৩ অর্ধশতকে অস্ট্রেলিয়ার দিন

জীবন পেয়ে সুযোগটা দুই হাতে কাজে লাগাচ্ছেন ডেভিড ওয়ার্নার। দারুণ সঙ্গ দিচ্ছেন পিটার হ্যান্ডসকম। দুই জনের অবিচ্ছিন্ন শতরানের জুটিতে চট্টগ্রাম টেস্টে দ্বিতীয় দিন শেষে চালকের আসনে অস্ট্রেলিয়া।

অনীক মিশকাতঅনীক মিশকাতবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Sept 2017, 04:11 AM
Updated : 5 Sept 2017, 12:13 PM

দ্বিতীয় দিন শেষে অস্ট্রেলিয়া ২২৫/২

চট্টগ্রাম টেস্টে দ্বিতীয় দিনটি অস্ট্রেলিয়ার। ব্যাট-বলের দারুণ পারফরম্যান্সে অতিথিরা চট্টগ্রাম টেস্টে বসেছে চালকের আসনে। অর্ধশতক করে অপরাজিত রয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার ও পিটার হ্যান্ডসকম। তাদের শতরানের ইনিংসে বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবধান অনেক কমিয়ে এনেছে স্টিভেন স্মিথের দল।

দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ২ উইকেটে ২২৫ রান। দুইবার জীবন পাওয়া ওয়ার্নারের রান ৮৮, হ্যান্ডসকমের ৬৯। অতিথিরা পিছিয়ে ৮০ রানে।

‘ব্রেক থ্রু’ এসেছিল দ্বিতীয় ওভারে। শুরুতে উইকেট নেওয়ার সুবিধা নিতে পারেনি বাংলাদেশ। লম্বা সময় ধরে সঠিক লাইন-লেংথে বল করে যেতে পারেনি। হঠাৎ নিচু হওয়া, তীক্ষ্ণ বাঁক নেওয়া বলগুলো ঠিকঠাক সামাল দিয়েছেন অতিথি ব্যাটসম্যানরা। বাজে বলগুলো পাঠিয়েছেন সীমানার বাইরে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ৬৪ ওভারে ২২৫/২ (রেনশ ৪, ওয়ার্নার ৮৮*, স্মিথ ৫৮, হ্যান্ডসকম ৬৯*; মিরাজ ০/৫৩, মুস্তাফিজ ১/৪৫, সাকিব ০/৫২, তাইজুল ১/৫০, নাসির ০/৪, মুমিনুল ০/৬, সাব্বির ০/৯)

আবার জীবন পেলেন ওয়ার্নার

৫২ রানে একবার বেঁচে গিয়েছিলেন। সেবার ডেভিড ওয়ার্নারের ক্যাচ ছেড়েছিলেন মুমিনুল হক। এবার সুযোগ এসেছিল মুশফিকুর রহিমের সামনে। স্টাম্পিংয়ের সুযোগ হাতছাড়া করেছেন অধিনায়ক।

মেহেদী হাসান মিরাজের বল খেলতে অনেক দূরে এগিয়ে গিয়েছিলেন ওয়ার্নার। নিচু হওয়া বলে ব্যাট ছোঁয়াতে পারেননি। মুশফিক বল ধরতেই পারেননি। দেরিতে প্রতিক্রিয়া দেখানোয় হাতছাড়া হয় দারুণ একটি সুযোগ। সে সময় ৭৩ রানে ব্যাট করছিলেন ওয়ার্নার।

শতরানের জুটি, অস্ট্রেলিয়ার দুইশ

ডেভিড ওয়ার্নার ও পিটার হ্যান্ডসকমের ব্যাটে ইনিংসে প্রথম শত রানের জুটি পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। অর্ধশতক পাওয়া দুই ব্যাটসম্যানের দৃঢ়তায় দুইশ পার হয়েছে অতিথিদের সংগ্রহ।

৫৫ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ২০০/২। ওয়ার্নারের রান ৭২, হ্যান্ডসকমের ৬০। এখনও ১০৫ রানে পিছিয়ে অতিথিরা।

