চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩০৫ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। শেষ চার উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় দিন সকালে আর মাত্র ৫২ রান যোগ করতে পেরেছে দল।
আগের দিনের ৫ উইকেটের সঙ্গে ন্যাথান লায়ন যোগ করেছেন আরও দুটি। শেষ করলেন ৯৪ রানে ৭ উইকেট নিয়ে। তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেরা বোলিং।
দিনের শুরুটায় বাংলাদেশ ছিল সাবধানী। মুশফিকুর রহিম ও নাসির হোসেন খেলছিলেন সতর্কতার সঙ্গে। প্রথম ৭ ওভারে তোলেন তারা ১২ রান। এরপর সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত উইকেটই সবার আগে পেয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।
ন্যাথান লায়নের করা দিনের দ্বিতীয় বলেই ছিল লুপ ও বেশ টার্ন। মুশফিক সামনে পা বাড়িয়ে ডিফেন্স করেছিলেন। কিন্তু সেটি খুব আঁটসাঁট হলো না। ব্যাটে লেগে প্যাডে ছুঁয়ে বল আলতো ছুঁয়ে দিল স্টাম্পকে। ৬২ রানে দিন শুরু করা ব্যাটসম্যান আউট ৬৮ রানে।
এরপর ভরসা ছিলেন নাসির। খেলছিলেন ভালোই। কিন্তু পারলেন না নিজের জায়গা পোক্ত করার মত কিছু করতে। পারলেন না দলকে ভালো জায়গায় নিয়ে যেতে। শরীরের কছে বল কাট করতে গিয়ে আউট ৪৫ রানে। সিরিজের তিন ইনিংসেই আউট হলেন তিনি অ্যাশটন অ্যাগারের বাঁহাতি স্পিনে।
এরপর রান কিছু বাড়াতে পারতেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তিনি হলেন রান আউট। তাইজুল ইসলামের ছক্কায় তিনশ পার হলো বটে। সেই তাইজুলকে ফিরিয়েই লায়ন ধরলেন সপ্তম শিকার।
২০১৩ সালে ভারতের বিপক্ষে দিল্লিতেও ঠিক ৯৪ রানে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন লায়ন। তবে সেই ম্যাচ শেষ পর্যন্ত জিতেছিল ভারত। সেটি থেকেই অনুপ্রেরণা নিতে পারে বাংলাদেশ!
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১১৩.২ ওভারে ৩০৫ (আগের দিন ২৫৩/৬) (তামিম ৯, সৌম্য ৩৩, ইমরুল ৪, মুমিনুল ৩১, সাকিব ২৪, মুশফিক ৬৮, সাব্বির ৬৬, নাসির ৪৫, মিরাজ ১১, তাইজুল ৯, মুস্তাফিজ ০*; কামিন্স ০/৪৬, লায়ন ৭/৯৪, ও’কিফ ০/৭৯, অ্যাগার ২/৫২, ম্যাক্সওয়েল ০/১৩, কার্টরাইট ০/১৬)