সেই সময় পিছনে ফেলে এসেছে বাংলাদেশ। নিজের সামর্থ্যের ওপর আস্থা রেখে টার্নিং উইকেটে জেতার জন্য খেলার আত্মবিশ্বাস জন্মেছে। দেশের মাটিতে এই ধরনের উইকেটে তিন ম্যাচের দুটিতে জেতার পর সেই পরিকল্পনা থেকে সরে যাওয়ার কোনো কারণ দেখেন না অধিনায়ক।
“নিরাপদ ক্রিকেটের কোনো অপশন এখানে নেই। নিরাপদ ক্রিকেট খেলে অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের বিপক্ষে আপনি কখনও জিততে পারবেন না। আমরা শুরু থেকেই বলছি, দেশের মাটিতে প্রতিটি টেস্ট আমরা জেতার লক্ষ্য নিয়ে খেলি। যে দলই আসুক আমাদের পরিকল্পনা তাই থাকবে।”
বাংলাদেশের ভাবনা জুড়ে কেবল ২-০ ব্যবধানে জয়। মিরপুরের মতো উইকেট পেলে তা না হওয়ার কোনো কারণ দেখেন না মুশফিক।
“প্রথম টেস্টের আগেও আমি বলেছি, আমাদের চেষ্টা থাকবে প্রতিটা ম্যাচ জয়ের। অবশ্যই ২-০ করার জন্য যা যা করা দরকার আমরা করবো। ওরা যতই আগ্রাসী ক্রিকেট খেলুক আমরা তার চেয়ে ভালো ও আগ্রাসী ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করব। পাল্টা-আক্রমণ করে খেলার চেষ্টা করব।”
চট্টগ্রাম টেস্ট বৃষ্টির কবলে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। অধিনায়ক জানান, বৃষ্টির সহায়তা নিয়ে সিরিজ জিততে চান না। মাঠে নিজেদের প্রমাণ করেই ভাসতে চান সিরিজ জয়ের আনন্দে।
“আমরা চাইব যেন খেলেই সিরিজ জিততে পারি। আর এর চেয়ে বড় কিছু আসলে হয় না। চট্টগ্রামের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা এত ভালো, তুমুল বৃষ্টির পরও আধ ঘণ্টার মধ্যে এখানে খেলা শুরু হয়ে যায়। এখানে প্রস্তুতি ম্যাচে দেখেছি, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে দেখেছি, দারুণ পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা।”