হ্যান্ডসকমের অর্ধশতক

স্টিভেন স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নারের পর অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে অর্ধশতক করেছেন পিটার হ্যান্ডসকম। ডানহাতি ব্যাটসম্যান পঞ্চাশ স্পর্শ করেন ৭৪ বলে।

৫২ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ১৮৮/২। ওয়ার্নারের রান ৬৯, হ্যান্ডসকমের ৫১। অতিথিরা এখন পিছিয়ে ১১৭ রানে।

ওয়ার্নার-হ্যান্ডসকমের অর্ধশত রানের জুটি

টানা দুটি অর্ধশত রানের জুটি পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। স্টিভেন স্মিথের পর পিটার হ্যান্ডসমকমের সঙ্গে পঞ্চাশ রানের জুটি গড়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবধান ক্রমশ কমিয়ে আনছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।

৪৫ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ১৪৯/২। ওয়ার্নারের রান ৫৮, হ্যান্ডসকমের ২৩।

ওয়ার্নারকে জীবন দিলেন মুমিনুল

অর্ধশতকে পৌঁছানোর পরপরই ডেভিড ওয়ার্নারকে ফেরানোর সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশের সামনে। তাইজুল ইসলামের বলে শর্ট লেগে বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের ক্যাচ শর্ট লেগে মুঠোয় নিতে পারেননি মুমিনুল হক। সে সময়ে ৫২ রানে ব্যাট করছিলেন ওয়ার্নার।

টিকে থেকে ওয়ার্নারের অর্ধশতক

৯৬ বলে মাত্র দুটি চারে অর্ধশতকে পৌঁছেছেন ডেভিড ওয়ার্নার। বিস্ফোরক বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের এর চেয়ে মন্থর পঞ্চাশ আছে আর মোটে তিনটি।

৩৮ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ১২৫/২।

দ্বিতীয় সেশনে স্মিথের উইকেট

দিনের দ্বিতীয় সেশনে ৯৬ রান সংগ্রহ করতে স্টিভেন স্মিথের উইকেট হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। নিজের প্রথম বলে অধিনায়ককে ফিরিয়েছেন তাইজুল ইসলাম।

চা-বিরতিতে যাওয়ার সময় অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ১১১/২। ডেভিড ওয়ার্নার ৪২ ও পিটার হ্যান্ডসকম ৫ রানে ব্যাট করছেন। প্রথম ইনিংসে ৩০৫ রান করা বাংলাদেশ এখনও এগিয়ে ১৯৪ রানে।

অস্ট্রেলিয়ার একশ

রানের গতিতে কিছুটা বাধ দিতে পেরেছে বাংলাদেশ। দ্বাদশ ওভারে পঞ্চাশ ছোঁয়া অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ তিন অঙ্কে গেছে ৩১তম ওভারে।

নিজেকে গুটিয়ে রেখেছেন বিস্ফোরক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ডেভিড ওয়ার্নার। পিটার হ্যান্ডসকম ইনিংসের শুরুতে সতর্ক।

৩১ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ১০০/২।

এসেই প্রতিরোধ ভাঙলেন তাইজুল

দারুণ এক ডেলিভারিতে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরোধ ভেঙেছেন তাইজুল ইসলাম। ২৯তম ওভারে আক্রমণে এসেই বিদায় করেছেন স্টিভেন স্মিথকে। টার্নের জন্য খেলেছিলেন অধিনায়ক। আর্ম বল একটুও টার্ন করেনি, ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলে আঘাত হানে স্টাম্পে। বোল্ড স্মিথ।

৫৮ রান করে স্মিথের বিদায়ের সময় অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ৯৮/২। অধিনায়কের বিদায়ে ভেঙেছে তার সঙ্গে ডেভিড ওয়ার্নারের ৯৩ রানের জুটি। ওয়ার্নারের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন পিটার হ্যান্ডসকম।

