অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের মতে সেটির নাম নৈতিক জয়। মুশফিক জয় দেখছেন, অস্ট্রেলিয়া একটি রীতি থেকে সরে আসায়। আগের দিন তো নিশ্চিত, অনেক সময় টেস্ট শুরুর দুদিন আগেও একাদশ জানিয়ে দেয় অস্ট্রেলিয়া। এটা তাদের বরাবরের রীতি। মিরপুর টেস্টও ব্যতিক্রম ছিল না।
তবে চট্টগ্রাম হয়ে রইল ব্যতিক্রম। টেস্টের আগের দিন একাদশ খোলাসা করলেন না স্টিভেন স্মিথ। তবে বাংলাদেশের জেনে যাওয়া বা কৌশলগত কারণ নয়, অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক বললেন আবহাওয়ার অনিশ্চয়তার কথা।
“আলোচনা কিছুটা হয়েছে। তবে আমরা একাদশ জানাব কাল টসের সময়। আরেক দফা উইকেট দেখার প্রয়োজন আমাদের, এখন সেটি ঢেকে রাখা হয়েছে। বৃষ্টির কারণে আজকে এখনও দেখতে পারিনি। আশা করি আমাদের অনুশীলনের সময় বৃষ্টি থাকবে না, উইকেট দেখতে পারব। এরপর খানিকটা ধারণা নিতে পারব দল কেমন হওয়া উচিত।”
“আমার মনে হয় না, আবহাওয়ার পূর্বাভাস খুব ভালো। এমনও হতে পারে, মাঠে এসে আমরা দেখলাম বৃষ্টি হচ্ছে। তো তখন আবার সিদ্ধান্ত বদলাতে হতে পারে। আশা করি, আজকে উইকেট দেখার সুযোগ পাব। একটা পরিষ্কার ধারণা নিতে পারব, কিভাবে আমাদের এগোনো উচিত।”
তবে স্মিথ যতোই আবহাওয়া-উইকেটর কথা বলুন, মুশফিক এটিকে দেখছেন অস্ট্রেলিয়ার কৌশল হিসেবেই। চট্টগ্রামে তিন স্পিনার খেলাবে অস্ট্রেলিয়া, সেটিই হয়ত আগে থেকে জানতে দিতে চায় না তারা। বাংলাদেশের বিপক্ষে চাপে পড়ে যে রীতি থেকে সরে আসা, এটিতেই এক ধরনের বিজয় দেখছেন মুশফিক।
“নৈতিক জয় তো অবশ্যই। তারা হয়তো চাপে আছে। গত টেস্টে তারা যে লড়াইয়ের মুখোমুখি হয়েছে, তাতে তারা জেনে গেছে যে হোম কন্ডিশনে আমরা কতোটা ‘ডেঞ্জারাস’। আমাদের এই বার্তা খুব ভালোভাবে তাদের কাছে গেছে। তারা নিশ্চয় বুঝতে পেরেছে যে, আমাদের বিপক্ষে কিছু করতে হলে প্ল্যান করেই করতে হবে।”
“আমাদের এটা নিয়ে বসে থাকলে চলবে না। আমাদের কাজগুলো ঠিকঠাক করতে হবে। আমার মনে হয় প্রথম টেস্টে আমরা যা করেছি; তা করতে হবে।”
মুশফিকের শেষ কথাটিই হলো বাস্তবতা। ম্যাচ হেরে গেলে ম্যাচের আগের নৈতিক জয়ের মূল্য থাকবে না। আর ম্যাচ জিতলে ম্যাচের আগের জয়ের আনন্দও ধরা দেবে অনেক বেশি হয়ে।