছেন মাটি কামড়ে পড়ে থাকা মুশফিকুর রহিমকে। বাংলাদেশ অধিনায়কের ব্যাট ছুঁয়ে আসা ক্যাচ গ্লাভসে জমান ম্যাথু ওয়েড।
১০৩ বলে একটি চারে ৩১ রান করে মুশফিক ফিরে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের স্কোর ১২৯/৭। মুমিনুল হকের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। স্বাগতিকদের লিড তখন ৫৭ রান।
বাংলাদেশের একশ
৪২ ওভারে তিন অঙ্কে গেছে বাংলাদেশের সংগ্রহ। আস্থার সঙ্গে খেলছেন দুই ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম ও মুমিনুল হক। প্রথম ইনিংসে চার নম্বরে নামা বাঁহাতি ব্যাটসম্যান মুমিনুল এবার নেমেছেন আট নম্বরে। লিড তিন অঙ্কে নিয়ে যেতে এই দুই জনের দিকেই তাকিয়ে বাংলাদেশ।
আবার স্টাম্পড সাব্বির
মুশফিক-সাব্বিরের পঞ্চাশ রানের জুটি
দ্রুত ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন মুশফিকুর রহিম ও সাব্বির রহমান। অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেটে দুই জনে গড়েছেন ৯৮ বলে ৫০ রানের জুটি। আস্থার সঙ্গে খেলছেন অধিনায়ক মুশফিক। একটু ঝুঁকি নিয়ে খেলছেন সাব্বির। প্রায় প্রতি ওভারেই খেলছেন এক-দুটি উচ্চাভিলাষী শট।
তালগোল পাকানো ব্যাটিংয়ের পর প্রতিরোধ
বাংলাদেশের লিড
দ্রুত পাঁচ উইকেট হারানো বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে লিড নিয়েছে মুশফিকুর রহিম ও সাব্বির রহমানের ব্যাটে। প্রথম ইনিংসে অর্ধশতক পাওয়া দুই ব্যাটসম্যান খেলছেন আস্থার সঙ্গে।
২৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৭৪/৫। স্বাগতিকরা এগিয়ে ২ রানে।
সাব্বিরের সফল স্মিথের ব্যর্থ রিভিউ
স্টিভ ও’কিফের বলে আম্পায়ার এলবিডব্লিউ দেওয়ার পর রিভিউ নিয়ে বাঁচেন সাব্বির রহমান। প্যাডে লাগার আগে ব্যাট ছুঁয়েছিল বল। পরের বলে রিভিউ নেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। অনেকটা এগিয়ে খেলেছিলেন সাব্বির। ইমপ্যাক্ট ছিল লাইনের বাইরে। নষ্ট হয় অস্ট্রেলিয়ার একটি রিভিউ। সেই ওভারেই সিলি পয়েন্টে কঠিন একটি সুযোগ দিয়ে বেঁচে যান মুশফিকুর রহিম।
টিকলেন না নাসিরও
ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার স্রোতে বাধ দিতে পারছেন না কেউ। ২০ ওভারের মধ্যে সাজ ঘরে ফিরে গেছেন প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানের সবাই। প্রমোশন পেয়ে চার নম্বরে নামা নাসির হোসেন ফিরেছেন স্টিভেন স্মিথকে ক্যাচ দিয়ে।
প্রতিটি বল খেলার পণ করে যেন নেমেছিলেন নাসির। স্টিভ ও’কিফের স্পিন করে বেরিয়ে যাওয়া বল অনায়াসে ছেড়ে দিতে পারতেন তিনি। তা না করে পা বাড়িয়ে খেলতে গেলেন। ঠিক মতো পারলেন না, ব্যাটের কানায় লেগে ক্যাচ গেল প্রথম স্লিপে।
৫ রান করে নাসির ফেরার সময় বাংলাদেশের স্কোর ৪৩/৫। মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন সাব্বির রহমান।
সাকিবকে ফিরিয়ে লায়নের দশ
তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েসের পর সাকিব আল হাসানকেও ফেরালেন ন্যাথান লায়ন। দারুণ বোলিং করা অফ স্পিনারের বেরিয়ে যাওয়া বলে দ্বিতীয় স্লিপে ডেভিড ওয়ার্নারের হাতে ধরা পড়েন সাকিব। প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট নেওয়া লায়নের ম্যাচে দশম শিকার তিনি।
সাকিবের বিদায়ের সময় বাংলাদেশের স্কোর ৩৯/৪। নাসির হোসেনের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। স্বাগতিকরা পিছিয়ে ৩৩ রানে।
চার নম্বরে নাসির
প্রথম ইনিংসে প্রথম পাঁচে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান নামিয়েছিল বাংলাদেশ। প্রথম চার ব্যাটসম্যান ফিরেছিলেন অফ স্পিনার ন্যাথান লায়নের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। প্রথম তিনটি স্থান ঠিকই আছে। ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো চার নম্বরে নেমেছেন নাসির হোসেন, যিনি প্রথম ইনিংসে আট নম্বরে ব্যাট করেছিলেন।
প্রথম ইনিংসে চার নম্বরে ব্যাট করেছিলেন মুমিনুল হক। লম্বা সময় কিপিংয়ের ব্যাপার না থাকলে চার নম্বরে বাংলাদেশের প্রথম পছন্দ মুশফিকুর রহিম। ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে চার নম্বরে নেমেছিলেন সাব্বির রহমান।
১১ বল টিকল অস্ট্রেলিয়া
চতুর্থ দিন অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস স্থায়ী হয়েছে মাত্র ১১ বল। সাকিব আল হাসান দিনের প্রথম ওভারটি মেডেন নেন। দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে ন্যাথান লায়নকে ফিরিয়ে দেন মুস্তাফিজুর রহমান।
বাঁহাতি পেসারের বলে খোঁচা মেরে স্লিপে ইমরুল কায়েসের হাতে ধরা পড়েন লায়ন। তার বিদায়ে ৩৭৭ রানে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। চতুর্থ দিন দলটি পারেনি কোনো রান যোগ করতে।
আধ ঘণ্টা আগে খেলা শুরু
তৃতীয় দিন আড়াই ঘণ্টার বেশি সময়ের খেলা বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে খেলা শুরু হয়েছে নির্ধারিত সময়ের আধ ঘণ্টা আগে- সকালে সাড়ে নয়টায়। সকাল থেকেই পুরো আকাশ মেঘে ঢাকা। চতুর্থ দিন অন্তত ৯৮ ওভার খেলা হবে।
জয়ের আশায় বাংলাদেশ
অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে ৭২ রানে, হাতে রয়েছে ১ উইকেট। লিড আরও বাড়ার সুযোগ রয়েছে। তবে মুস্তাফিজুর রহমান আশাবাদী, ব্যাটসম্যানরা দ্বিতীয় ইনিংসে দায়িত্ব নিয়ে খেললে লড়াইয়ের পুঁজি মিলবে।
তৃতীয় দিন শেষে স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৩০৫
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ১১৮ ওভারে ৩৭৭/৯ (আগের দিন ২২৫/২) (রেনশ ৪, ওয়ার্নার ১২৩, স্মিথ ৫৮, হ্যান্ডসকম ৮২, ম্যাক্সওয়েল ৩৮, কার্টরাইট ১৮, ওয়েড ৮, অ্যাগার ২২, কামিন্স ৪, ও’কিফ ৮*, লায়ন ০*; মিরাজ ৩/৯৩, মুস্তাফিজ ৩/৮৪, সাকিব ১/৮২, তাইজুল ১/৭৮, নাসির ০/১৪, মুমিনুল ০/৬, সাব্বির ০/৯)