স্মিথের অর্ধশতক

সফরে নিজের প্রথম অর্ধশতক পেয়েছেন স্টিভেন স্মিথ। ৮১ বলে পঞ্চাশ ছুঁতে অধিনায়ক হাঁকিয়েছেন সাতটি চার।

ঢাকা টেস্টে স্মিথ ব্যাটিং করেছিলেন চার নম্বরে। দ্বিতীয় টেস্টের দল থেকে উসমান খাওয়াজা বাদ পড়ায় অধিনায়ক উঠে এসেছেন তিনে। সহ-অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে গড়ছেন চমৎকার এক জুটি।

২৬ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ৯০/১।

ওয়ার্নার-স্মিথের অর্ধশত রানের জুটি

দ্বিতীয় ওভারে জুটি বাধা ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভেন স্মিথ দ্রুত এগিয়ে নিচ্ছেন দলকে। অবিচ্ছিন্ন দ্বিতীয় উইকেটে দুই জনে গড়েছেন অর্ধশত রানের জুটি। বিস্ফোরক ওয়ার্নার নিজেকে খানিকটা গুটিয়ে রেখেছেন। আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করছেন স্মিথ।

৭০ বলে এসেছে অধিনায়ক-সহ অধিনায়কের পঞ্চাশ রানের জুটি।

১৪ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ৫৮/১।

লাঞ্চে অস্ট্রেলিয়া ১৫/১

লাঞ্চের আগে চার ওভার বোলিংয়ের সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশ দ্রুত ফিরিয়েছে ম্যাট রেনশকে। ঢাকা টেস্টে শতক করা ডেভিড ওয়ার্নার শুরুতে সতর্ক। উইকেট পাওয়া মুস্তাফিজুর রহমানকে দুটি চার হাঁকিয়েছেন স্টিভেন স্মিথ।

লাঞ্চ যাওয়ার সময় অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ১৫/১। ওয়ার্নার ২ ও স্মিথ ৮ রানে অপরাজিত। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশকে ৩০৫ রানে গুটিয়ে দেওয়া অতিথিরা পিছিয়ে ২৯০ রানে।

মুশফিকের দুর্দান্ত ক্যাচে রেনশর বিদায়
 

দ্বিতীয় ওভারেই আঘাত হেনেছে বাংলাদেশ। ম্যাট রেনশকে ফিরিয়ে দিয়েছেন নতুন বল হাতে পাওয়া মুস্তাফিজুর রহমান। তার উইকেটে অবশ্য দারুণ অবদান উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে দুর্দান্ত এক ক্যাচ গ্লাভসে জমিয়েছেন অধিনায়ক।
৪ রান করে রেনশ ফিরে যাওয়ার সময় অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ৫/১। ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ।

দ্বিতীয় দিনে যোগ ৫২ রান
 
দ্বিতীয় দিন ৫২ রান যোগ করতে শেষ ৪ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। আগের দিন পাঁচ উইকেট নেওয়া ন্যাথান লায়ন এদিন নিয়েছেন আরও দুটি। সব মিলিয়ে ৯৪ রানে ৭ উইকেট। টেস্টে এটা তার দ্বিতীয় সেরা বোলিং। 
 
উইকেট থেকে মঙ্গলবার শুরু থেকেই সহায়তা পাচ্ছেন স্পিনাররা। বাউন্সও অসমান দেখা গেছে এদিন। 
 
দিনের শুরুতে মুশফিকুর রহিমকে হারানোর পর দলকে ৩০৫ পর্যন্ত নিয়ে যেতে অবদান রেখেছেন নাসির হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: 
 
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১১৩.২ ওভারে ৩০৫ (তামিম ৯, সৌম্য ৩৩, ইমরুল ৪, মুমিনুল ৩১, সাকিব ২৪, মুশফিক ৬৮, সাব্বির ৬৬, নাসির ৪৫, মিরাজ ১১, তাইজুল ৯, মুস্তাফিজ ০*; কামিন্স ০/৪৬, লায়ন ৭/৯৪, ও’কিফ ০/৭৯, অ্যাগার ২/৫২, ম্যাক্সওয়েল ০/১৩, কার্টরাইট ০/১৬)

বাংলাদেশকে ৩০৫ রানে থামালেন লায়ন
 

৭ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে ৩০৫ রানে থামিয়েছেন ন্যাথান লায়ন। আগের ওভারে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে ছক্কা হাঁকানো তাইজুল ইসলাম ফিরেছেন তার পুনরাবৃত্তির চেষ্টায়। লায়নের বলে এগিয়ে এসে চড়াও হতে গিয়ে স্লিপে স্টিভেন স্মিথের হাতে ধরা পড়েন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।   
রান আউট মিরাজ
অহেতুক ঝুঁকি নেওয়ার মাশুল দিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দুই রান নেওয়ার চেষ্টায় ফিরেছেন রান আউট হয়ে। ডেভিড ওয়ার্নারের থ্রো স্টাম্প ভেঙে দেওয়ার সময় অনেক দূরে ছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। 
১১ রার করে মিরাজের বিদায়ের সময় বাংলাদেশের স্কোর ২৯৬/৯। ক্রিজে শেষ জুটি। তাইজুলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান।

এসেই লায়নের আঘাত, ফিরলেন মুশফিক
 

দ্বিতীয় দিন প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে এসেই আঘাত হেনেছেন ন্যাথান লায়ন। মুশফিকুর রহিমকে বোল্ড করে নিয়েছেন নিজের ষষ্ঠ উইকেট। 
নিজের দ্বিতীয় বলে লায়ন ভাঙেন বাংলাদেশের প্রতিরোধ। একটু ভেতরে ঢোকা বল সামনে পা বাড়িয়ে ডিফেন্স করেছিলেন অধিনায়ক। ঠিক মতো পারেননি, বল তার ব্যাটের কানায় লেগে ড্রপ খেয়ে স্টাম্পে লাগে।
৬৮ রান করে মুশফিকের বিদায়ের সময় বাংলাদেশের স্কোর ২৬৫/৭। নাসির হোসেনের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন আরেক অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ।
বাংলাদেশের সতর্ক শুরু
দ্বিতীয় দিনের সকালে সতর্ক শুরু করেছে বাংলাদেশ। সোজা ব্যাটে খেলছেন দুই ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম ও নাসির হোসেন।
প্রথম দিনের প্রথম স্পেলের মতো অমন গতি পাচ্ছেন না প্যাট কামিন্স। তাকে ঠিকঠাক খেলছেন দুই ব্যাটসম্যান। অন্য প্রান্তে স্টিভ ও’কিফ ভোগাতে পারছেন না তাদের। 
৯৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২৬৫/৬। 

ভালো সংগ্রহের আশায় নামছে বাংলাদেশ
 
আশা হয়ে ক্রিজে টিকে আছেন মুশফিকুর রহিম, সঙ্গ দিচ্ছেন নাসির হোসেন। ব্যাটিংয়ের অপেক্ষায় মেহেদী হাসান মিরাজ। এই তিনজনের ব্যাটে ভালো সংগ্রহের আশায় মাঠে নামছে বাংলাদেশ।
 
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার টেস্টের দ্বিতীয় দিন যতটা সম্ভব ব্যাটিং করতে চায় বাংলাদেশ। প্রথম দিনের খেলা শেষে দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা সাব্বির রহমান জানান, তাদের লক্ষ্য থাকবে যত বেশি সম্ভব রান করা। 
 
প্রথম দিন শেষে স্কোর: 
 
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৯০ ওভারে ২৫৩/৬ (তামিম ৯, সৌম্য ৩৩, ইমরুল ৪, মুমিনুল ৩১, সাকিব ২৪, মুশফিক ৬২*, সাব্বির ৬৬, নাসির ১৯*; কামিন্স ০/৩৩, লায়ন ৫/৭৭, ও’কিফ ০/৭০, অ্যাগার ১/৪৬, ম্যাক্সওয়েল ০/৬, কার্টরাইট ০/১৬)